আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বড়পর্দায় রাজ্জাক-মিলনের 'আয়না কাহিনী'

একজন চলচ্চিত্রের জীবন্ত কিংবদন্তি নায়করাজ রাজ্জাক, অন্যজন জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন। স্ব স্ব ক্ষেত্রে আকাশছোঁয়া এ দুই সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এবার একসঙ্গে দর্শকদের সামনে আসছেন। তাও আবার সেলুলয়েডের ফিতায়, মানে চলচ্চিত্রে। ইমদাদুল হক মিলনের পাঠকপ্রিয় উপন্যাস 'আয়না কাহিনী' অবলম্বনে নায়করাজ রাজ্জাক নির্মাণ করলেন একই শিরোনামের চলচ্চিত্র। আগামীকাল দেশব্যাপী চলচ্চিত্রটি মুক্তি পাচ্ছে।

মিলনের বহুলপঠিত উপন্যাসটির চিত্ররূপ দেখতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন দর্শক। যৌতুক প্রথার বিরুদ্ধে জনসচেতনতামূলক বক্তব্য যেমন স্থান পেয়েছে উপন্যাসে, তেমনটি চলচ্চিত্রেও। নায়করাজ রাজ্জাকের সুনির্মাণে উপন্যাসের বিষয়বস্তু জীবন্ত হয়ে উঠেছে এতে। এমন মন্তব্য সেন্সর বোর্ডের সদস্যদের। তাদের কথায় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে মাইলফলক হয়ে থাকবে 'আয়না কাহিনী'।

নায়করাজ বলেন, ইমদাদুল হক মিলনের এ উপন্যাসটি আমার অত্যন্ত প্রিয়। সমসাময়িক সামাজিক অবক্ষয়ের চিত্র স্থান পেয়েছে এতে। সমাজকে যৌতুকের অভিশাপ থেকে মুক্ত করার কথা বলা হয়েছে এ উপন্যাসে। পাশাপাশি যৌতুক প্রথার বিরুদ্ধে নারী আন্দোলনের চিত্র জোরালো ও সুনিপুণভাবে তুলে ধরা হয়েছে। সমাজকে অবক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করতে চলচ্চিত্র নির্মাণে এ ধরনের বিষয়ের বিকল্প নেই।

বক্তব্যের পাশাপাশি বিনোদনের সব সুস্থ উপাদান সাবলীলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে 'আয়না কাহিনী' চলচ্চিত্রে। এটি দেখে দর্শক পূর্ণ তৃপ্তি পাবে ও উপকৃত হবে বলে আমার বিশ্বাস। ইমদাদুল হক মিলন বলেন, যৌতুকের মতো একটি অভিশপ্ত প্রথার বিরুদ্ধে আমার লেখা উপন্যাস 'আয়না কাহিনী' নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ হয়েছে। এটি আমার জন্য দুটি কারণে আনন্দের। প্রথমত, এ প্রথার অবসানে সচেতন করতে সবাইকে একটি মেসেজ দিতে পারছি।

কারণ আমাদের দেশে অসংখ্য মেয়ে যৌতুকের জন্য নিগৃহীত হচ্ছে। কিন্তু তাদের জন্য কিছুই করতে পারছি না। চলচ্চিত্রটি দেখে মানুষ যদি এ ব্যাপারে সচেতন হয় তাহলে আমার এই লেখা সার্থক হয়েছে বলে মনে করব। দ্বিতীয় ভালো লাগার কারণ হচ্ছে- নায়করাজ রাজ্জাকের মতো চলচ্চিত্রের একজন জীবন্ত কিংবদন্তি আমার এ উপন্যাসটি নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন, তাই আমি খুবই এক্সাইটেড। কারণ ছোটবেলা থেকেই নায়করাজের অভিনয় আর নির্মাণ দেখে বড় হয়েছি।

আজ সেই প্রখ্যাত ব্যক্তিত্ব আমার লেখা নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন, তা সত্যিই আমার জন্য অত্যন্ত আনন্দের বিষয়।

প্রায় ছয় বছর আগের লেখা 'আয়না কাহিনী' উপন্যাসে মফস্বলের দুই তরুণ-তরুণীর প্রেমকাহিনী তুলে ধরা হয়েছে। এক সময় যৌতুক তাদের বিয়ের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। বিয়ে ভেঙে যাওয়ায় মেয়েটি হতাশ হয়ে পড়ে। ওই সময় গ্রামে বেড়াতে আসে এক কবি।

সে মেয়েটিকে হতাশা দূর করে যৌতুকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হতে উৎসাহিত করে। নানা দ্বন্দ্ব-সংঘাতের মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলে কাহিনী।

ইমপ্রেস টেলিফিল্ম ও নায়করাজের যৌথ প্রযোজনায় চলচ্চিত্রটির মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন রাজ্জাক,সম্রাট, কেয়া ও শতাব্দী ওয়াদুদ। সত্তর দশকে মুক্তিপ্রাপ্ত 'নীল আকাশের নীচে' চলচ্চিত্রের 'নীল আকাশের নিচে আমি রাস্তায় চলেছি একা' নায়করাজের ঠোঁটের এ গানটি 'আয়না কাহিনী'তে নতুন আয়োজনে সম্রাটের ঠোঁটে স্থান পেয়েছে। বিষয়বস্তু, গান, লোকেশন, অভিনয়- সব মিলিয়ে অসাধারণ একটি চলচ্চিত্র 'আয়না কাহিনী' দেখতে পাবেন দর্শকরা।

 

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।