তাদের মা একসময় দীর্ঘ, আলোচিত এক আইনি লড়াইয়ে নেমেছিলেন পেলের সঙ্গে। সেই লড়াইয়ে পেলেকে হারিয়েও দিয়েছিলেন। মামলা করে পেলের কাছ থেকে পিতৃত্বের স্বীকৃতি আদায় করে নেওয়া সেই সান্দ্রা রেজিনার সন্তানেরা এবার মামলা করল ব্রাজিলের ফুটবল কিংবদন্তির বিরুদ্ধে। একজনের বয়স ১৩ বছর, আরেকজনের ১৫।
পেলের মেয়ে রেজিনা মারা যান ২০০৬ সালে।
ব্রাজিলীয় একটি পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, রেজিনার রেখে যাওয়া দুই সন্তান উত্তরাধিকার সূত্রে পেলের কাছ থেকে ভরণপোষণের দাবি করে মামলা ঠুকে দিয়েছে। পেলের নাতিদের আইনজীবীর অভিযোগ, নাতিদের দায়দায়িত্ব নেননি পেলে। ২০১১ সালের পর নাতিদের সঙ্গে একবারের জন্য দেখাও করেননি। এ অবস্থায় পেলের কাছে স্বাস্থ্যবিমা ও শিক্ষার খরচ বাবদ প্রত্যেকে ছয় হাজার ডলারসহ ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা করেছে দুই নাতি। তবে মামলায় ক্ষতিপূরণের অঙ্কটা উল্লেখ করা হয়নি।
আদালত মামলাটি গ্রহণ করে আগামী মাসে শুনানির তারিখ নির্ধারণ করেছেন। একই সঙ্গে প্রত্যেকে নাতিকে ৭৬০ ডলার দিতে পেলেকে নির্দেশ দিয়েছেন।
দুই নাতি দূরে থাক, মেয়ে রেজিনাকেই একসময় স্বীকৃতি দেননি পেলে। স্বীকৃতি দেন এক দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর। ১৯৯১ সালের পিতৃত্বের স্বীকৃতি চেয়ে আদালতে মামলা ঠুকে দেন রেজিনা।
তবে খুব সহজে স্বীকৃতিটা দেননি পেলে। ব্যাপারটা গড়ায় ডিএনএ পরীক্ষা পর্যন্ত। পরীক্ষায় নিশ্চিত হয়, রেজিনা পেলেরই সন্তান। আদালতের রায়ে মেয়ের স্বীকৃতি মিললেও পরবর্তী সময়েও বাবার স্নেহ বা আর্থিক সহায়তা কিছুই পাননি রেজিনা। সেই রেজিনা সাত বছর আগে চলে গেছেন পৃথিবীর মায়া ছেড়ে।
তাই বলে মুক্তি পাননি পেলে। এত বছর পর ব্রাজিলের ১৯৫৮, ১৯৬২ ও ১৯৭০ বিশ্বকাপ জয়ের নায়ককে আদালতে নিয়ে গেলেন রেজিনার দুই ছেলে। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।