আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ডেসটিনি লুটের নেশা এখনো কাটেনি মুখোশধারীদের!!

শ্বাস-প্রশ্বাসে আছে স্বাধীনতা, চিন্তায় মানবতা...

দেশের অন্যান্য প্রতিষ্ঠান আর অন্যান্য গ্রুপ অব কম্পানিজ থেকে কিছুটা ভিন্ন ডেসটিনি গ্রুপ এবং তার অন্যতম কিছু সহযোগী প্রতিষ্ঠানের এক যুগের কঠোর পরিশ্রমে গড়া কয়েক হাজার কোটি টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ লুটের মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে প্রায় আঠারো মাস আগে শুরু হয় দেশের ইতিহাসে বিরল এক নির্লজ্জ মিডিয়া অ্যাটাক। এমন কোন উপায় বাকী নেই যেটা মানুষকে বিভ্রান্ত করার উদ্দেশ্যে কাজে লাগানো হয়নি। ডেসটিনির কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পদ লুটের হীন উদ্দেশ্যে বিশাল অংকের বিনিয়োগ নিয়ে মাঠে নামার দরুন দেশের হলুদ মিডিয়াগুলো প্রথমেই বিকিয়ে যায় তাদের কাছে। এটিএন নিউজ, চ্যানেল আই থেকে শুরু করে প্রথম আলো, নয়া দিগন্ত, যুগান্তর, ইত্তেফাক, বনিকবার্তা, দরবেশ বাবার ইন্ডিপেন্ডেন্ট নিউজ পর্যন্ত ছোট-বড় অনেক মিডিয়া করেছে সিন্ডিকেট নিউজ অ্যাটাক। একের পর এক খবর।

আজ এইরকম তো কাল আরেকরকম। তবে ডেসটিনির ভিত্তি মজবুত থাকায় মিডিয়া অ্যাটাকে তাদের বিপুল পরিমান অর্থের ক্ষতি এবং প্রাতিষ্ঠানিক মানহানি হলেও এর মূল চালিকাশক্তি ডিস্ট্রিবিউটর এবং বিনিয়োগকারীরা থেকে যান ডেসটিনির পক্ষেই। ধৈর্যের বাধ অতিক্রম করার এক পর্যায়ে চার পত্রিকার বিরুদ্ধে ৫০০০ কোটি টাকার মানহানি মামলাসহ বাংলাদেশ ব্যাংকের বিরুদ্ধে রিট দায়ের করেন গ্রুপের চেয়ারম্যান ডক্টর রফিকুল আমীন। কোন বিশেষ মহলের ইশারায় মামলায় হাজিরা পর্যন্ত নেয়া হয়নি বিবাদীদের। গ্রুপ চেয়ারম্যান ডক্টর রফিকুল আমীন একের পর এক টকশো তে উপস্থিত হয়ে জোরালোভাবে ডেসটিনির সকল তথ্য বিশদ আকারে তুলে ধরা শুরু করলে সিন্ডিকেট মিডিয়া অ্যাটাকে আর তেমন কাজ হয়নি ষড়যন্ত্রকারীদের পক্ষে।

একসময় ডক্টর আমীন এক বেসরকারী টিভি চ্যানেলে ওপেন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন ডেসটিনির বিরুদ্ধে আনা মিথ্যা অভিযোগ প্রমান করতে। ঢালাওভাবে রিপোর্টকারী মিডিয়াগুলো থেকে কেউই এগিয়ে আসেনি চ্যালেঞ্জ গ্রহন করতে। এমনকি ডেসটিনির বিরুদ্ধে বড় বড় ভাষণদাতা সবজান্তাদের মধ্যেও কেউ টু শব্দ করার সৎ সাহস পায়নি। তবে ষড়যন্ত্রকারীরা এসব থেকে ধারনা নেয় ডক্টর রফিকুল আমীন দেশের আইন সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান রাখেন এবং একমাত্র উনার বিজ্ঞ পরিচালনার কারনে ডেসটিনি টিকে আছে। যদিও, তাদের এ ধারনাটি খুব একটা ভুল ছিল না।

খুব রহস্যজনকভাবে হঠাৎ করে দুদক ডেসটিনির ২২ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং মামলা ঠুকে বসে। অথচ, দুই একদিন আগেই যেই দুদক জানিয়েছে যে ডেসটিনির বিরুদ্ধে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অভিযোগ নেই, সংবাদপত্রের লেখালেখির সত্যতা যাচাইয়ে তারা তদন্ত করছে। ডেসটিনি কর্তৃপক্ষ তাদের সহায়তা করছে...... (বাকী অংশ পরবর্তী পোস্টে) একে একে সকল মুখোশধারীর পরিচয় তুলে ধরা হবে। এমনকি কোন ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান/রাজনৈতিক দল কোন স্বার্থ হাসিলের জন্য কি ভুমিকা রেখেছেন তা বিস্তারিত তুলে ধরা হবে, ইনশাআল্লাহ্‌।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।