আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শিল্পের শহর আমস্টারডাম

শহরের হৃদয় দিয়ে রক্তনালীর মতো প্রবাহিত ক্যানেল। কথিত আছে হাজার ক্যানেলের শহর এটি। ক্যানেলের ভেতর ভেসে যাচ্ছে নৌকা, স্টিমার। স্পিডবোটও রয়েছে। রয়েছে ওয়াটার বাস।

ক্যানেলের দুই ধারে মধ্যযুগীয় গির্জা, রাজপ্রাসাদ। শহরটির নাম আমস্টারডাম। এ শহর সাইকেলের, ফুলের, পনিরের, হীরার এবং শিল্পের। পৃথিবীর বিখ্যাত কয়েকটি মিউজিয়াম আছে এ শহরে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল রিকস মিউজিয়াম ও ভ্যানগঘ মিউজিয়াম।


২০০৭ সালের পাতাঝরা মৌসুমে যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল আমস্টারডামে। গাছের পাতার রং তখন আগুন লাল। ‘ওরে ভাই আগুন লেগেছে বনে বনে’ গানটি বসন্তে না গেয়ে ইউরোপে হেমন্তে গাওয়া যায় অনায়াসে। বেড়ানোর জন্য সেরা সময় বলা যায়। হল্যান্ড বা নেদারল্যান্ডসের রাজধানী আমস্টারডামে তখন নামে পর্যটকের ঢল।


অ্যামস্টেল নদীর মোহনায় এই শহর। নর্থ সি ক্যানেলের মাধ্যমে উত্তর সাগরের সঙ্গে সংযুক্ত। আমস্টারডাম ভ্রমণ শুরু হল ক্যানেল-ক্রুজ দিয়ে। শহরের ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া চওড়া ক্যানেল দিয়ে পর্যটকরা ভেসে চলছেন জলযানে। পর্যটকদের সুবিধার্থে ডাচ ও ইংরেজি ভাষায় দুধারের প্রাসাদ ও রাস্তা সম্পর্কে ধারা বিবরণী দেওয়া হচ্ছে।

চতুর্দশ শতকে নির্মিত গির্জার পাশ দিয়ে যাচ্ছে আমাদের জলযান। শরতের ঝকঝকে নীল আকাশের প্রেক্ষাপটে চতুর্দশ শতকের প্রাচীন গির্জা। এবার দুপাশে দেখা যাচ্ছে মধ্যযুগীয় প্রাসাদের সারি। রাজপরিবারের সদস্য, রাজদরবারের হোমড়াচোমড়া, বীর নাইট, বণিক ও বিশিষ্ট অভিজাতদের বাসস্থান। মধ্যযুগীয় প্রাসাদগুলোকে দেখে মনে হয় এক্ষুনি খুলে যাবে কারুকার্যময় বিশাল ফটক আর বেরিয়ে আসবে অশ্বারোহী বীর নাইট।


সেন্ট্রাল আমস্টারডামের বাড়িগুলোও যথেষ্ট দেখার মতো। ক্যানেলের তীর চমৎকার রং করা সারিসারি বাড়ি। চোখ সরাতে কষ্ট করতে হবে আপনাকে! মনে হবে চিত্রশিল্পের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। শুধু ক্যানেলের তীরেই নয়, ক্যানেলের উপরেও আছে বাড়ি—ভাসমান বাড়ি। ৭-৮ লাখ অধিবাসীর শহরে আছে সাইকেল আছে প্রায় সাত লাখ! আপনিও চাইলে খুব সস্তায় সাইকেল ভাড়া করে শহরটি ঘুরে দেখতে পারবেন।

