আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিনিয়োগ মুখ থুবড়ে পড়েছে, শিল্পের প্রবৃদ্ধি নিয়ে সংশয়। উৎপাদনে যাওয়ার আগেই নতুন শিল্প হয়ে পড়ে রুগ্ন ঋণখেলাপি। অথচ বাংলাদেশে রয়েছে শিল্পের অমিত সম্ভাবনা।

অহন থিক্কা সব শয়তানরে দৌরের উপর রাখুম। সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ ও সালাম মুবারক। বিদ্যুৎ-গ্যাস সঙ্কট ও ব্যাংকের উচ্চ সুদের হারের কারণে বিনিয়োগ মুখ থুবড়ে পড়েছে। শুধু দেশী নয়, বিদেশী বিনিয়োগেও একই চিত্র।

বিনিয়োগ না থাকায় নতুন শিল্প গড়ে উঠছে না। শিল্পের অনেক উদ্যোক্তা বিনিয়োগ করেও উৎপাদনে আসতে পারছে না। বসে বসে ব্যাংক ঋণের সুদ গুনতে গিয়ে দেউলিয়ার অবস্থা হয়েছে। বিনিয়োগের অভাবে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে না, শিল্পের প্রবৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এরই মধ্যে অতিমাত্রায় কমেছে শিল্পের মূলধনী যন্ত্রাংশ আমদানির পরিমাণও।

যার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে অর্থনীতির উপর। অথচ দেশে শিল্পখাতে পুঁজি বিনিয়োগে আগ্রহী উদ্যোক্তার কমতি নেই। প্রবাসীরাও তাদের কষ্টার্জিত অর্থ দেশে বিনিয়োগের জন্য মুখিয়ে রয়েছে। এতদসত্ত্বেও সাহস করে এগিয়ে আসছে না অনেকেই। এর নেপথ্য কারণ হিসেবে উদ্যোক্তারা জানিয়েছে, একটি দেশে তখনই শিল্পায়নের জন্য পুঁজি বিনিয়োগে স্বস্তিবোধ করেন উদ্যোক্তারা, যখন তার কাছে মনে হবে নিবন্ধিত হওয়ার পর অতি অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি যাবতীয় প্রস্তুতি সেরে উৎপাদনে যেতে পারবে।

বিনিয়োগ সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে উদ্যোক্তারা এ মানদ-ের কথা যখনই বিবেচনায় আনে তখনই দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগতে গিয়ে উৎসাহ হারিয়ে ফেলে। যদিও কেউ কেউ সাহস করে এগিয়ে এসে শিল্প বিনিয়োগের জন্য নিবন্ধিত হয়েছে, কিন্তু বাংলাদেশের বাস্তবতার যাঁতাকলে সেটি আর উৎপাদন ও কর্মসংস্থান পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারছে না। অর্থাৎ দেশে শিল্পায়ন প্রসারে পর্যাপ্ত অবকাঠামোগত দুর্বলতা আজ দেশী-বিদেশী উদ্যোক্তাদের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত সত্যে পরিণত হয়েছে। উদ্যোক্তারা বিদ্যমান বাস্তবতার কথা বলতে গিয়ে আরও জানিয়েছে, প্রয়োজনীয় জমির অভাব, ব্যাংক ঋণ, উচ্চ সুদের হার আর গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানি, প্রযুক্তি সেবা সার্ভিস ও যোগাযোগ ব্যবস্থা, যন্ত্রপাতি আমদানি ও তা স্থাপন করতে নিবন্ধনের পরও দুই থেকে তিন বছর হয়ে যাচ্ছে। সম্পূর্ণ প্রস্তুত একটি কারখানায় লোকবল নিয়োগের পরও শুধু গ্যাস-বিদ্যুৎ জটিলতায় পড়ে চালু হতে পারছে না।

এতে করে উৎপাদনে যাওয়ার আগেই রুগ্ন হয়ে পড়ছে অনেক শিল্প। এর নেতিবাচক প্রভাবে ব্যাংক ঋণের দায় শোধ করতে না পেরে অনিচ্ছাকৃতভাবেই ওই উদ্যোক্তা ঋণখেলাপির তালিকায় চলে যাচ্ছে। ওদিকে জনকল্যাণমূলক রাষ্ট্র হিসেবে উদ্যোক্তা আকর্ষণ, অবকাঠামোগত দুর্বলতা দূর, পণ্য বিপণন সহজলভ্যকরণসহ দ্রুত সম্প্রসারণের লক্ষ্যে নীতিগত সহায়তা দেয়ার দায়িত্ব সরকারেরই। কিন্তু বর্তমান মহাজোট সরকার তার নির্বাচনী ইশতেহারে দেশে শিল্প বিপ্ল¬ব ঘটানোর ডাক দিয়ে ক্ষমতায় আসার পর মেয়াদের শেষ বছরে এসেও শিল্প বিপ্ল¬বের রোডম্যাপে পৌঁছতে পারেনি। একের পর এক নীতি ও আশ্বাসের বেড়াজালেই বন্দি থাকে শিল্পায়ন প্রসারের কর্মকা-।

