আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গার্মেন্ট এখনো উত্তাল

এখনো বিক্ষোভে উত্তাল দেশের গার্মেন্ট শিল্প। অন্যান্য জায়গায় আন্দোলনের রেশ না থামতেই নতুন বিক্ষোভ শুরু হয়েছে নারায়ণগঞ্জ ও টাঙ্গাইলে।  নূন্যতম মজুরি আট হাজার টাকা নির্ধারণের দাবিতে গতকাল চতুর্থ দিনের মতো বিক্ষোভ হয়েছে রাজধানী ঢাকা, গাজীপুর, সাভার ও আশুলিয়ায়। এ সময় শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটায়। এ ছাড়া টঙ্গীতে থানা ঘেরাও করে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা।

বিভিন্ন স্থানে পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী টিয়ারগ্যাস ও রাবার বুলেট ছোড়ে এবং লাঠিচার্জ করে। এসব ঘটনায় সাংবাদিক, পুলিশসহ আহত হয়েছেন অন্তত ১০০ জন। নিজস্ব প্রতিবেদক, জেলা ও থানা প্রতিনিধিদের পাঠানো খবব :

ঢাকা : নূ্যনতম মজুরি আট হাজার টাকা নির্ধারণের দাবিতে রাজধানীর তেজগাঁও, কুড়িল, বিশ্বরোড এলাকায় গতকালও সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেছে গার্মেন্ট শ্রমিকরা। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের নিবৃত্ত করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তারা।

এ সময় শ্রমিকরা অন্তত সাতটি গাড়ি ভাঙচুর করে। এতে রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট। চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় নগরবাসীকে। নিচে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার বিক্ষোভের চিত্র তুলে ধরা হলো_

তেজগাঁও : সকাল ৯টার দিকে সেপাল গার্মেন্টসের শ্রমিকরা বেতন-ভাতা বাড়ানোর দাবিতে তেজগাঁও এলাকায় কারখানার সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। এ সময় ওই সড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

আশপাশে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে শ্রমিকদের কাজে ফিরে যাওয়ায় অনুরোধ জানায় পুলিশ। একপর্যায়ে গার্মেন্টস কারখানাটি ছুটি ঘোষণা করলে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে শ্রমিকরা। পরে তারা রাস্তায় অবস্থান নিয়ে কারখানা লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও গাড়ি ভাঙচুর শুরু করে। পুলিশ এ সময় শ্রমিকদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করলে সংঘর্ষ বেধে যায়।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল ছুড়লে শ্রমিকরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। ব্যবহার করা হয় সাঁজোয়া যান।

কুড়িল-বিশ্বরোড : প্রায় একই সময়ে খিলক্ষেত এলাকার কয়েকটি গার্মেন্টসের কয়েক হাজার শ্রমিক অবরোধ করে কুড়িল-বিশ্বরোড সড়ক। এ সময় তারা উড়াল সেতুর ওপরে ও নিচে অবরোধ তৈরি করে বিক্ষোভ করতে থাকে। গাজী টাওয়ার, ইউরো জোন, ক্ল্যাসিক, মোহাম্মদিয়া ও কেনিয়া গার্মেন্টসের প্রায় চার হাজার শ্রমিক অবরোধে অংশ নেয়।

তারা ইট-পাথর মেরে বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে। অবরোধের কারণে বিমানবন্দর সড়কসহ সংশ্লিষ্ট সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সড়কের উভয় পাশে দেখা দেয় তীব্র যানজট। পুলিশের হস্তক্ষেপে সকাল ১০টার দিকে অবরোধ তুলে নিলে শুরু হয় যান চলাচল।

নারায়ণগঞ্জ : নূন্যতম বেতন ৮ হাজার টাকা নির্ধারণের দাবিতে ব্যাপক বিক্ষোভ করেছে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা শিল্পাঞ্চল এলাকার বিভিন্ন গার্মেন্টের শ্রমিকরা।

এ সময় তারা কয়েকটি গার্মেন্ট ও যানবাহন ভাঙচুর এবং ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড দুই ঘণ্টা অবরোধ করে রাখে। উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে ফতুল্লা শিল্পাঞ্চলের অনেক গার্মেন্ট কারখানা ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। জানা গেছে, ফতুল্লা শিল্পাঞ্চলের কাঠেরপুর, পিটালীপুল, রামারবাগ, কুতুবআইল এলাকার গার্মেন্টগুলোর শ্রমিকেরা সকাল ৯টায় রাস্তায় নেমে আসে। তারা নূন্যতম বেতন ৮ হাজার টাকা নির্ধারণের দাবি জানান। পৌনে ১০টায় ফতুল্লার শিবু মার্কেট এলাকায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড অবরোধ করে রাখে ১৫-২০টি গার্মেন্টের অন্তত ৮-১০ হাজার শ্রমিক।