সেন্ট্রাল স্টেশনের ঠিক বাইরে সাইকেল পার্কিংটি না দেখলে নিজের চোখকে বিশ্বাস করা কঠিন যে পশ্চিম ইউরোপের একটি শিল্পোন্নত দেশে এত লোক সাইকেল ব্যবহার করেন।      
আমস্টারডামে অনেকগুলো জাদুঘর রয়েছে। এর মধ্যে রাজকীয় রিকস মিউজিয়াম, ভ্যান গঘ মিউজিয়াম, আনা ফ্রাঙ্ক মিউজিয়াম, মাদাম তুঁশোর আমস্টারডাম শাখা, হার্মিটেজ এবং আমস্টারডাম মিউজিয়াম বেশি বিখ্যাত। শিশুদের জন্য চমৎকার একটি সায়েন্স মিউজিয়ামও রয়েছে। বিখ্যাত মিউজিয়ামগুলো বেশিরভাগই মিউজিয়াম প্লেইন বা মিউজিয়াম স্কোয়ারের আশপাশে অবস্থিত।


প্রথমেই গেলাম রিকস মিউজিয়ামে। এ এক বিশাল প্রাসাদ। একসময় এটি ছিল রাজপ্রাসাদ। ১৮৮৫ সালে জাদুঘর হিসেবে এর যাত্রা শুরু। রিকস মিউজিয়ামে রয়েছে বিশ্বখ্যাত ডাচশিল্পীদের চিত্রকর্মের সবচেয়ে বড় সংগ্রহ।

এর মধ্যে সবচেয়ে মূল্যবান ও বিখ্যাত শিল্পকর্মটি রেমব্রান্টের আঁকা নাইট ওয়াচ। বিশাল একটি ছবি। একটি ঘরে শুধু এই ছবিটিই রয়েছে। দেয়ালজোড়া ছবিটির সামনে দর্শনার্থীদের ভিড়। ছোটবেলা থেকে এই চিত্রকর্মটির নাম শুনেছি।

বিশ্বাস হচ্ছিল না আমি নিজের চোখে অরিজিনাল পেইন্টিংটি দেখছি। ভ্যান ডার হেস্ট, ভারমির, ফ্রানস হালস, ফার্ডিনান্দ বল, অ্যালবার্ট সুপ, জ্যাকব ভ্যান রুইসডেল, পাউলুস পটারের মতো বিশ্বখ্যাত শিল্পীদের চিত্রকর্ম রয়েছে এখানে। আরও রয়েছে মধ্যযুগের বিভিন্ন শিল্প সামগ্রী। সব মিলিয়ে এলাহি কারবার। একদিনে পুরো মিউজিয়াম দেখে শেষ করা প্রায় অসম্ভব একটি ব্যাপার।


রিকস মিউজিয়ামের কাছেই ভ্যানগঘ মিউজিয়াম। আমস্টারডামের সবচেয়ে বেশি পর্যটক এই মিউজিয়ামটি দেখতে আসেন। এখানে ভ্যানগঘের সান ফ্লাওয়ার ও পটেটো ইটারসের মতো বিখ্যাত চিত্রকর্ম রয়েছে। ইমপ্রেশনিস্ট, মডার্ন ও পোস্ট মডার্ন যুগের খ্যাতনামা শিল্পীদের শিল্প কর্ম রয়েছে এই জাদুঘরে।
রাজপ্রাসাদ আনা ফ্রাঙ্কের জাদুঘর একেবারে অন্য মেজাজের।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইহুদি কিশোরী আনা ফ্রাঙ্ক তার পরিবারের সঙ্গে আমস্টারডামের একটি বাড়ির এক গুপ্ত প্রকোষ্ঠে লুকিয়ে ছিলেন। এই বাড়িতে থাকার সময়ই আনা লেখে তার ডাইরি যা পরে ‘ডাইরি অফ আনা ফ্রাঙ্ক’ নামে বিশ্বের নিপীড়িত মানুষের দুঃখের দলিল হয়ে ওঠে। পরবর্তীতে জার্মান সেনারা এই বাড়ি থেকে তাদের বন্দি করে নিয়ে যায়। বন্দিশিবিরে আনার মৃত্যু হয়। আনার বাবা যুদ্ধের পর এই বাড়ির মেঝেতে ডাইরিটি খুঁজে পান।

