এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দলের সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, জাতীয় স্বার্থবিরোধী ও সুন্দরবন ধ্বংসকারী রামপাল বিদ্যুৎপ্রকল্পের বিরুদ্ধে দেশের অভ্যন্তরে প্রবল জনমত সৃষ্টি হওয়ার পাশাপাশি, আন্তর্জাতিকভাবেও এখন প্রতিবাদ তীব্র হচ্ছে। ঢাকা-সুন্দরবন লংমার্চ সফল করার মধ্য দিয়ে দেশবাসী সরকারকে এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দিয়েছে।
“আন্দোলনে ভয় পেয়ে, সরকার এখন ‘চোরাগোপ্তা’ পথ বেছে নিয়েছে। পূর্ব ঘোষণা থেকে সরে গিয়ে সরকার তড়িঘড়ি করে ভিত্তিফলক উন্মোচন করেছে।
গণরোষ এড়াতে রামপাল না গিয়ে কুষ্টিয়ায় বসে ভিত্তিফলক উন্মোচন করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে সরকার তার ভয়ার্ত চেহারা তুলে ধরেছে। ”
বিবৃতিতে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিলের দাবি জানিয়ে বলা হয়, ‘চোরাগুপ্তা’ পথে সরকার এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারবে না।
কোনোভাবেই জাতীয় স্বার্থবিরোধী ও সুন্দরবন ধ্বংসকারী রামপাল বিদ্যুৎপ্রকল্প করতে দেওয়া হবে না। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়েই রামপাল বিদ্যুৎপ্রকল্প বাতিল করতে সরকারকে বাধ্য করা হবে।
এদিকে দুপুরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রেল স্টেশন এলাকায় ছাত্রজোটের তিন সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রণ্ট মিছিল-সমাবেশ করেছে।
পরিবেশবাদীদের বিরোধিতার মধ্যে শনিবার রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিত্তিস্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ভারতের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে বাগেরহাটের রামপালে ‘মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্ট’ হচ্ছে।
শনিবার কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় ভারতের বিদ্যুৎ আমদানির জন্য সঞ্চালন উপকেন্দ্র উদ্বোধনের সঙ্গে এই প্রকল্পের ভিত্তিস্থাপন হয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।