সরকার দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আইন সংশোধন করায় দুদকের ক্ষমতা খর্ব হয়েছে। এখন সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার অধিকাংশ ক্ষেত্রে সরকার অনুমতি দেবে না। দুদকের মামলাগুলোতে সরকারের হস্তক্ষেপ বেড়ে যাবে।
দুদক গঠিত হওয়ার আগে যখন দুর্নীতি দমন ব্যুরো ছিল, তখন সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে সরকারের পূর্বানুমোদন লাগত। দুদক গঠনের সময় সেই বিধান তুলে দেওয়া হয়।
এই পর্যায়ে সরকারি কর্মকর্তাদের অভিযোগ ছিল, মামলায় অভিযুক্ত করার ক্ষেত্রে তাঁদের বক্তব্য বিস্তারিত ও সঠিকভাবে শোনা হয় না। বক্তব্য তেমন একটা আমলেও নেওয়া হয় না। এতে তাঁদের হয়রানি বাড়ে।
সরকারি কর্মকর্তাদের এই অভিযোগ ভিত্তিহীন নয়। তবে দুদক আইন সংশোধন না করেও বিষয়টির অবসান ঘটানো যেত।
যদি দুদক আইনের বিধিমালায় এমন একটি ধারা যুক্ত করা হতো যে সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার ক্ষেত্রে তাঁদের বিস্তারিত বক্তব্য শুনতে হবে এবং তা যথাযথভাবে মামলার নথিতে (প্রসিডিংস) উল্লেখ করতে হবে, তাহলে আইন সংশোধন না করেও বিষয়টির মধ্যে সমন্বয় করা যেত।
এটা করা হলে ক্ষমতা দুদকের হাতেই থাকত। আবার সরকারি কর্মকর্তাদের অযথা হয়রানি হওয়ার সম্ভাবনাও কমত। আইনটি সংশোধনের ব্যাপারে উন্নয়ন সহযোগী ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদেরও আপত্তি ছিল। সংশোধনীটি পাসের সংসদীয় প্রক্রিয়ায়ও এর বিপক্ষেই মতামত ছিল বলে শোনা গেছে।
কিন্তু সরকার এর কোনো কিছুই বিবেচনায় না নিয়ে আইনটি সংশোধন করায় দুদক দুর্বল হয়ে গেল। সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার ক্ষেত্রে দুদুকের হাতে কার্যত এখন আর কিছুই থাকল না।
আকবর আলি খান, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।