আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রমাণ এবং সাক্ষ্যের জোর

করণিক: আখতার২৩৯

প্রমাণ এবং সাক্ষ্যের জোর ======================= সত্যের সত্যতা স্বয়ংপ্রতিষ্ঠিত। সত্যের সত্যতার পক্ষ নিয়ে কেউ সাক্ষী হয়ে কেউ দাঁড়ালে বা না-দাঁড়ালে কিম্বা সত্যের পক্ষে কেউ কোনো ধরণের প্রমাণ দেখালে বা না-দেখালে, -তাতে কখনোই পরম সত্যের সত্যতায় কিছু এসে যায় না। যেকোনো স্বাধীন ব্যক্তি তার চেতনায়, ‘কারণ’ বা মহাসত্যটিকে সত্য বা মিথ্যা উভয়রূপেই ধারণ এবং বহন করার মতোই স্বাধীন। ব্যক্তিভেদেই মহাসত্যটি বিভিন্নরূপে বিভিন্নভাবে ব্যক্তির চেতনায় ব্যক্ত বা প্রকাশমান। কোনো কোনো সাক্ষীর প্রত্যক্ষ সাক্ষ্যের মতো, কিছু কিছু প্রমাণের মতো, কিছু কিছু ধারণা বা অনুমান-ও পরম সত্যটির কাছাকাছি পৌঁছুতে পারে।

তবে কোনো প্রমাণ বা প্রমাণ-পদ্ধতি শাশ্বত বা অপরিবর্তনশীল নয়। বস্তুর বিশ্লেষণে পুরাতন বিশ্লেষণ বা বিশ্লেষণ-পদ্ধতি ততক্ষণ-ই সচল থাকতে পেরেছে, যতক্ষণ তার চেয়ে সূক্ষ্মতর নতুন বিশ্লেষণ বা বিশ্লেষণ-পদ্ধতির উদ্ভব ঘটেনি। নিত্য পরিবর্তনশীল এই বাস্তব জগতে, যুক্তিনির্ভর প্রমাণধারীদের জোরের মতোই জোর খাটিয়ে, সাক্ষী প্রদর্শনকারীরাও নিজেদের প্রাধান্য প্রতিষ্ঠার ব্যর্থ চেষ্টায় লিপ্ত থাকাতে মজা পায়, অথচ, এখানে কোনো প্রমাণ-পদ্ধতি বা কোনো সাক্ষী-ই সন্দেহমুক্ত নয়। অন্যের দেওয়া প্রমাণকে প্রমাণ হিসেবে মেনে নিতে না-পারা, নির্বিচারে কোনো সাক্ষীকে সর্বচ্ছো মূল্য দেওয়ার পাশাপাশি কোনো সাক্ষীকে নিজ-বিচারে উন্মাদ রূপে গণ্য করা, নিশ্চয়ই অথবা সম্ভবত, এ-জগতে, ব্যক্তিতে আবদ্ধ কিছু চেতনাধারীর চেতনার চরম দুর্বলতা। যারা সাক্ষ্য বা প্রমাণকে ভিত্তি ক’রে নিজেদের ব্যক্তিক নড়বড়ে সত্যকে অন্যদের চেতনার সত্যানুভবে স্বয়ংপ্রতিষ্ঠিত সত্য হিসেবে গণ্য করানোর জন্যে বাড়াবাড়ি পীড়াপীড়িতে লিপ্ত, একরোখা আত্মকেন্দ্রিক চরিত্রগুলো, নিজেদেরকে মহাজ্ঞানী এবং অন্যদেরকে মহামূর্খ ভাবতে পারার আনন্দে আত্মহারা, তারা যেমন মায়ের কোলে আশ্রিত শিশুদের মতোই নির্দোষ, কোনো কোনো ক্ষেত্রে তারা কখনো নিরাময়যোগ্য কখনোবা অনিরাময়যোগ্য ভীষণভাবে আক্রান্ত মানসিক রোগি, এবং তারা সাধারণ বিবেচক মানুষের দয়া এবং সযত্ন আশ্রয় এবং শিক্ষা পাওয়ার যোগ্য।

কোনো ব্যক্তি তার বিশ্বাসে কেবল ঐ ধরণের সিদ্ধান্তগুলোকেই প্রমাণ হিসেবে গ্রহণ এবং প্রদর্শন করতে পছন্দ করে, যেগুলোকে ঐ ব্যক্তি তার সীমাবদ্ধ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ জ্ঞানে চূড়ান্ত বাস্তব পরীক্ষা-নিরীক্ষার গাণিতিক গবেষণায় অপরিবর্তিত অপরিবর্তনশীল রূপে পায়। কোনো কিছুর সত্যতা বা বাস্তবতার দাবিদার যেকোনো ব্যক্তি, তার নিজের সত্যটিকে অন্যদের কাছেও সত্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা চালাতেই পারে। তবে অন্যেরা যদি চায়, ঐ ব্যক্তির সত্যের পক্ষে নির্ভরযোগ্য প্রমাণ কিম্বা বিশ্বাসযোগ্য সাক্ষীদেরকে যাচাই ক’রে নেবার উদ্দেশ্যে দেখতে চাইতে পারে। গণকরণিক : আখতার২৩৯ রঙ্গপুর : ০৯/১১/২০১৩খ্রি: ################### শান্তির সার্বজনীনতা আত্মকেন্দ্রিকতা ‘মানি না’র জটিলতা

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।