আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইতিবাচক খবর আরও বেশি চাই

আরও বেশি করে ইতিবাচক খবর চাই। নেতিবাচক খবর বেশি ছাপা হয়। এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। মানুষের স্বপ্ন-জাগানিয়া গল্প পত্রিকার পাতায় জানতে চাই। রংপুরে ২ অক্টোবর প্রথম আলোর উদ্যোগে আরডিআরএস মিলনায়তনে সুধী সমাবেশ ও পাঠকের মুখোমুখি এক মতবিনিময় সভায় উপস্থিত সুধীজন এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে মাল্টিমিডিয়ায় প্রথম আলোর ওপর প্রামাণ্য উপস্থাপনা করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রবীণ শিক্ষক, মুক্তিযোদ্ধা ও ভাষাসংগ্রামী মীর আনিসুল হক। মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার সুধীজনের বক্তব্য:

মীর আনিসুল হক: ভাষাসংগ্রামী, মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক শিক্ষক-প্রথম আলো যা কিছু করছে দেশের মঙ্গলের জন্যই করছে। একটি পত্রিকা বিক্রি করে শুধু লাভের আশায় নয়। প্রতিদিন খবরের পাশাপাশি তারা নানা শিক্ষনীয় অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করছে।

বস্তুনিষ্ঠ সংবাদের পেছনে তারা প্রতিনিয়ত ছুটে চলেছে।
শফিকুল ইসলাম: অধ্যক্ষ, বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল ও কলেজ-পত্রিকার প্রথম ও শেষ পাতা পরিচ্ছন্ন ও সৃজনশীল দেখতে চাই। আরও রুচিশীল হয়ে উঠুক প্রথম আলোর প্রতিটি পাতা। নেতিবাচক নয়, ইতিবাচক খবর চাই। ’
জাহাঙ্গীর হোসেন: নির্বাহী কর্মকর্তা, জাতীয় মহিলা সংস্থা-নারী ও শিশু নির্যাতনের ওপর আরও বেশি খবর প্রত্যাশা করি।

এসব খবরের ফলোআপও পরবর্তী সময়ে পাঠক জানতে চায়। ’
মো. শাহ আলম: অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ, বিভাগীয় প্রধান, সরকারি বেগম রোকেয়া কলেজ-আগে আমরা আনন্দ পাতায় ঢাকার বাইরের খবর পেতাম। এখন সেটি দেখা যায় না। ঢাকার বাইরের সংস্কৃতিচর্চার খবরাখবর আমরা জানতে চাই। শিশুদের পাতা আরও সহজতর করা।

ছুটির দিনে রাশিফল দেখতে চাই। প্রতিটি পাতায় আরও সৃজনশীল খবর আশা করি। ’ ক্যাম্পাসভিত্তিক নানা অনুষ্ঠানের খবর প্রকাশের দাবি জানাই। সদরুল আলম: মুক্তিযোদ্ধা-‘বদলে যাও বদলে দাও’ এই স্লোগান নিয়ে মানুষকে আরও জাগিয়ে তুলতে হবে। খারাপ কিছু পরিহার করতে হবে।

ভালো কিছু নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। এ জন্য দেশের বড় গণমাধ্যম প্রথম আলোকেই এ ভূমিকা নিতে হবে। অবশ্য প্রথম আলো থেমে নেই।
নাসিমা আক্তার: প্রভাষক, মাহিগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ-অধুনাসহ অন্য কিছু পাতায় নারী উদ্যোক্তাদের দিকনির্দেশনা ও পরামর্শমূলক বেশি খবর চাই। এতে করে নারীরা প্রথম আলোর মাধ্যমে ঘরে বসে অনেক কিছু জানতে ও শিখতে পারবে।

’ সৈয়দ নূর আহমেদ: রাজনীতিক- দলনিরপেক্ষ ভূমিকা রেখে প্রথম আলোকে এগিয়ে যেতে হবে। মাঝেমধ্যে রাজনৈতিক বিশ্নেষণধর্মী খবর আশা করি। আবদুল ওয়াহেদ মিয়া: অধ্যক্ষ, কারমাইকেল কলেজিয়েট স্কুল ও কলেজ- রাজনৈতিক সংকটের সময় গণমাধ্যম হিসেবে প্রথম আলোকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। সচেতনতামূলক খবর পরিবেশন করলে সব শ্রেণীর পাঠক উপকৃত হবে।
আনওয়ারুল ইসলাম: সাহিত্যিক- ইতিহাস-ঐতিহ্য নিয়ে প্রথম আলোয় লেখা কম।