আনার সেই বাড়িটিকে মিউজিয়ামে রূপান্তরিত করা হয় পরবর্তীতে। এই মিউজিয়ামটি যুদ্ধবিরোধী একটি জাদুঘর হিসেবে পৃথিবীতে বিখ্যাত।
রাজপ্রাসাদ
মিউজিয়াম থেকে সামান্য দূরে রয়েছে ড্যাম স্কোয়ার। এটি সুবিশাল চত্বর। এখানে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের পর্যটকরা ভিড় জমান।

এই চত্বরের আশপাশে রয়েছে বিশাল সব প্রাসাদ যার অধিকাংশই জাদুঘর। ড্যাম স্কোয়ার থেকে কিছু দূরেই রয়েছে বিখ্যাত ফ্লাওয়ার মার্কেট। হল্যান্ডের মানুষ ফুলের প্রেমিক। প্রায় প্রতিটি বাড়ির জানালায় বা ব্যালকনিতে দেখা যায় ফুলের টব। অনেক বাড়ির সামনেই এক চিলতে বাগান।

ফ্লাওয়ার মার্কেটে ফুলের মেলা। টাটকা ফুলের পাশাপাশি রয়েছে ড্রাই ফ্লাওয়ার। হল্যান্ডের বিখ্যাত ফুল টিউলিপ। এখানে টিউলিপ ফুলের চারা, কন্দ পাওয়া যায়। বালব বা কন্দ থেকেই জন্মায় টিউলিপ ফুল।

সুভ্যেনিরের মার্কেটও এটি। বিখ্যাত ডাচ জুতোর আদলে তৈরি সিরামিকের সুভ্যেনির রয়েছে যার ভেতরে থাকবে টিউলিপ ফুলের বালব। পাওয়া যাবে হল্যান্ডের বিখ্যাত উইন্ডমিল, ভ্যান গঘ, রেমব্রান্টের প্রতিকৃতি ও আরও হরেক রকম সুভ্যেনির। এগুলো দুই ইউরো থেকে দশ ইউরোর মধ্যেই মিলবে।
ডাম স্কোয়রের কাছাকাছি রয়েছে চিজ মার্কেট।

ডাচ পনির পৃথিবী বিখ্যাত। সারা ইউরোপের পনিরের জোগানদাতা হল নেদারল্যান্ডস। এখানে সেই অতি সুস্বাদু পনিরের স্বাদ গ্রহণ করে ধন্য হলাম। নানা রকম পনির। ক্রাফট চিজ, চেডার চিজ, ব্রাউন চিজ, চিজ কেক--অভাব নেই কোনো কিছুর।

চিজ মার্কেটে অন্য খাবার দাবারও মিলবে। বিশেষ করে চকলেট, ড্রিংকস ও অন্যান্য মিল্ক প্রোডাক্ট।
কাছাকাছি রয়েছে আমস্টারডামের বিখ্যাত হীরার মার্কেট ও হীরার মিউজিয়াম।
সাইকেল পার্কিং আমস্টারডামের রেড লাইট এরিয়াকে ডাচ ভাষায় বলা হয় ডি ওয়ালেন, ওয়ালেতেজেস বা রোজে বার্ট। এটি রেড লাইট ডিসট্রিক্ট নামে সমধিক পরিচিত।

ইউরোপের সবচেয়ে বড় রেড লাইট এলাকা এটি। এখানে প্রস্টিটিউশন আইনসিদ্ধ। তবে এই ধরনের এলাকা বললেই যে মাস্তান ও দালালদের হল্লা বা মাতালের মাতলামির কথা মনে আসে তা কিন্তু এখানে নেই। এখানে কাচের উইনডোর সামনে ম্যানেকিনের মতো দাঁড়িয়ে নিজেদের প্রদর্শন করছেন যৌনকর্মীরা। ছেলে ও মেয়ে দুরকম যৌনকর্মীই রয়েছেন।