এক্ষেত্রে দুই-একটি সাফল্য যদিও সরকারকে স্পর্শ করেছে, কিন্তু সেখানে অতিমাত্রার আত্মতুষ্টির কারণে সেটি আর বেশি দূর এগোতে পারেনি। এ কারণে অবকাঠামোগত সমস্যা দিন দিন আরও গোল পাকাচ্ছে; যা গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়াচ্ছে উদ্যোক্তাদের। জানা গেছে, শিল্পখাতে বিদ্যমান প্রধান ও মৌলিক চিহ্নিত সমস্যাগুলো হচ্ছেÑ সচ্ছল জনগণের জন্য বিলাসবহুল পণ্যের অবাধ আমদানি ব্যবস্থা, বিদেশী পণ্যের প্রতি দেশের জনগণের অহেতুক মোহ, বিদেশী পণ্য সহজলভ্য হওয়ায় প্রতিদ্বন্দ্বী দেশী পণ্যের বাজার হারানো; শিল্পকারখানা দৃশ্যমান অবয়বসম্পন্ন বিধায় আমদানিকৃত বাণিজ্য পণ্যের তুলনায় শিল্পজাত দেশী পণ্য রাজস্ব কর্তৃপক্ষের অধিকতর নজরদারিতে থাকে। ফলে শিল্পজাত দেশী পণ্যের তুলনায় আমদানিকৃত বাণিজ্য পণ্য রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অন্যায্য লাভের সুযোগ পেয়ে থাকে। এছাড়াও শিল্পখাতের অন্যতম সমস্যা হিসেবে দেখা হচ্ছে আমদানিনির্ভর বাণিজ্য নীতি।

মৌলিক শিল্প এবং ভারি শিল্প গড়ার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ ও জ্বালানির অভাব; সুস্পষ্ট শিল্প সমর্থক ট্যারিফ কাঠামোর অভাব। অন্যদিকে শিল্প স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামোগত সুযোগ না থাকা। এর আওতায় জমি, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানি, টেলিফোন, যোগাযোগ ব্যবস্থা, যন্ত্রপাতি এবং মূলধনের ব্যবস্থা করতে দীর্ঘ সময় ব্যয় হওয়ায় নতুন শিল্প পুরোপুরি উৎপাদনে যাওয়ার আগেই রুগ্ন ও ঋণখেলাপি হয়ে পড়ে। অন্যান্য দেশের তুলনায় বিলম্বে শিল্পায়ন শুরু হওয়ায় বিশ্বায়নে বিরূপ প্রভাব লক্ষ্যুীয়। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ একটি বৃহৎ কৃষিভিত্তিক গ্রামীণ জনপদ।

এখানে কৃষি এখনও শিল্পের বিকল্প হতে পারেনি। তাই কৃষিনির্ভর শিল্পের অমিত সম্ভাবনার প্রত্যেকটি চিহ্নিত করে কাজে লাগাতে হবে। বিশেষ করে এদেশে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের ঐতিহ্যগত সাফল্য ছিল, এখনও আছে। সব না হলেও এর মধ্যে বেশ কিছু লাভজনক আছে বা লাভজনক করে তোলা সম্ভব। উন্নয়নশীল কিছু দেশে শ্রমঘন হালকা ও মাঝারি শিল্প ক্রমশ অলাভজনক হয়ে পড়ায় তারা ওই সব শিল্পে নিরুৎসাহিত বা চালু শিল্প বন্ধ করে দিয়ে হাইটেক শিল্প স্থাপন করতে বাধ্য হচ্ছে।

বাংলাদেশ ওই সব শ্রমঘন হালকা ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠা করতে পারে। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের সেবা শিল্পেও বাংলাদেশের অমিত সম্ভাবনা রয়েছে। মূলত সব সমস্যা সমাধানে চাই সদিচ্ছা ও সক্রিয়তা তথা সততা। কিন্তু এর জন্য প্রয়োজন নেক ছোহবত মুবারক, নেক সংস্পর্শ মুবারক তথা রূহানী ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ মুবারক। যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা পাওয়া সম্ভব।

খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। (আমীন) ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।