আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গুলশানের গ্যালাক্সীর কর্পোরেট অফিসে আগুন ও নেপথ্যে কিছু কথা...

না পাওয়ার হাত ধরে.. হেটে এসেছি বহু দুরে... চাইনা আর কিছুই জীবনের কাছে... সাদা-কালো এই জন্জালের ভীড়ে...

আজকের লিখার মূল কারনটি হচ্ছে একটি অপ্রত্যাশিত ঘটনা। গুলশানের কাতার এয়ারওয়েজ ও গ্যালাক্সী কোম্পানীর কর্পোরেট অফিসে অতর্কিত আগুন লেগে যায়। গ্যালাক্সী কর্পোরেটের অফিসে চাকুরী করেন আমার চাচাতো বোনের জামাই উজ্জল শাহ্ ( দুলাভাই )। রাত ১০টায় বাসায় এসে দেখি উনিও বাসার নীচে দাড়িয়ে। কেন প্রশ্ন করতেই জানতে পারলাম তার অফিসে আগুন লেগেছে।

তারাহুড়া করেই এই হরতালের মধ্যেই রওনা দিলাম বাইক নিয়ে । রাত তখন ১০.২০ মিনিট। মোহাম্মদপুর থেকে গুলশান-১ এ যেতে বেশী সময় লাগলো না। গিয়ে যেটা প্রথমেই দেখলাম বিল্ডিং এর উপর থেকে ধোঁয়া বেরোচ্ছে। দৃশ্য : ছাদ দিয়ে আগুনের ধোঁয়া বের হচ্ছে এরপর দেখলাম ৫টি ফায়ার ব্রিগেড এর গাড়ি।

সবশেষে আসলো স্লোরকল গাড়ি যা দিয়ে শুনেছি ১৫ তলা পর্যন্ত বাহির দিয়ে পানি দেয়া যায়। দৃশ্য : ফায়ার ব্রিগেড এর গাড়ী। [img|http://cms.somewhereinblog.net/ciu/image/157752/small/?token_id=213732479c71ed8e6c0cfbc2bdca9af5 দৃশ্য : স্লোরকল গাড়ী দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা। দৃশ্য : অফিসে কলিগরা সবাই দুশ্চিন্তায় মগ্ন। মূলত গ্যলাক্সী কর্পোরেট অফিস একটি ট্রাভেল এজেন্সী থেকে শুরু করে যাবতীয় বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে আসছে বিগত ১৫ বছর ধরে।

এই কোম্পানীর তত্বাবধানে মুলত কাতার এয়ারওয়েজ থেকে শুরু করে আরো কয়েকটি এয়ারওয়েজ এর অফিস পরিচালিত হয় বাংলাদেশে। বলতে পারেন কটেকটি এয়ারলাইন্স এর লিয়াজো বা রিজিওনাল অফিস এটা। আগুন যেভাবে লাগে : অফিসের সূত্র ধরে জানতে পারি , ঐ অফিসের সার্ভার রুম থেকে আগুনের উৎপত্তি ঘটে। সার্ভার রুম থেকে কিভাবে আগুনের সূচনা ঘটতে পারে এ বিষয়ে আমার মাথায় খেলছিলো না। পরে জানতে পারলাম, তাদের সার্ভার রুম টা মুলত শুধু সার্ভার রুম নয় একটা ষ্টোর রুম এর সমতুল্যই বলা চলে।

বিভিন্ন কার্টুন, ও কাগজের বিভিন্ন সামগ্রী সার্ভার রুম ছিলো। তখন বুঝলাম কিভাবে আগুনের সূত্রপাত। অফিস কর্মীরা ইশ্টিংগুইশার ব্যাবহার করতে পারছিলো না আগুন আর ধোঁয়ার কারনে। বলা বাহুল্য, যেখানে মেধা বিক্রি হয় সেখানে বাহু-বলের কাজ কি হতে পার...??? যাই হোক, আগুন নেভাতে না পেরে শেষমেষ ক্ষান্ত দিয়ে নিচে নেমে আসে তারা। তারপর ফায়ারম্যান-রা কাজে নেমে পড়ে আসার সাথে সাথে।

কিছু প্রশ্ন : প্রথমত, যদি আগুন নেভাতে নাই পারলাম তাহলে ইশ্টিংগুইশার রেখে লাভ কি...?? অফিস সদস্যরা কি কখনো এগুলো ব্যাবহার করেছেন...?? আমার মতে কখনো অফিস সদস্যরা এগুলো ব্যাবহার করেন নাই। দ্বিত্বীয়ত, সার্ভার রুম কি করে ষ্টোর রুম করে রাখেন একটা অথরিটি...?? আমি রবি-র সার্ভার রুম দেখে পাগল হয়ে গিয়েছিলাম। সেখানে টেম্পারেচার সবসময়ে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে রাখা হয়। ঢোকার সময় আমাদের জ্যাকেট ও হাত মোজা পড়ে ঢুকতে হয়। তারপরও আবার স্বয়ংক্রিয় হিট সিকার সার্কিট লাগানো আছে এবং অটো-ইশ্টিংগুইশার লাগানো আছে গোটা সার্ভার রুম এর প্রতি ২ ইন্চি পরপর।

তৃতীয়ত, আমাদের ফায়ার সার্ভিস এর গাড়ীগুলো অত্যাধুনিক নয়। চোখের সামনে বিশাল একটা শব্দ করে পাইপটা ফেটে পানি বেরোতে লাগলো। গাড়ীতে পানি শেষ হয়ে যাওয়াতে পাশের বিল্ডিং থেকে পানি নিয়ে কাজ চালালো তারা। দৃশ্য : পানির পাইপ ফেটে পানি বেরুচ্ছে। যে বাহিনী আমাদের জীবন তথা জান-মালের রক্ষা করবে আগুনের কাছ থেকে সেই বাহিনীর ইকুয়েপমেন্ট - ই দুর্বল তাহলে তারা আমাদের জান-মাল কিভাবে রক্ষা করবে...?? কেউ কি এর সমাধান দিতে পারবেন......?????


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.