এই এলাকায় লাইভ শো, পিপ শো ও সেক্স শপ আর বারের ছড়াছড়ি। পুরো ব্যাপারটিই সম্ভব হয়েছে ডাচদের উদারনৈতিক রাজনীতিক ও সামাজিক চিন্তাভাবনার কারণে।
সাইকেল পার্কিং
রেড লাইট এলাকার সঙ্গেই রয়েছে বার স্ট্রিট বা রেস্টুরেন্ট এলাকা। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের খাবার পাবেন এই রাস্তার দুধারের রেস্টুরেন্টগুলোতে। সস্তা বা দামি দুরকমই রয়েছে।

খাঁটি ডাচ খাবার খেতে পারেন। পনির আর বিশাল ডাচ রুটি দেখেই রুচিকর মনে হয়। আবার সুরিনামিজ খাবারও খেতে পারেন। সুরিনামিজ খাবার বেশ মসলা দেওয়া, মজাদার ঝাল ও জিভে জল আনা ধাঁচের। আর ইন্ডিয়ান ফুড বা মোগলাই খাবার বিশ্বের সব দেশের মতো এখানেও রয়েছে।

থাই রেস্টুরেন্টে পাবেন টম ইয়াম স্যুপ আর সামুদ্রিক চিংড়ির গ্রিল। ইন্দোনেশিয়ান রেস্টুরেন্টে রয়েছে আমাদের দেশের ধরনে তৈরি পোলাওজাতীয় খাবারের সঙ্গে মাংসের কাবাব। আর রয়েছে মুসলিম রেস্টুরেন্ট। এখানে পাবেন মাংসের কাবাব, রুটি আর হালুয়া ধরনের মিষ্টি।
তাছাড়া ‘পাল্প ফিকশন’-এর সেই বিখ্যাত ‘ফ্রেঞ্চ ফ্রাইজ উইথ মেয়োনিজ’, টুরিস্ট এলাকাগুলির প্রায় প্রতিটি কোনায় পাবেন।

   
যারা শপিং ভালোবাসেন তাদের জন্য আমস্টারডামের শপিংয়ের কিছু হদিস দেই। এখানে প্রচুর সুপার মার্কেট রয়েছে। ডাচ ও আন্তর্জাতিক চেইন শপের পাশাপাশি রয়েছে ছোটখাটো সুপার মার্কেট। কাপড়-চোপড়ের জন্য বিশ্ববিখ্যাত সব ব্র্যান্ড শপ রয়েছে। বলা বাহুল্য ব্র্যান্ড শপে দামও আকাশ ছোঁয়া।

ফ্লাওয়ার মার্কেট ও চিজ মার্কেটের কাছাকাছি শপিং এলাকা। অনেকগুলো শপিং সেন্টার কিন্তু মাটির নিচে। আমস্টারডামে গেলে আর কিছু না কিনলেও অপূর্ব স্বাদের ডাচ চকলেট না কিনে ফেরা ঠিক হবে না।
পাল্প ফিকশন-এর ফ্রেঞ্চ ফ্রাইজ উইথ মেয়োনিজ সারা শহরে প্রচুর পার্ক ও খোলা চত্বর বা স্কোয়ার। ডাচ ভাষায় বলে প্লেইন।

পার্কের মধ্যে সবচেয়ে বড় ও বিখ্যাত হল ফন্ডেল পার্ক। বিশাল পার্কটির একদিকে রয়েছে ওপেন এয়ার থিয়েটারের জন্য মঞ্চ। শরতের শেষে বা হেমন্তে পার্কের প্রাকৃতিক শোভা অসাধারণ। মনে হয় ভ্যানগঘের আঁকা কোনো ছবির মধ্যে ঢুকে পড়েছি।
পাল্প ফিকশন-এর ফ্রেঞ্চ ফ্রাইজ উইথ মেয়োনিজ
আমস্টারডামের অনেকগুলো ভবন ইউনেসকোর বিশ্বের ঐতিহ্যবাহী স্থাপনার তালিকায় রয়েছে।