এসব প্রতিবেদন পড়ে তরুণ প্রজন্ম জানতে পারবে। শিখতে পারবে। জি এম নজু: কবি ও লেখক-সাহিত্য পাতায় দেশীয় কবিতা বেশি করে প্রকাশের দাবি জানাই। এ ছাড়াও ঢাকার বাইরের তরুণ লেখকেদের লেখা ছাপানো প্রয়োজন।
গুলশান আরা: পরিচালক, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার-মাদক নিয়ে শুধু ঢাকায় পরামর্শ দেওয়া হয়।

এই পরামর্শ ঢাকার বাইরের জেলা শহরগুলোতে ছড়িয়ে দেওয়া প্রয়োজন। মাদক প্রতিরোধের বিষয়টি সামাজিক আন্দোলনে রূপ দিতে হবে। এজন্যঢাকার বইরে মাদক বিরোধী আন্দোলনকে ছড়িয়ে দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে প্রথম আলোকে ভূমিকা নিতে হবে।
শওকত হোসেন: মরিয়মনেছা বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক-শিক্ষার পাতায় সর্বশেষ প্রাপ্ত খবর প্রকাশ করলে শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে।


নাহিদুজ্জামান: চিকিৎসক, ডেন্টাল কলেজ- শুধু চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে নেতিবাচক খবর প্রকাশ করা হয়। চিকিৎসকেরাও মানবিক কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁদের সেবামূলক কাজের খবরও আসা প্রয়োজন বলে তিনি আহ্বান জানান।
নাজিয়া শারমীন: শিক্ষার্থী, ডেন্টাল মেডিকেল কলেজ-পড়াশোনার পাতা আরও সমৃদ্ধ করা প্রয়োজন। তাহলে শিক্ষার্থীরা আরও বেশি উপকৃত হবে।


রিদওয়ানুর রহমান: শিক্ষার্থী, রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়- প্রতিবন্ধীদের জন্য কিছু একটা করা প্রয়োজন।
রফিক সরকার: সাংবাদিক, মাছরাঙা টেলিভিশনের-প্রথম আলোয় সব শ্রেণীর পাঠকের মন ছুঁয়ে গেছে। কিন্তু নতুন লেখকের লেখা খুবই কম।
রামকৃষ্ণ সোমানী: সমাজসেবক ও নাট্যব্যক্তিত্ব-প্রথম আলো এমন একটি আয়োজন করার জন্য তাদের ধন্যবাদ। সব শ্রেণীর পাঠকদের উপযোগী করে তোলার জন্য সব পাতা আরও সৃজনশীল করতে হবে।


সিরাজুল ইসলাম: মহানগর দোকান মালিক সমিতির সদস্যসচিব-সত্য ও সুস্থ ধারার খবর পরিবেশন করায় প্রথম আলো আজ দেশের শীর্ষ কাগজ হয়েছে। নিরপেক্ষতা নিয়ে যেন পত্রিকাটি কাজ করে যেতে পারে এমন আশা করি। ’
আবু আলী: পাঠক, প্রথম আলো- অর্থনীতি পাতার খবর আরও ভালো করতে হবে। তৃণমূল পর্যায় থেকে প্রতিবেদন বের করে আনতে হবে।
এ ছাড়াও আরও বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে আলোচনা করেন- রংপুর জিলা স্কুলের সহকারী শিক্ষক শফিয়ার রহমান, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হাসান আলী, রংপুর উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রেজাউল করিম, রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জয়ন্ত ভট্টাচার্য, রাসেল, বদরুল বিন্দু, নাজমুল আলম।


আব্দুল কাইয়ুম: সহযোগী সম্পাদক, প্রথম আলোর- প্রথম আলো প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করে যাচ্ছে। আরও বেশি খবর কীভাবে প্রকাশ করা যায়, এ নিয়ে পত্রিকা ভাবছে। ইতিমধ্যে বগুড়া থেকে পত্রিকা প্রকাশ হয়ে রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলের প্রতিটি জেলায় পাঠকের কাছে ভোরেই পৌঁছে যাচ্ছে।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।