আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

লুটেরা পরিবারতন্ত্রের বাহির থেকে এই দেশে পরিবর্তন আনার একটা উপায় সম্পর্কে আলোচনা- পর্ব ২ |একটা সম্ভাব্য রাস্তা

এইটা আমার ব্লগ।

ছোট কালে, প্রাথমিক স্কুলের চয়নিকা বই এ এক মৃত্যু পথ যাত্রী পিতার গল্প আমরা অনেকেই পড়েছি | যেইখানে পিতা তার পাচ সন্তান কে ডেকে তাদের হাতে একটা করে লাঠি দিয়ে বলেছিল, লাঠি গুলো ভাঙ্গতে | সন্তানদের সবাই লাঠি গুলো ভাঙ্গতে পেরেছিল | এরপর পিতা, পাচ টা লাঠি এক করে প্রত্যেককে বলেছিল, লাঠির সেই বান্ডেলটাকে ভাঙ্গতে | তখন অনেক চেষ্টা করেও তারা কেও সেই বান্ডেল টাকে ভাঙ্গতে পারেনি | তখন পিতা বলেছিল, তোমরা সবাই যদি এক থাক তবে কেও তোমাদের ভাঙ্গতে পারবেনা | আমরা আমজনতার যারা পলিটিকাল সিস্টেম এর বাহিরে এবং দুর্নীতিবাজ রাজনৈতিক সিস্টেম এর হাতে দেশকে এত বছর ধরে লুন্ঠিত হতে দেখে নিজের হতাশা এবং ফ্রাসত্রেশান নিয়ে নিজের অক্ষমতা কে নিয়ে হাপিত্তেশ করি কারণ আমাদের আর কোনো উপায় নাই এবং পাচ বছর পর একটা ভোট দেয়ার মাধ্যমে নিজের বিগত পাচ বছরের ক্ষোভ কে প্রশমিত করি এবং আরো পাচ বছরের জন্যে রেপ হওয়ার প্রস্তুতি নেই, তাদের এই পলিটিকাল সিস্টেম থেকে নিজদের অধিকার আদায় করার একটা উপায় হয়তো আছে| সেইটা হলো, এই পলিটিকাল সিস্টেম এর বাহিরে একটা অরাজনৈতিক ইস্যু ভিত্তিক প্লাটফর্ম এর মাধ্যমে নিজেদের সংগঠিত করা | ইয়া | দেট ইজ ইট | আপনি বলবেন, ধুর মিয়া ? এইটা কোনো সমাধান হইলো ? এইটা একটা ফাও পেচাল | আমাদের একটা পলিটিকাল পার্টি করতে হবে | এবং এক একজন নিজের বিশ্বাস মতে আনু মুহাম্মদ, ডাক্তার ইউনুস, কামাল হোসেন এদের কে এক একজন নেতা মানবেন | আর আফসুস করবেন, আহারে এই লোক গুলান যদি আমাদের নেতা হইতো এই দেশটা কোথায় চলে যাইতো | তখন আপনারে একজন বলবে, শুনেন অনু মুহাম্মদ সাব কমুনিস্ট আমি কোনো কমুনিস্ট এর লগে নাই | আর একজন বলবে, ইউনুস একটা সুদখোর আম্রিকার দালাল | আর একজন বলবেন, ডক্টর কামাল কি করছে তার তো ঢাকা শহরে জামানত বাজেয়াপ্ত হইছিল | ফলে দেখা যায়, বাংলাদেশে একটা সর্ব সম্মত নেতার আন্ডারে পলিটিকাল পার্টির কথা বললেই, হাজার কেচাল লেগে যাবে | ফলে এই পার্টি আলটিমেটলি হবেই না | তাইলে এখন আমাদের কি করতে হবে ? আমাদেরকে এই পলিটিকাল সিস্টেম এর বাহিরে থেকেই নিজেদেরকে সংগঠিত করতে হবে এবং আপনি দেখবেন, দেশের পরিবর্তন এর জন্যে এই নন পলিটিকাল এলায়েন্স টা এক দিন এর বাদশা উইনার টেক ইট অলভোট এর সিস্টেম থেকে অনেক বেটার আমাদের যে ভোট ভিত্তিক শাসন এর সিস্টেম -সেই সিস্টেম