আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

একটা ভূত জানালা দিয়ে উঁকি দিচ্ছে বারবার । কি করি ?



চার্লস ডিকেন্স লোকটা অন্য রকম ছিলেন। পত্রিকায় তিনি ধারাবাহিক উপন্যাস লিখতেন। তাঁর উপন্যাসের কিস্তি পড়ার জন্য অধীর আগ্রহে পাঠকেরা অপেক্ষা করতেন। মাস্টার হামফ্রেজ ক্লক নামের একটা সাপ্তাহিকে তাঁর উপন্যাস প্রকাশিত হতো। দি ওল্ড কিউরিসিটি শপ ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ হতে শুরু করে ১৮৪০ সালে।

উপন্যাসটি ইংল্যান্ডের গণ্ডি ছাড়িয়ে আমেরিকায়ও তুমুল জনপ্রিয় হতে শুরু করে। কাহিনি তখন চূড়ান্ত পর্যায়ে। আর মাত্র একটি পর্ব বাকি। সবার আগ্রহ উপন্যাসের নায়িকা নেলের পরিণতি নিয়ে। সে কি বাঁচবে, নাকি মারা যাবে।

তখন সাপ্তাহিকটি আমেরিকা যেত জাহাজে করে। জাহাজ যেদিন ভিড়বে, সেদিন ঘাটে হাজার হাজার মানুষের ভিড়। পত্রিকা হাতে পেয়ে পড়ার জন্য সবাই অস্থির। আর সহ্য করতে না পেরে জনতা চিৎকার করে জাহাজের নাবিকদের কাছেই জানতে চাইল, ‘নেল কি মারা গেছে?’ এ রকম এক গল্প জানার পর লেখক হতে কার না ইচ্ছা করে! একমাত্র তুমি ছাড়া কেউ ই জানে না তুমি কি... তোমার ক্ষমতা... তোমার মধ্যে কি আছে...। মানুষ তোমায় মাপে তোমাকে দেখতে কেমন, তোমার পোশাক, গেজেট, তোমার যা কিছু আছে তাই দিয়ে।

কিচ্ছু যায় আসে না তাদের মাপায়। যুদ্ধ করো যোদ্ধার মতো। এ যুদ্ধ নিজেকে ইতিহাসের পাতায় ঠাই দেয়ার যুদ্ধ। হাল ছেড়ো না কোন কিছুতেই। এ লড়াই শুধু অস্তিত্তের না আরও বেশী কিছুর জন্য যেটা একমাত্র তুমি ই জানো।

এমনকি যদি তোমার সব কাপর চোপড় বিক্রি করে রাস্তার কুকুরের সাথে শুয়ে থাকতে হয়, ভয় পেওনা। কোন সমস্যা না। যতক্ষণ তুমি বেঁচে আছ ততক্ষন তোমার গল্প শেষ হবে না... ’’ । আমার দাদী মরে যাবার দশ মিনিট আগে আমাকে বলেছিলেন- '' শোন রাজীব, যে মেয়ের মাথার চুল অনেক লম্বা সেই মেয়েকে বিয়ে করবি। যে মেয়ের মাথার চুল যত লম্বা- সে মেয়ের তত বেশী ধৈর্য্য ।

আর ধৈর্য্যশীল মেয়েরা খুব সাংসারিক হয়। সে মেয়ের সাথে ঘর সংসার করে আরাম পাবি। এক খরগোশ প্রতিদিন এক মুদির দোকানে গিয়ে বলত... 'গাজর আছে' ? দোকানদার বারবার 'না নেই' বলার পরও সে প্রতিদিন গিয়ে বলত... 'গাজর আছে' ? এতে দোকানদার রেগে গিয়ে খরগোশ এর দাঁত ভেঙে দিলো... তারপর... তারপর খরগোশ গিয়ে পরের দিন মুদির দোকানে গিয়ে জিজ্ঞেস করলো... 'গাজরের জুস আছে' ? সংলাপই নাটককে মানুষের দ্বারে নিয়ে যায়। অয়োময় নাটকে ‘ডাক্তার সাব শরীরডা ভালা’ রূপনগরের ‘ছিঃ ছিঃ তুই এতোই খারাপ’, কোথাও কেউ নেই নাটকের ‘মাইরের মধ্যেও ভাইটামিন আছে’, সবুজ সাথী’র ‘আগে মানুষ অনেক ভালো কাজ করতো, এখন মানুষ ভালো কাজ করেনা ক্যাকো ক্যাকো’ নাটকের সংলাপই আজও বলে দেয় তা কতটা জনপ্রিয়। বারো রকমের মানুষ নাটকে তারিক আনামের ‘থামলে ভালো লাগে’ শিরোনাম ডায়লগটিও দারুন জনপ্রিয় হয়।

বহুব্রীহি নাটকে ‘বহিস্কার হও’ এবং পাখির গলায় যখন ভেসে উঠে ‘তুই রাজাকার’ কথা, তখন পাখির এই কণ্ঠস্বর ছড়িয়ে পড়ে সারাদেশের মানুষের কণ্ঠে ও মনে। আজও কথায় কথায় বলে উঠে অনেকে ‘ওস্তাদ তুই না আমি’ সংলাপটি। আধুনিককালে ৫১বর্তী নাটকের ‘একা একা লাগে’ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলো বেশ। নির্মম সত্য কথাটি হাসতে হাসতে বলতে পারাটাই হাসির নাটকের সার্থকতা।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.