আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কেঁদেছিলেন পেলের বাবা!

ব্রাজিলের জন্য এক অনন্ত আক্ষেপের নাম ১৯৫০ বিশ্বকাপ। নিজের মাঠে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে ব্রাজিল হেরে গেল উরুগুয়ের কাছে। মারাকানার সেই স্বপ্নভঙ্গ এখনো ব্রাজিলিয়ানদের হূদয়ে ঘটায় রক্তক্ষরণ। ‘মারাকানাজো’ নামে বিখ্যাত হয়ে যাওয়া সেই ট্র্যাজেডির সময় পেলে ছিলেন ১০ বছরের বালক। কিন্তু সেই স্মৃতিটা এখনো স্পষ্ট মনে আছে ব্রাজিল কিংবদন্তির।

চোখ বন্ধ করলেই যেন দৃশ্যটা দেখতে পান, উরুগুয়ের কাছে ব্রাজিলের হারে অঝোরে অশ্রু ঝরছে তাঁর বাবার।
৬৩ বছর পর সেই দিনের কথা ভেবে আকুল হলেন পেলে। উরুগুয়ের সঙ্গে সেই ম্যাচের আগে ব্রাজিলজুড়েই ছিল উৎসবের আগাম প্রস্তুতি। সবাই ধরে নিয়েছিল, কাপটা ব্রাজিলই পাচ্ছে। ফিফা সভাপতি জুলে রিমে পর্যন্ত ব্রাজিলকে শিরোপাজয়ী ভেবে পর্তুগিজ ভাষায় নিজের ভাষণের একটা খসড়াও করে ফেলেছিলেন।

পেলের মনে পড়ছে, ‘মনে হচ্ছিল ম্যাচের আগেই যেন ব্রাজিল জিতে গেছে। ’
কিন্তু পরে যা ঘটল তার চেয়ে বড় শোক ব্রাজিলের ফুটবল কমই পেয়েছে। পাঁচ-পাঁচটি বিশ্বকাপ জিতেছে ব্রাজিল, কিন্তু সেই হারের ব্যথাটা এখনো যায়নি। তিনটি বিশ্বকাপজয়ী পেলেও ভুলতে পারেননি সেই কষ্ট, ‘আমার মনে আছে, উরুগুয়ের কাছে হেরে যাওয়ার পর আমার বাবা কাঁদছিলেন। ’ মানুষ ঠেকে শেখে।

ভুলেও সেই ভুলের পুনরাবৃত্তি আর কামনা করেন না পেলে, ‘আমরা এবার সতর্ক থাকব। সবাইকে সম্মান করব। ১৯৫০-এর মতো যাতে না হয়। আমি চাই না আমার ছেলেরা আমার কান্না দেখুক। ’
মারাকানাজোর মতো না হোক, ১৯৮২ বিশ্বকাপটাও ব্রাজিলের জন্য ছিল একটা ‘ট্র্যাজেডি’।

যে দলকে ভাবা হচ্ছিল সম্ভাব্য শিরোপাজয়ী, জিকো-ফ্যালকাওদের সেই দল কিনা প্রথম রাউন্ডই পার হতে পারল না। এসব অভিজ্ঞতা থেকে তাই পেলের উপলব্ধি, ‘বিশ্বকাপকে আপনার সম্মান করতেই হবে। চমকের কোনো অভাব নেই এখানে। ’
ব্রাজিলে আলো থাকবে অনেকের ওপরেই। সবচেয়ে বেশি অবশ্যই লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর ওপর।

দুজনের তুলনা করতে গিয়ে পেলে এগিয়ে রাখলেন টানা চারবারের ফিফা বর্ষসেরা খেলোয়াড় মেসিকে। যদিও এঁদের কাউকেই ১৯৯৮ বিশ্বকাপজয়ী ফ্রান্সের সাবেক মিডফিল্ডার জিদানের চেয়ে ভালো বলতে রাজি নন, ‘আপনি কারও সঙ্গে তুলনা করতে চাইলে সেটা জিদানের সঙ্গেই করতে হবে। সে ছিল পরিপূর্ণ একজন খেলোয়াড়। ’ ওয়েবসাইট।



সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।