শহরের প্রাচীন চেহারাটি যেন অমলিন থাকে সে জন্য আমস্টারডামের অনেক এলাকা সংরক্ষিত ঘোষণা করা হয়েছে। এই শহরে এমন কোনো স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না যা প্রাচীন চেহারাকে পাল্টে দেয়। আমস্টারডামের রেলস্টেশনটি দেখলেই এ কথা কতদূর সত্যি তা বোঝা যায়। দূর থেকে দেখে রেলস্টেশনটিকে মধ্যযুগীয় প্রাসাদ বলে মনে হয়। অথচ ভেতরে চলছে আধুনিক ট্রেন।

মেট্রো বা ভূগর্ভ ট্রেন রয়েছে নগরবাসীর সুবিধার্থে। রয়েছে অন্যান্য সব আধুনিক সুযোগ সুবিধা। অথচ তা নগরের ঐতিহ্যবাহী চেহারাটিকে কোনোভাবে আঘাত করছে না। ঐতিহ্য আর আধুনিকতাই আমস্টারডামের মূল সুর। পাতা ঝরা শরতে এই সুরই যেন ভেসে বেড়াচ্ছিল প্রাণোচ্ছ্বল মহানগর জুড়ে।


ভিসা সম্পর্কিত তথ্য: নেদারল্যান্ডস অ্যাম্বেসি ঢাকায় থাকা সত্ত্বেও টুরিস্ট ভিসার (শেনগেন ভিসা) জন্য আপনাকে আবেদন করতে হবে সুইডেন অ্যাম্বেসিতে। ঠিকানা: সুইডেন অ্যাম্বেসি বাড়ি ১, রোড ৫১, গুলশান ২, ঢাকা ১২১২।  
সেন্ট্রাল স্টেশন কীভাবে যাবেন : সরাসরি আমস্টারডাম যাওয়ার কোন ফ্লাইট ঢাকা থেকে ছাড়ে না। এমিরেটস, টার্কিশ এয়ারলাইন্স ও অনান্য কিছু বিমান কোম্পানি অথবা ট্রাভেল এজেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। ভাড়া সিজন ভেদে বাড়ে-কমে।

  এছাড়া লন্ডন থেকে খুব সহজেই যেতে পারবেন আমস্টারডামে যে কোনো ‘লো কস্ট’ ফ্লাইটে, সময় লাগবে ১ ঘন্টারও নিচে। টিকেট কেটে নিতে পারবেন ইন্টারনেটেই। সময় বাচানোর জন্য সেরা বুদ্ধি হবে লন্ডন সিটি এয়ারপোর্ট থেকে আপনার যাত্রা শুরু করা, যেটি প্রানকেন্দ্র থেকে বেশী দুরে নয়।
সেন্ট্রাল স্টেশন
ফ্রি গাইডেড ওয়াকিং ট্যুর: অবিশ্বাস্য হলেও আমস্টারডামে ফ্রি ওয়াকিং ট্যুরের ব্যবস্থা আছে। প্রথমেই ইংরেজি গাইডের দলে যোগ দেবেন।

তবে ৩-৪ ঘন্টা চমৎকারভাবে যখন একটি তরুণ/তরুণী শহরটির ইতিহাস সহ মজার সব জিনিস দেখাবে তখন কিছুটা সৌজন্য প্রদর্শন করাটা খারাপ না, হতে পারে তা ৫ ইউরো।
সাবধানতা: টুরিস্টদের স্বর্গরাজ্য হওয়ায় পকেটমার আছে অনেক! সাধারন সাবধানতা রাখলেই এ ঝামেলা এড়াতে পারবেন।   রেড লাইট এরিয়াতে কর্মরত যৌন কর্মিদের ফটো তোলা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ, চেষ্টা করলে অনাকাংখিত পরিস্থিতিতে পড়তে হবে।
ছবি :  লেখক ও মিথুন বিশ্বাস 

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.