চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে মুক্তিপণের দাবিকৃত ১০ লাখ টাকা না পেয়ে অবশেষে কেজি স্কুলে পড়ুয়া প্লে গ্রুপের শিশু শিক্ষার্থী ইমনকে (৬) হত্যা করল দুর্বৃত্তরা। অপহরণের তিন দিন পর শুক্রবার বিকালে স্থানীয় চান্দা বাজারের একটি ময়লার স্তূপ থেকে তার বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শী ও ইমনের পরিবার জানায়, জুমার নামাজের পর বাজারের পরিচ্ছন্ন কর্মীরা ওই ময়লার স্তূপে একটি বস্তাবন্দী লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকদের জানায়। তাৎক্ষণিক লোকজন ছুটে গিয়ে একটি পলিথিনের স্বচ্ছ বস্তায় মোড়ানো, স্কুল ড্রেস পরা অবস্থায় ইমনের লাশ বলে শনাক্ত করে। পরে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।

এদিকে ইমনের লাশ উদ্ধারের সংবাদে তার গ্রামের বাড়ি মদনেরগাঁও গ্রামে মাতম চলছে। বিদেশ ফেরত বাবা মিজানুর রহমান ও মা রাশিদা বেগমের কান্না থামছে না। তাদের আহাজারিতে এলাকার পরিবেশ ভারি হয়ে উঠে। যারা সংবাদ পেয়ে দেখতে এসেছে তারাও যেন এই ঘটনায় বাকরুদ্ধ হয়ে গেছে। গত মঙ্গলবার দুপুরে চান্দা শিশু একাডেমির প্লে গ্রুপের শিক্ষার্থী নাবিল রহমান ইমন (৬) স্কুল থেকে বাজারের বাসায় ফেরার পথে অপহরণ হয়।

এর পরেই অজ্ঞাত একটি মোবাইল নম্বর থেকে ফোন করে তার মা রাশিদা বেগমের কাছে ইমনকে জীবিত ফেরত চাইলে ১০ লাখ টাকা দিতে হবে বলে জানায় অপহরণকারীরা। পাশাপাশি পুলিশকে জানালে ইমনকে মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হয়। ওই দিন সন্ধ্যায় সংবাদ পেয়ে এলাকার বিভিন্ন স্থানে তাদের ধরতে অভিযানে নামে পুলিশ। এ ব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানার ওসি নাজমুল হক জানান, লাশ উদ্ধারের পর ময়নাদতন্তের জন্য চাঁদপুর পাঠানো হয়েছে। অপহরণের মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হবে।

 

 

।