টায় রাষ্ট্র কে পরিবর্তন এর প্রসেসটায় আপনাকে শুধু মাত্র পাচ বছরে এক দিনের জন্যে এম্পাওয়ারড করে এবং সেইদিন সিস্টেম আপনার হাতে দুইটা গান্ধা মার্কা অপশন দিয়ে, আপনাকে তার থেকে একটাকে বেছে নিতে বলে | এবং আপনি বিগত ২০ বছরের অভিজ্ঞতায় দেখছেন, আপনি পরিবর্তন এর আশায় যারে ভোট দিছেন, সেই জনঅবধারিত ভাবে আগের জন এর থেকে আরো বেশি দুশাসন করছে | আমাদের আজকের বাস্তবতাও তাই| আজকে যদি আওয়ামী লিগ আবার ক্ষমতায় আসে, তো সে ধরে নিবে তার গত ৫ বছরের লুটপাট সব আমরা জায়েজ করছি আবার আজকে যদি বিএনপি ক্ষমতায় আসে, তারা ধরে নিবে বিএনপির আগের আমলার সব লুটপাট আমরা মিথ্যা প্রপাগান্ডা হিসবে ধরে নিছি | এবং তারা আরো সোত্সাহে গত পাচ বছরের হারানো সম্পদ ফিরে পেতে দেশকে আরো লুটপাটে মগ্ন হবে | তাহলে এখন আমরা যাব কি ? আমাদের উপায় কি ? এখন আপনাকে যেইটা করতে হবে, তা হলো প্রতি দিন প্রতি টা ইস্যুতে আপনার ক্ষমতা প্রয়োগ এর জন্যে আপনার নিজেকে এম্পাওয়ারড করতে হবে | এবং এই এম্পাওয়ারমেন্ট এর একটাই রাস্তা টা হলো সেই বৃদ্ধের সন্তানদের দের মত ইউনাইটেড হওয়া | খেয়াল রাখবেন, আপনি একা একা একটা ফাও পাবলিক , আপনার কোনো বেইল নাই | কিন্তু যেই মাত্র আপনি দশ জনের সাথে এক হয়ে একটা জিনিস চাইবেন, আপনি শুধু তখনই একটা বিরাট একটা শক্তি | আইডিয়াটা ঠিক এইটাই | আপনাকে একত্র হইতে হবে যাতে আপনারে একটা লাঠির মত ওরা ভাঙ্গতে না পারে | এইটাই এই রাজনৈতিক দুর্বিত্তদের কাছ থেকে আপনার অধিকার আদায় এর এক মাত্র উপায়| খেয়াল করার বিষয় হইলো, এই খানে একটা অরাজনৈতিক প্লাটফর্ম এর কথা বলা হইছে | কেন ? আপনি চাইবেন, রাজনীতিবিদদের কাছে, আপনার চাওয়াটা ও রাজনৈতিক | তাইলে আপনার প্লাটফর্ম কেন অরাজনৈতিক হইতে হবে ? কারণ টা বাংলাদেশের বাস্তবতার এবং বাঙালি মানসিকতার | একটা রাজনৈতিক প্লাটফর্ম কে এক হতে হলে একটা রাজনৈতিক দল করতে হয় | এই দল এর একজন নেতা থাকতে হয় | ওই নেতারে সবার কাছে গ্রহনযোগ্য হতে হয় | এই দল এর সবাই কে একটা গোল এর পেছনে একত্র হইতে হয় এবং এই দল এর সুনির্দিস্ট এজেন্ডা থাকতে হয়| এবং সেই এজেন্ডাতে সবাইরে সম্মত হইতে হয় | কিন্তু বাংলাদেশে এই মুহুর্তে সবার কাছে গ্রহণ যোগ্য কোনো নেতা নাই এবং বাংলাদেশ বর্তমানে অত্যন্ত আদর্শিক ভাবে বিভাজিত রাষ্ট্রযে বাংলাদেশ রাষ্ট্রে সর্ব সম্মত গ্রহনযোগ্য কোনো আইডিয়লোজি নাই | কিন্তু একটা ইসু ভিত্তিক প্লাটফর্ম এ, আপনি যদি আপনার পাশের লোকটার সাথে একমত হন তো আপনি ভাই ভাই | সে নাস্তিক হতে পারে আপনি একজন হেফাজত হতে পারেন | কিন্তু ওই