বেলা ১১টায় ফতুল্লার লামাপাড়া এলাকায় লোহার মার্কেটের শ্রমিকদের সঙ্গে আন্দোলনরত গার্মেন্টস শ্রমিকদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও একটি ভ্যানগাড়ি ভাঙচুর করা হয়। গার্মেন্ট-শ্রমিক নেতারা, শিল্পপুলিশ, ফতুল্লা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে আশ্বাস পেয়ে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয় শ্রমিকরা। গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি এম এ শাহীন জানান, শ্রমিকদের বুঝিয়ে-শুনিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।

শ্রমিকরা তাদের অবরোধ তুলে নিয়েছে। তবে দাবি আদায়ের লক্ষ্যে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাবে তারা।

টাঙ্গাইল : জেলার মির্জাপুরে শিল্প এলাকায় গার্মেন্ট শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে সাংবাদিক ও পুলিশসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। নূন্যতম মজুরি ৮ হাজার টাকা নির্ধারণের দাবিতে মির্জাপুরের শিল্প এলাকা গোড়াই, হাঁটুভাঙা, সোহাগপাড়া, ক্যাডেট কলেজের আশপাশের গার্মেন্ট থেকে বেরিয়ে এসে শত শত শ্রমিক ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে অবস্থান নেয়। এ সময় মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা বেশ কিছু যানবাহনে ভাঙচুর চালায়। পুলিশ এতে বাধা দিলে শ্রমিকদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ ও বেশ কয়েক রাউন্ড টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষে পুলিশের বিশেষ শাখার এসআই মামুন, দৈনিক ইত্তেফাকের মির্জাপুর প্রতিনিধি মীর আনোয়ার হোসেন টুটুলসহ অন্তত ২০ জন আহত হন। তাদের মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষের পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

গাজীপুর : একই দাবিতে চতুর্থ দিনের মতো শ্রমিক বিক্ষোভ অব্যাহত ছিল কালও। সকাল থেকে এখানকার বেশির ভাগ কারখানায় শ্রমিকরা কাজে যোগ দেয়। তবে কালিয়াকৈরের পল্লীবিদ্যুৎ, মহানগরীর ভোগড়া বাইপাস, তিনসড়ক, কোনাবাড়ী এবং শ্রীপুর উপজেলার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের মুলাইদ এলাকার কারখানার শ্রমিকেরা বিক্ষোভ করে।

ফলে এসব এলাকার অর্ধশতাধিক কারখানায় গতকালও ছুটি ঘোষণা করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ৮টা থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পল্লীবিদ্যুৎ এলাকার অ্যাপেঙ্ টেঙ্টাইল লিমিটেডের শ্রমিকদের সঙ্গে কর্মবিরতি নিয়ে কর্তৃপক্ষের বাকবিতণ্ডা হয়। পরে শ্রমিকেরা কাজে যোগ না দিয়ে কারখানায় ভাঙচুর চালিয়ে বাইরে বেরিয়ে যায়। বিক্ষুব্ধরা আশপাশের আয়মন টেঙ্, ইন্টারস্টফ অ্যাপারেল লিমিটেড, ডিভাইন টেঙ্ লিমিটেডে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। পরে ওই তিনটি কারখানার শ্রমিকেরা বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে জোট বেঁধে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করে।

এতে অংশ নেয় অন্তত ১০ হাজার শ্রমিক। তারা গাছের গুঁড়ি ফেলে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করতে গেলে শিল্পপুলিশ তা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। কিন্তু শ্রমিকরা শিল্পপুলিশকে উপেক্ষা করে কমপক্ষে ১০টি যাত্রীবাহী বাস, পিকআপ ভ্যান, প্রাইভেট কারের গ্লাস ভাঙচুর করে। এ সময় সড়কের দুই পাশে চার কিলোমিটার এলাকায় যানজট সৃষ্টি হয়। পরে টিয়ার শেল ছুড়ে ও লাঠিচার্জ করে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় কালিয়াকৈর থানা পুলিশ ও শিল্পপুলিশ।

বেলা ১২টার দিকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। এ ছাড়া সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা-গাজীপুর মহাসড়কের তিনসড়ক এলাকায় কয়েকটি পোশাক কারখানায় শ্রমিকেরা এসে ভাঙচুর করতে গেলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সকাল সোয়া ১০টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের নাওজোড় এলাকায় দিগন্ত সোয়েটার কারখানার শ্রমিকেরা মহাসড়কে নামতে চাইলে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এদিকে শ্রীপুর উপজেলার মুলাইদ গ্রামের হাসিন সোয়েটার কারখানায় শ্রমিকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। সকাল ১০টার দিকে পাশর্্ববর্তী তালহা স্পিনিং কারখানা, ওয়েলটেঙ্ লিমিটেডের শ্রমিকরা হাসিন সোয়েটার কারখানার শ্রমিকদের সঙ্গে এক হয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে।

