আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইতিহাসের দুঃসাহসী অভিযান

অসাধ্যকে সাধন করা, অসম্ভবকে সম্ভব করাই মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব। এর জন্য দুঃসাহসী মানুষগুলো মৃত্যুর ভয়কে থোড়াই কেয়ার করে ছুটে গেছেন পৃথিবীর দুর্গম স্থানগুলো থেকে শুরু করে সুদূর মহাকাশে। উড়িয়েছেন মানবের বিজয় কেতন। অসম্ভবকে সম্ভব করাই যখন প্রত্যয়, মানব কল্যাণই যখন লক্ষ্য, গবেষণাগারে নিজেই হয়েছেন গিনিপিগ, উড়িয়েছেন বিমান প্যারাসুট আর ব্রেক ছাড়া। মানব ইতিহাসের এমনি একটি ঐতিহাসিক অভিযানের তালিকা তৈরি করেছে বিখ্যাত টাইমস সাময়িকী।

সেই অভিযানগুলো সম্পর্কে জানাচ্ছেন- শামস্ বিশ্বাস।

 

১৮৫২ সালে বাঙালি গণিতবিদ ও জরিপকারক রাধানাথ শিকদার আবিষ্কার করলে পৃথিবীর সর্বোচ্চ চূড়া। ব্রিটিশ ভারতের সাবেক জরিপ পরিচালক জর্জ এভারেস্টের নামে পর্বতচূড়াটির নামকরণ করা হয় 'মাউন্ট এভারেস্ট'। সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ আবিষ্কার হয়েছে এই খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে সব অদম্য সাহসী পর্বতারোহীরা উঠে পড়ে লেগে গেলেন এভারেস্ট জয় করার জন্য। নানা দেশ থেকে নানা পর্বতারোহী এসে ভিড় জমাতে লাগলেন এভারেস্টের দেশ নেপালে।

একটার পর একটা অভিযান ব্যর্থ হয়ে কতজন যে প্রাণ হারা কত জনের অঙ্গহানি হলো; তার পরও থেমে থাকেননি দুঃসাহসী পর্বতারোহীরা; একের পর এক অভিযান চলতে থাকল।

অসম্ভবকে সম্ভব করার মিশন সুদূর নিউজিল্যান্ডে থেকে নেপাল চলে আসেন স্যার এডমন্ড পারসিভাল হিলারি (এডমন্ড হিলারি)। সঙ্গী হিসাবে পেয়ে যান নেপালেরই তেন জিং নরগেকে। তারা ১৯৫৩ সালের ২৮ মে রওনা দেন এভারেস্ট জয়ের উদ্দেশ্যে। সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে তারা শুরু করেন তাদের অভিযান।

এর মধ্যে অনেক প্রতিকূলতা, বাধা-বিপত্তি না মেনে চলতে থাকেন অবিরাম। সেই সুবাদেই ১৯ মে ১৯৫৩ সালের ২৯ মে বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে পৃথিবীর প্রথম মানুষ হিসেবে পা রাখেন এভারেস্টের চূড়ায়। তবে এডমন্ড হিলারিই সবার আগে ওঠেন হিমালয়ে। তখন নরগে ছিলেন তার চেয়ে মাত্র ১০০ মিটার নিচে। এভাবেই মানুষ প্রথম জয় করে এভারেস্টের মতো অসম্ভব এক জগৎকে।

এভারেস্ট জয় করার খবর পেয়ে সূদূর লন্ডন থেকে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ নেপালে এসে তাদের বীর হিসেবে আখ্যায়িত করে সংবর্ধনা দেন।

তাদের এই জয়ের পরে থেমে আর থেমে থাকেনি জয়ের ধারা। সেই থেকে আজ পর্যন্ত দুই সহস্রাধিক পর্বতারোহী উঠেছেন এভারেস্টে। সেখানে আমাদের দেশকেও উজ্জ্বল করেছেন বাংলাদেশের দামাল ছেলেমেয়েরা। সর্বপ্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ২৩ মে ২০১০ সালে এভারেস্টে জয় করেন মুসা ইব্রাহীম।

এর পর মোহাম্মদ আবদুল মুহিত (২০১১ ও ২০১২), নিশাত মজুমদার (২০১২), ওয়াসফিয়া নাজরীন (২০১২) ও সজল খালেদ (২০১৩, এভারেস্ট জয়ের পরে চূড়া থেকে নামার সময় মারা যান) এভারেন্টের চূড়ায় আমাদের গর্বের লাল-সবুজ পতাকা উড়ান।

 

 

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।