ইস্যুতে আপনারা দুইজন কাধে কাধে কাধ মেলাতে পারেন| এবং শুধু মাত্র এই ইস্যুতে একমত হয়ে আপনি তার এবং আরো লক্ষ লক্ষ লোক এর সাথে একটা প্লাটফর্ম এ দাড়াতে পারেন| কিন্তু একটা রাজনৈতিক দল এর ক্ষেত্রে গিয়ে অনেক বিষয়ে এক মত না হওয়া পর্যন্ত আপনি একটা প্লাটফর্ম করতে পারবেন না | এবং বাংলাদেশ এখন নানান ইসুতে এত ডিভাইডেড একটা জাতি , একটা রাজনৈতিক প্লাটফর্ম এ দাড়িয়ে অনেক বিষয়ে এক মত্ হওয়ার জন্যে এই জাতির জন্যে এই মুহুর্তে এখন অলমোস্ট অসম্ভব | এবং আমাদের রাজনৈতিক দল গুলো, এই অনৈক্যের সুবিধা নিয়ে অসম্ভব বাজে ভাবে দেশ চালানোর পরেও, দেশের মানুষের উপর ছড়ি ঘোরাতে পারছে | কিন্তু, আজকে এই দেশের প্রতিটা মানুষ কায়মনোবাক্যে এই রাজনৈতিক সিস্টেম এর পরিবর্তন চাচ্ছে, কিন্তু বিভিন্য আইডিইলজিকাল বিষয়ে নিজেদের মধ্যে বিভাজিত থাকাতে তারা নিজেদের মধ্যে এক হতে এখন সম্পূর্ণ ভাবে অক্ষম | এই বিভাজন খুব সজ্ঞানে সৃষ্টি করা | এবং শাহবাগ এবং হেফাজত এর মুভমেন্ট এর সাফল্য প্রমান করে, নন পলিটিকাল অসংগঠিত একটা প্লাটফর্ম দেশের রাজনৈতিক নেতাদের জন্যে অনেক মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাড়াতে পারে এবং এই প্লাটফর্ম এর চাওয়া রাজনৈতিক দল গুলো সিরিয়াসলি নিতে বাধ্য হয় | এই খানে রাজনৈতিক এবং অরাজনৈতিক বলতে শুধু মাত্র বোঝানো হচ্ছে, ভোট এর রাজনীতি করা না করার প্রশ্ন| আপনার চাওয়া পাওয়া উদ্দেশ্য সব ই রাজনৈতিক থাকছে | এজ এ মেটার অফ ফাক্ট, এই প্লাটফর্ম এর অন্যতম একটা উদ্দেশ্য ভোট এর রাজনীতির এক দিন এর ক্ষমতায়নের চক্কর থেকে বেরিয়ে আসা এবং নন পলিটিকাল জনতাকে প্রতি দিন দেশের প্রতি টা ডেভেলপমেন্ট ইস্যুতে এমন ভাবে ক্ষমতায়িত করা যার ফলে রাজনৈতিক দল গুলো এই প্লাটফর্ম এর চাওয়ার কাছে নতি স্বীকার করতে বাধ্য হয় বা মানুষের এই প্লাটফর্ম এর চাওয়ার বাহিরে গিয়ে কিছু করতে ভয় পায় | একটু চিন্তা করে দেখেন, এই নন রাজনৈতিক প্লাটফরম টা একচুয়ালি রাজনৈতিক প্লাটফর্ম থেকে অনেক বেশি শক্তি শালী হয় | কারণ, এর ক্ষমতা প্রতি দিনের আর ভোট এর রাজনীতিতে ক্ষমতা থাকে শুধু মাত্র এক দিনের | খেয়াল করে দেখেন, শাহবাগ যখন হইছে, হেফাজত এর মুভমেন্ট যখন হইছে তখন মুভমেন্ট এর কেও বলে নাই, আচ্ছা আমরা ভোট এর দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করি, তারপর ভোট দিয়ে আমাদের চাওয়া আদায় করবো | কেও বলে নাই, আমরা একটা রাজনৈতিক দল করবো | জনতা নিজে নিজে সংগঠিত হইছে এবং একটা দাবি জানাইছে | এবং শাহবাগ এবং হেফাজত কত শক্তিশালী দুটি মুভমেন্ট ছিল