আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নাস্তিকদের কাছে কিছু প্রশ্ন এবং তাদের প্রশ্নের কিছু জবাব।

আমি একজন সফল আর্কিটেক্ট হতে চাই

বিবেকবান মনুষ্যসমাজ আসলেই কি প্রকৃতির নানা রকম চড়াই উৎরায় পেরিয়ে আজকের সবচেয়ে বুদ্ধিমান প্রাণিতে রুপান্তরিত হয়েছে ? নাকি এই সৃষ্টির পিছনে কোন সয়ম্ভু স্রষ্টার নির্দেশনা রয়েছে? কিছু অতিযুক্তিবাদি ও দার্শনিক শ্রাস্ত্রের প্যাচাল নাস্তিকেরা ঈশ্বর কে আজ প্রশ্নাতীত করার চেষ্টায় সদাততপর। কিন্তু আপনারা যদি তাদের যুক্তি গুলাকে একটু ভালকরে পর্যবেক্ষণ করেন দেখবেন তাদের কড়া যুক্তির মধ্যেই ঈশ্বর কে পাবেন। তাদের যুক্তি কে আমি সামনে রেখে কয়েকটা প্রশ্ন করবো...। প্রশ্ন ১। আপনারা বলেন বিংব্যাং থেকেই এই মহাবিশ্বের সৃষ্টি হয়েছে তার আগে শুন্যছিল।

এখন সভাবতই প্রশ্ন উঠতে পারে তার আগে কি ছিল। হটাত করে কেনই বা বিংব্যাং এর সৃষ্টি হল তাঁর সঠিক জবাব কিন্তু আপনাদের কাছে নেই। প্রশ্ন ২। ঈশ্বরের অস্তিত্ব কে সামনে রেখে মানুষ অনেক খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকে কিন্তু তাঁর অবস্থান যদি আমরা অস্বীকার করি তবে আমরা সামাজিক অনেক খারাপ কাজ করবো। এবং নিরভয়ে করবো যাতে ভবিস্যতে কোন শাস্তির ভায় থাকবে না।

এখন বলেন আপনার বোনের সাথে একজন মন্ত্রির ছেলে খারাপ কাজ করে তাকে মেরে ফেলল এবং পৃথিবীতে আপনি তাকে শাস্তির কাঠগড়ায় দাড় করাতে পারলেন না, তাহলে বলেন সে কি অন্যায় করে পার পেয়ে যাবে? প্রশ্ন ৩। অনেক মানুষ পৃথিবীতে অনেক ভাল ভাল কাজ করে কিন্তু তাঁর সঠিক মুল্য তিনি পান নি এখন নাস্তিক ভায়েরা বলুন তাঁর পুরস্কার টা আপনি কিভাবে তাকে দিবেন। প্রশ্ন ৪। এখন আসুন সুপার ন্যাচারাল বিষয়ে অনেক তান্রতিকেরা যে ভুত প্রেত এবং আত্না নিয়ে মানুষ কে ভাল মন্দ কাজে সাহায্য করে তাঁর ব্যাখ্যা আপনার কাছে কি? প্রশ্ন ৫। আপনাদের মতে পৃথিবী একদিন সংকোচনের মাধ্যমে ধ্বংস হয়ে যাবে তখন কিভাবে এটি থাকবে।

এবং পরবর্তী অবস্থা কি? প্রশ্ন ৬। আপনি যখন জন্ম গ্রহন করেন তখন যেকোনো একটি নাম ধারণ করেন এখন বলুন কেন সেটা করেন। আর আপনি মারা গেলে আপনাকে আমরা কিভাবে রাখব, কারণ আপনি কোন ধর্মের সেটা তো বলেন নি। সমন্বয়ক প্রশ্ন। এবার আপনারা আসুন একটি ধর্মের আওতায় দেখুন আপনাদের সকল প্রশান্তি এবং প্রশ্নের উত্তর পাবেন, সিদ্ধান্ত আপনাদের কাছেই ছেড়ে দিলাম।

কুহলিকার পশ্চাতেঃ এইটা অবশ্য ঠিক যে কিছু ধর্মের অতিকায় কাঁটা ছেড়া তাদের মনে কেন খোদ সেই ধর্মের অনুসারি দের কেই কেন জানি আজ অন্যমনস্ক করে ফেলেছে। আজ আমরা বিস্মিত যে ঐশ্বরিক বানি কে আজ আমরা দ্বাদশ ত্রয়োদশ এডিশনে ভাগ করে ফেলেছি। কিছু অতিকায় অন্ধ ধরমগুরুরায় আজকে ঈশ্বর কে হটিয়ে বানরীয় নাস্তিকদের কাতারে মানুষ কে দাড় করাতে বাধ্য করেছে। এইসব ধরমগুরুরা ধর্মকে বিজ্ঞানের সাথে খুব হাস্যকর ভাবে মিলাতে গিয়ে এহেন অবস্থার উপস্থিতি ঘটিয়েছে। তারা নাস্তিক দের যুক্তিহীন তত্ত্বের সাথে ধর্মকে মিলাতে গিয়ে খোদ বাইবেলের হাজার পরিবর্তন করেছে কিন্তু এক দশক বা দুইদশক পরে যখন বিজ্ঞানের কিছু তত্ত্বের পরিবর্তন হয় তখন সেই বাইবেল পড়ে যাই যুক্তিহীনতার আধারে।

তবে এটার একটা সুখকর বিষয় যে বর্তমানে অনেক ধর্ম গ্রন্থ বিদ্যমান যে তাঁর একটা কথা আজ পর্যন্ত পরিবর্তন হয়নি আধুনিক বিজ্ঞানের তত্ত্বের সাথে মিল করানোর জন্য।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.