তারা গাছের ডোম ফেলে সড়ক অবরোধের সৃষ্টি করে। এতে ওই সড়কের উভয় পাশে কমপক্ষে চার কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়। এ সময় তালহা স্পিনিং মিল ভাঙচুর করে শ্রমিকরা। অন্যদিকে পরশু ভোগড়ায় আনসার ক্যাম্পে হামলা ও অস্ত্র লুট এবং অগি্নসংযোগের ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় ৮-১০ হাজার শ্রমিকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। সোমবার রাতে আনসারের সহকারী প্লাটুন কমান্ডার জামিল উদ্দিন বাদী হয়ে জয়দেবপুর থানায় মামলাটি করেন।

মহানগরীর ঢাকা বাইপাস সড়কের ভোগড়া এলাকার কলোসাস অ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানার ভেতর আনসার ক্যাম্পে সোমবার হামলা চালিয়ে শ্রমিকরা ভাঙচুর চালায়, চারটি রাইফেল লুট ও এতে অগি্নসংযোগ করে।  

টঙ্গী : টঙ্গী বিসিক শিল্প এলাকার ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা গতকালও ব্যাপক বিক্ষোভ করেছে। নূ্যনতম মজুরি আট হাজার টাকা নির্ধারণের দাবিতে তারা সড়ক অবরোধ এবং একপর্যায়ে টঙ্গী মডেল থানা ঘেরাও করে। শ্রমিক জানায়, সকাল সাড়ে ৯টা থেকে টঙ্গী বিসিকি শিল্প এলাকার রেডিসন ওয়াশিং ও রেডিসন অ্যাপারেলসের প্রায় তিন হাজার শ্রমিক বেতন বাড়ানোর দাবিতে কারখানার ভেতরে কর্মবিরতি শুরু করে। এ সময় কারখানা কর্তৃপক্ষ কাজে যোগদানের জন্য শ্রমিকদের চাপ প্রয়োগ করে।

পরে ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ শুরু করে। শ্রমিকদের লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয় টঙ্গী মডেল থানা পুলিশ। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে বিক্ষুব্ধরা। এতে পুলিশসহ ১৫ জন আহত হয়। আহতের ঘটনায় শ্রমিকরা আরও ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে।

একপর্যায়ে ওই কারখানার সব শ্রমিক সংঘবদ্ধ হয়ে বেলা ১১টার দিকে টঙ্গী মডেল থানার ভেতরে ঢাকার চেষ্টা করে। এ সময় থানার মূল ফটক বন্ধ করে দেয় পুলিশ। শ্রমিকরা থানার মূল ফটকের বাইরে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করতে থাকে। পরে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ শ্রমিকের সঙ্গে কথা বললে তারা সেখান থেকে সরে স্টেশন রোড মোড়ে গিয়ে টঙ্গী-কালীগঞ্জ সড়ক কিছু সময় অবরোধ করে রাখে।

সাভার : শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার জিরাবো এলাকায় শ্রমিক-বিক্ষোভ হয়েছে কালও।

এ সময় শ্রমিকরা কারখানায় ভাঙচুর ও সড়ক অবরোধের চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত অর্ধশত ব্যক্তি আহত হয়। শ্রমিক ও শিল্পপুলিশ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে আশুলিয়ার জিরাবো পুকুরপাড় এলাকার মাসকট গ্রুপের শ্রমিকরা কাজে যোগ না দিয়ে মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে কারখানার সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। এ সময় পাশর্্ববর্তী রেডিয়েন্স নিটওয়্যারের শ্রমিকরাও কাজে যোগ না দিয়ে কারখানা থেকে বেরিয়ে বিক্ষোভে যোগ দেয়। পরে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা সাউদার্ন ডিজাইন, সাউদার্ন মিনি, টি-ডিজাইন ও সিলভার টেক্সসহ কয়েকটি কারখানায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে শ্রমিকদের বের করে আনে।

এতে বিক্ষোভের আশঙ্কায় আশপাশের ২০টি কারখানায় ছুটি ঘোষণা করে মালিকপক্ষ। এ সময় শ্রমিকরা দাবি আদায়ে বাইপাইল-আবদুল্লাহপুর সড়কের জিরাবো বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সড়ক অবরোধের চেষ্টা করলে শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ার শেল, রাবার বুলেট নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করে। তবে এলাকাবাসীর অভিযোগ, পুলিশ সাধারণ লোকজনের ওপর লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে তুলেছে।



সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.