তা আজকের বাংলাদেশের রাজনীতিই বলে দিচ্ছে | এই ভাবে সমমনাদের সাথে একত্রিত হওয়া এখন আগের থেকে অনেক বেশি ইজি |কারণ আজকে টেকনোলজি আপনাকে এম্পাওয়ারড করছে| আজকে আপনি চাইলে কিছু সমনা দের দিয়ে সংগঠিত হইতে পারেন | ফেসবুকের মাধ্যমে আপনি আপনার সমমনা যাদের কখনও আগে চিনতেন ও না তাদের সাথে কানেক্ট করতে পারেন | আজকে আপনাকেই আপনার সেই ক্ষমতা কে ব্যবহার করতে হবে | এই খানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় হইলো,এই কাজে আপনি ফেসবুকে আপনার একত্র হওয়াকে এন্ড গোল হিসেবে নিতে পারবেন না | আপনার এই মুভমেন্ট কে আপনার মাঠে নিয়ে যেতে হবে | ফেসবুককে হতে হবে শুধু মাত্র কানেক্টিভিটির একটা মাধ্যম, যেমন একটা মাধ্যম হচ্ছে মোবাইল বা টেলিফোন | আবার খুব পরিষ্কার ভাবে একটা জিনিস আবার বলেত চাই , এই এলায়েন্সকে ক্ষমতায় যাওয়ার দরকার নাই | কারণ ক্ষমতার প্রশ্ন চলে আসলেই চলে আসে, রাজনীতির প্রশ্ন | এবং ভোট এর রাজনীতি আসলেই বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অন্তর্দন্দ গুলো কে আপনার ফেস করতে হবে যার কোনো গ্রহণ যোগ্য ইয়েস নো উত্তর এই জাতির কাছে নাই | যুদ্ধপরাধী দের সম্পর্কে আপনার মনোভাব কি ? হেফাজতকে উত্খাত এর রাতে কয় জন মারা গ্যেছে ? মার্ক্সবাদে কি আপনি বিশ্বাস করেন নাকি আপনি কাপিটালিস্ট ? ইউনুস সম্পর্কে আপনার ধারণা কি ? ও আচ্ছা আপনি তাহলে যুদ্ধপরাধীদের বিচার চান না ?? আচ্ছা, আপনি তাহলে নাস্তিক ? আজকে আমাদের বুঝতে হবে, এই সব প্রশ্নে যে কোনো এলায়েন্স কে পক্ষ বিপক্ষ বিভিন্য দলে ভাগ করে ফেলা যাবে | তাই এই এলায়েন্স কে কমন কজ বের করতে হবে, যেই কজ এ পলিটিকাল সিস্টেম এর বাহিরের প্রতিটা মানুষ একত্র ফিল করে | প্রশ্ন হইলো সেই ইস্যু টা কি ? কোন ইস্যুতে আজকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দুর্বৃত্ত যন্ত্রের বাহিরের মানুষেরা সবাই একত্র ফিল করে ? ক্রিকেটে উন্নতি ? ফরমালিন থেকে মুক্তি ? যানজট থেকে মুক্তি ? এক্সিডেন্টে মৃত্যু থেকে মুক্তি ? দুর্নীতি মগ্ন পরিবার তন্ত্র থেকে মুক্তি ? দুর্নীতি থেকে মুক্তি ? পদ্মা ব্রিজ ? এই প্রশ্নটা নিয়ে আরো চাপান উতর করতে হবে | কারণ এইটা খুব ইম্পর্টান্ট একটা প্রশ্ন | কিন্তু আমার মনে হয়, এই প্রশ্নের মধ্যেই এই প্রশ্ন টা লুকিয়ে আছে | কিন্তু, এই এলায়েন্স কে এইটাও বুঝতে হবে, ৪০ বছরে যে সিস্টেম দাড়াইছে তা এক দিনে , এক ধাক্কায় পরিবর্তন হয় না | আপনি চাইলেও, আজ আওয়ামী লিগ বি এন পির খপ্পর থেকে বেরোতে পারবেন না | তারা আছে এবং রাডিকাল কোনো পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত তারা থাকবে | তাদের উপস্থিতি মাথায় রেখেই, আপনাকে নিজেকে এম্পওয়ারড করতে হবে | মানে আমজনতাকে নিজেকে ক্ষমতায়ন করতে হবে | এই এলায়েন্সকে তাই নিজের গোল সেটিং করার সময়, খুব ছোট ছোট চাওয়া মাথায় রাখতে হবে | রাডিকাল পরিবর্তন আপনি নিজেই চাইতে পারবেন না | কারণ, ঘুরে ফিরে আপনি নিজেই এই সিস্টেম এর পার্ট | আপনি নিজেই রেডিকাল পরিবর্তনে রেডি নন | ফলে এখন সিস্টেম এর গ্রাজ্যুয়াল পরিবর্তন আপনাকে চাইতে হবে | এইটা রিয়ালিটি | এই এলায়েন্স কে বুঝতে হবে যে, ক্ষমতা পলিটিকাল পার্টি দের হাতেই থাকবে | কিন্তু তাকে প্রেসার গ্রুপ হিসেবে কাজ করতে হবে | সে যত শক্তি শালী হবে, তার প্রেসার তত বেশি হবে এবং সে তত বেশি সফল হবে | কিন্তু বাস্তবতা হইলো ঘুরে ফিরে ক্ষমতা পলিটিকাল পার্টির লুটেরাদের হাতেই থাকবে | ফলে এই পলিটিকাল সিস্টেম থাকবে এইটা মাথায় রেখে এই প্লাটফর্মকে পলিটিকাল পার্টিদের লুটেরাদের সামনে দাড়াতে হবে | তাদের কে বলতে হবে, তোমরা আর দুর্নীতি করতে পারবনা | তোমরা কোর্ট সিস্টেম কে পরিবর্তন করো, দুর্নীতি দমন কমিশন কে শক্তি শালী করো , তোমরা রাষ্ট্রের চারটি স্তম্ভকে সেপারেট করো , বিচার বিভাগ স্বাধীন করো, দেশের জালানি নিজের হাতে রাখো | এই এলায়েন্সকে ডিসেনট্রালায়জ এবং লোকাল হতে হবে | যাতে লোকালি মানুষ সংগঠিত হয়ে লোকাল লুটেরাদের বিরুদ্ধে দাড়াতে পারে | যাতে লোকাল ইস্যুতে গিয়ে একটা গ্রুপ মেয়র সাহেব এর কাছে গিয়ে বলতে পারে, আমার এলাকায় রাস্তা এক বছর ধরে ভাঙ্গা | ওয়াসা অফিসে গিয়ে বলতে পারে, আমার এলাকার ওয়াসার ইঞ্জিনিয়ার দুর্নীতিবাজ বা রোডস এন হাই ওয়ে অফিসে গিয়ে বলতে পারে আমার এলাকায় কি কি বাজেট হইছে তা আমি জানতে চাই | এমপির কাছে গিয়ে বলবে, আপনি আপনার ভাই ব্রাদার দের হাত থেকে এই ব্রিজ এর টোল মুক্ত করেন | তাই এই এলায়েন্স এর সেপ কি হবে ফর্ম কি হবে তা নিয়ে অনেক ভাবনা থাকতে পারে কিন্তু এই এলায়েন্স কে অবশ্যই ডিস্ট্রিবিউটেড এবং ডিসেনত্রালিয়াজড হতে হবে | শাহবাগ এর সময় যেভাবে ডিস্ট্রিকটে ডিস্ট্রিক্টএ, দেশে দেশে গণজাগরণ মঞ্চ হয়েছে, হেফাজত এর মুভমেন্ট এর সময় যেই ভাবে গ্রামে গ্রামে মানুষ সংগঠিত হইছে তাদের ক্ষোভ কে প্রকাশ করতে, সেই দুইটা মানুষের সংগঠিত হওয়ার ক্ষমতার একটা ভালো উদাহরণ | মোট কথা এই এলায়েন্স যত বেশি ডিসেন্ট্রলাইযড হবে, তত বেশি সফল হবে | সফল হবে, পার্টিসিপেশেনের দিক থেকে এবং সফল হবে নিজেকে চড়িয়ে দেয়ার পারস্পেকটিভ থেকে | অনেকে বলতে পারেন ? ধুর !!! এইটা বিপ্লব