আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তহবিল সংকটই বড় বাধা

তহবিল সংকটই বড় বাধা বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনের (বিএইচএফসি)। প্রয়োজনীয় অর্থের অভাবে স্বাভাবিক কার্যক্রম চালাতে পারছে না আবাসন খাতে বিনিয়োগের রাষ্ট্রায়ত্ত একমাত্র প্রতিষ্ঠানটি। সম্প্রতি কার্যক্রম চালু রাখতে সরকারের কাছে ৫০০ কোটি টাকার বিশেষ তহবিলও চেয়েছে সংস্থাটি। বাংলাদেশ প্রতিদিনের কাছে একান্ত সাক্ষাৎকারে করপোরেশনে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. নুরুল আলম তালুকদার প্রতিষ্ঠানটি সংকট নিয়ে এমন চিত্র তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, দেশে কৃষি জমি রক্ষার জন্য এ প্রতিষ্ঠানের কোনো বিকল্প নেই।

প্রতিবছর বাড়ি তৈরিতের বিপুল পরিমাণ কৃষি জমি চলে যায়। গ্রামীণ উপজেলা পর্যায়ে পর্যন্ত যদি একটি জমিতে যদি বহুতল ভবন করে বাড়ি তৈরি করা হয় তাহলে কৃষি জমিতে চাপ কমবে। প্রতিষ্ঠানের তহবিল সংকট নিয়ে তিনি বলেন, কয়েকবার প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহকদের কাছে আমানত সংগ্রহ করে তহবিল সংগ্রহের দাবি জানালেও বাংলাদেশ ব্যাংক তা অনুমোদন করেনি। এ ছাড়া সরকারের কাছে একাধিকবার আবেদন করেও ২০০৯ সাল থেকে প্রতিষ্ঠানটির পরিশোধিত মূলধন বৃদ্ধি করা হয়নি। তহবিল সংকটের কারণে ১৯৮৮-৯২ সাল পর্যন্ত বন্ধ ছিল।

বর্তমানে সংস্থাটির পরিশোধিত মূলধন ১১০ কোটি টাকা, সরকারি ঋণ ২৩২ কোটি, জমা ১২৭১ কোটি, ডিবেঞ্চার বাবদ ৭৭৬ কোটি ৫০ লাখ, মোট রিজার্ভ ১ হাজার ৩৭৮ কোটি রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহকদের ঋণ চাহিদা রয়েছে মোট রিজার্ভের কয়েকগুণ বেশি। প্রতিবছর কয়েক হাজার গ্রাহক আবেদন করলেও ঋণ মঞ্জুর করা যায় কয়েকশ। এ সংকট কাটাতে কী উদ্যোগ নিয়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, অর্থমন্ত্রণালয়ের কাছে ৫০০ কোটি টাকার বিশেষ তহবিল চেয়ে আবেদন করেছি। সরকারের বাজেট থেকে তহবিল চাওয়া হয়েছে।

এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে সীমিত আকারে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানানো হয়েছিল। যাতে জনগণের কাছ থেকে আমানত সংগ্রহ করে তহবিল সংকট মোকাবিলা করতে পারে। সে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে মতামত চাইলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক তা নাকচ করে দেয়। পরে বিএইচএফসি কর্তৃপক্ষ সরকারে কাছে সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে আমানত সংগ্রহের দাবি জানায়। ওই আবেদনও কেন্দ্রীয় ব্যাংক নাকচ করে দেয়।

প্রতিষ্ঠানের বর্তমান কার্যক্রম নিয়ে নুরুল আলম বলেন, আমি এখানে যোগদানের পর অনাদায়ী ঋণ আদায় বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছি। ফলে ২০১২-১৩ অর্থবছরে খেলাপি আদায় প্রায় ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি অর্থবছরেও এই হার আরও বেড়েছে। তিনি জানান, ২০১২-১৩ অর্থবছরে করপোরেশন ১৬৫ কোটি টাকা মুনাফা করেছে। একবছর আগেও প্রভিশন ঘাটতি থাকলেও বর্তমানে কোনো ঘাটতি নেই বলে তিনি জানান।

তিনি আরও জানান, গত অর্থবছরে মোট ঋণ প্রদান করা হয়েছে ৪৩৩ কোটি টাকা। আদায় হয়েছে ৪৬০ কোটি টাকা। সারা দেশ হাউস বিল্ডিংয়ের কার্যক্রম বৃদ্ধি করতে নতুন চার জেলায় শাখা খোলা হয়েছে।

 

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.