আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইতিহাসের সেই নীল গাছ ......

নীল গাছকে দীর্ঘ সময় পানিতে ভিজিয়ে রেখে সেই পানি সিদ্ধ করে নীচে থেকে শক্ত যে বস্তু পড়ে থাকত – তাকে ভেংগে গুড়া করেই নীল তৈরি হত। এক বিঘা থেকে ৩ সের নীল পাওয়া যেত। এই তিন সের নীল উৎপাদনে ব্যায় হত ১০ থেকে ১২ টাকা। অন্যদিকে বিক্রি হত ৭ থেকে ১০ টাকা। এই অবস্থার বিরুদ্ধে কোন কথা বললে খুন করে লাশ ঘুম করে ফেলতো এই নীল বানরেরা।

১৮৫৯ সালে স্থাপিত ধ্বংস প্রায় ভাটপাড়া নীলকুঠিটি ইট, চুন-শুরকি দ্বারা নির্মাণ করা হয়। এর ছাদ লোহার বীম ও ইটের টালি দিয়ে তৈরী। এই কুঠির পাশ দিয়ে বয়ে গেছে কাজলা নদী। ভাটপাড়া, আমঝুটি আর বামন্দি নীলকুঠিতে চাষীদের উপর নির্যাতনের কথা আজও গল্পের ছলে স্মরন করে শিহরিত হয়। অতীতের সেই নীল চাষীদের উপর হ্রিদয় বিদারক নির্যাতনে চিত্র বাংলার সব জায়গায় একই রকম ছিল।

এসব পড়তে পড়তে মনে হয়, নীল গাছ থেকে যে নীল রং তৈরি হত তা আর কিছু ছিল না, ছিল চাষীদের বুকের তাজা রক্ত।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।