হইলো নাকি ? আমরা বিপ্লব চাই | এই দেশের আমূল পরিবর্তন চাই | সব কিছু ভেঙ্গেচুরে নতুন করে দেশটাকে গড়তে চাই | আমি মনে করি, এই ভাবনা টা রোমান্টিকতা | এই ধরনের ভাবনা নিয়া, গত ৪২ বছরে বহুত বিপ্লব চা এর কাপে ঝড় তুলে, ঠান্ডা হয়ে পাক ঘরের তলানিতে অন্যান্য গার্বেজ এর সাথে ডাস্টবিনে চলে গ্যেছে | উইথ রেসপেক্ট , এই রোমান্টিকতার কোনো মূল্য নাই | বাস্তবতা হইলো, আপনি নিজেই এই দুর্বৃত্ত সিস্টেম এর একটা পার্ট | আপনি সেই সিস্টেমকে রাডিকালি পরিবর্তন করতে অসক্ষম | বাংলাদেশ রাষ্ট্র , বাংলাদেশের মধ্যবিত্তেরা সেই ধরনের পরিবর্তন এর জন্যে, প্রস্তুত না | ফলে একটা গ্রাজুয়াল পরিবর্তন এর জন্যে নন পলিটিকাল, নন ভায়োলেন্ট মুভমেন্ট, দুর্বৃত্ত যন্ত্রের উপর প্রেসার সৃষ্টি করার একটা প্লাটফর্ম এখন পরিবর্তনের জন্যে আমাদের বেস্ট বেট | এর বাহিরে গিয়ে রোমান্টিকতা বাদে আর কিছু ডেলিভার করা সম্ভব না , আপাতত এই মুহুর্তে | এইটা আজকের বাংলাদেশের দুক্ষজনক রিয়ালিটি | একত্র হওয়ার এই কাজ টা অটোমেটিক হয়না | এইটার জন্যে আপনাকে একটিভিযম করতে হবে | সম মনা দের খুঁজে বের করতে হবে | খেয়াল রাখবেন, আপনার একার কোনো শক্তি নাই | আপনি যখন ১০ জন কে নিয়ে এক হবেন, তখনি আপনি একটা শক্তিতে পরিনত হবেন |আসুন আমরা নিজেদের মধ্যে সেই শক্তিকে ধারণ করি | এই এলায়েন্স এর কার্যক্রম আপনি এখনি শুরু করতে পারেন | আপনার কোনো সেন্ট্রাল কমিটির চাওয়ার দিকে চেয়ে থাকতে হবেনা | আপনার লোকাল ইস্যু গুলো নিয়ে, আপানার পাড়ার, আপনার গ্রাম এর, আপনার ইউনিয়ন এর সমস্যা নিয়ে আপনি এখনি সংগঠিত হতে পারেন | কে কি ভাবলো এই নিয়ে লজ্জা পাওয়ার দরকার নাই| সম মনা দের নিয়ে শুরু করুন | এই দেশে ১০ লক্ষ মানুষ কর্পোরেট, সিভিক সোসাইটি, মিলিটার, মেডিয়া, বিচার বিভাগ, প্রশাসন, বিভিন্য লেভেল এর পুজির মালিক সহ তৈরী এই সিস্টেম এর পার্ট যার নেতৃত্বে আছে দুর্বৃত্ব পরিবারতন্ত্র | এদের হাতে এই দেশের ১৫ কোটি ৯০ লক্ষ মানুষ সাফার করতাছে | এই দশ লক্ষ লোক দেশের সব সম্পদ এর সুযোগ দখল করে রেখেছে এবং দেশের প্রগতির পথ রুদ্ধ করে রেখেছে | এই দেশ এই ভাবে আর চলতে দেয়া যেতে পারেনা | আসুন আমরা আওয়ামী লিগ, বি এন পি, জামাত, জাতীয় পার্টির এই রাজনৈতিক শক্তির বিপক্ষে দেশের আমজনতা সবাই মিলে একটা প্লাটফরম দাড়া করাই | এইটা এখন না হলে আর ৫০ বছরেও হবেনা | এই ১৫ কোটি ৯০ লক্ষ মানুষ যদি এক হয়ে একটা কিছু চাই এই বাকি দশ লক্ষ মানুষ অবশ্যই আমাদের কথা শুনতে বাধ্য হবে |

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.