আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হঠাৎ একদিন (পর্ব ১)

আমি যানিনা আমি আসলে কি চাই!

আমরা বন্ধুরা একটু অন্য রকম। যখন যা চাই তাই করার চেষ্ঠা করি। যদিও এখন আর আগের মত সবাই একসাথে সময় করে আড্ডা দিতে পারিনা। কারণ সবাই এখন যার যার কাজ নিয়ে বেস্ত। আমাদের গ্রুপের মধ্যে কয়েকজন কলেজে পরে আর অন্যরা চাকরি করে।

আমাদের গ্রুপ ছিল ৭ জনের। যখন আমরা একসাথে হতাম তখন অনেক মজা করতাম। কিন্তু এখন আর সেই সুযোগ হয় না কারণ আমরা অনেকেই এখন শহরে বাস করি। হঠাৎ একদিন আমি সবাই কে বললাম অনেক দিন ধরে হলে গিয়ে ছবি দেখিনা। তা চল আজ সবাই মিলে ছবি দেখে আসি।

তারপর তারিখ ঠিক করে নিলাম। দিনের বেলায় সবাই বেস্ত থাকে তাই রাতে ছবি দেখব বলে ঠিক করলাম। তাছাড়া রাতে ছবি দেখার মজাই আলাদা। দিনের কাজ শেষ করে সন্ধ্যার পর সবাই একসাথে হলাম। চা খেয়ে সবাই ছবি দেখতে যাব।

সবাই আড্ডা দিতে দিতে চায়ের দুকানে চা খেয়ে হলের উদ্দেশ্যে রউনা হলাম। রাত ৯ টায় ইভিনিং শো চলে। তাই ৯ টার আগেই হলে উপস্থিত হলাম। অনেক দিন পর হলে আসলাম তাই মজাটাও অন্য রকম। সবাই মিলে হলে ছবি দেখার যে কত মজা তা বলে বুঝানো যাবে না।

তাও আবার মনপুরা’র মত জনপ্রিয় ছবি। খুব ভাল ভাবেই ছবি দেখা শেষ হল। কিন্তু যতক্ষণ না ছবি দেখেছি তারচেয়ে বেশি কান্নাই করেছি। ছবি শেষ হতে হতে রাত ১২ টা বেজে গেল। হল থেকে আমাদের বাসার দূরত্ব প্রায় ১০ কেলোমিটার।

তখন আর তেমন গাড়ি পাওয়া যায় না। তাই আমরা ৭ জন মিলে হাটা শুরু করলাম। চাঁদের আলো আছে তাই অন্ধকারে ভালই দেখা যায়। দেখি ফাঁড়ি রাস্তা দিয়ে কথা বলতে বলতে বাড়ি চলে যাব। এই ফাঁড়ি রাস্তা আসল বাস্তা না মানে পতিত খেত সহ আরও অনেক কিছু পার হয়ে যেতে হয়।

আমরা কউই আগে এখান দিয়ে আসিনি। যেহেতু আমরা ৭ জন তাই কোন সমস্যা হবে বলে মনে হয়না। পথে যেতে যেতে হঠাৎ লক্ষ্য করলাম রাস্তা শেষ হয়ে গেছে। রাস্তা শেষ হলে কি আমরা তো যানি আর কিছুটা গেলে আমরা বাসায় পৌঁছে যাব। তাই পতিত জমি পার হয়েই যেতে হবে।

অনেকটা পথ পার হয়ে অনেক বর কাঁটাতারের বেড়া দেখতে পেলাম। কিন্তু এখন কি করি বুঝতে পারছি না। এত বড় বেড়া এখন কি সামনে যাব নাকি পেছনে ফিরে যাব বুঝতে পারছি না। আবার কোন আলোও নেই মনে হয় বিদ্যুৎ নেই। মনে হচ্ছে এটা পেছন সাইড পার হতে পারলেই রাস্তা পাওয়া যাবে।

কিসের বেড়া তা আমরা আগে জানতাম না। খুঁজেতে থাকলাম কি ভাবে কাঁটা তারের বেড়া পাড় হওয়া যায়। এক সময় একটু ফাঁকা পেলাম। তখন আমাদের মধ্য থেকে ৩-৪ জন কাঁটা তাঁরের বেতরে ডুকে গেল। হঠাৎ কেমন লাল-নীল বাতি জলতে শুরু করল।

কি করবো বুঝবার আগেই। আমাদের অনেকেই পালাতে শুরু করল। সাথে সাথে দেখলাম। পুলিশ এবং র্যা। ব আমাদের গেরাহ করে ফেলেছে।

রাইফেল তাক করে আছে আমাদের দিকে। আমরা যারা কাঁটা তাঁরের বেতর ছিলাম তা দরা পরেগেলাম। আর বাকিরা পালিয়ে গেল। আমি বুঝতে পারলাম আমরা এমন কিছু ভুল করেছি যার মাশুল দিতে হবে। আমাদের নিয়ে যাওয়া হল র্যা ব এর মূল ফাটকে।

আমরা পরে যান্তে পারলাম যে আমাদের এলাকায় নতুন ব্যাব ক্যাম্প তৈরি করেছে যা আমরা জানতাম না। রাতে আমাদের আটকে রাখা হল ৪ জন বন্ধুকে। চলবে... পূর্বে নকশা ব্লগে প্রকাশিত

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।