আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিতর্কের মধ্যেই ৩ কুইক রেন্টালের মেয়াদ বৃদ্ধির উদ্যোগ

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড বৃহস্পতিবার ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এই প্রস্তাব তুলতে যাচ্ছে, যাতে প্রতিটি কেন্দ্রের মেয়াদ পাঁচ বছর করে বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে।
এর মধ্যে পোশাক ব্যবসায়ী আনিসুল হকের মালিকানাধীন ১০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার দেশ এনার্জি উৎপাদনে আসার আগে থেকেই নানা ধরনের বিতর্কে জড়িয়েছে।
উৎপাদনে আসতে দেরি, কেন্দ্র বন্ধ থাকা এবং অতিরিক্ত তেল ব্যবহারের কারণে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এ পর্যন্ত ১৫ মিলিয়ন ডলার জরিমানা করেছে দেশ এনার্জিকে, যা নিয়ে গণমাধ্যমে খবরও প্রকাশিত হয়েছে।
 
অবশ্য আদালতে গিয়ে পিডিবির ওই জরিমানার ওপর স্থগিতাদেশ পেয়েছে দেশ এনার্জি।
একই ঘটনা ঘটেছে আরেক কুইক রেন্টাল প্ল্যান্ট ৫৫ মেগাওয়াটের এনার্জিসের ক্ষেত্রেও।

 
এই পরিস্থিতির মধ্যেই দেশ এনার্জি, এনার্জিস ও ৫৫ মেগাওয়াটের প্রিসিশন কেন্দ্রের মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব ক্রয় কমিটিতে উঠছে।
বিগত তত্ত্বাবধায়ত সরকারের সময় থেকে দেশে ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অনমুতি দেওয়া শুরু হয়।
বর্তমানে দেশে ৩২টি ভাড়া ও দ্রুতভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে, যেগুলোর মোট উৎপাদন ক্ষমতা ২ হাজার ১৬৯ মেগাওয়াট।
অবশ্য ভাড়াভিত্তিক কেন্দ্রের বিদ্যুতের দাম কয়েকগুণ বেশি হওয়ায় সরকারের ভর্তুকি বাড়ার পাশাপাশি ভোক্তাদেরও বেশি মূল্যে বিদ্যুত কিনতে হচ্ছে।
পিডিবির হিসাবে, বর্তমানে দেশের মোট বিদ্যুতের এক তৃতীয়াংশ ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুতকেন্দ্রগুলো থেকে কেনা হচ্ছে।

এর জন্য যে অর্ধ ব্যয় হচ্ছে তা বিদ্যুত কেনায় মোট ব্যয়ের দুই তৃতীয়াংশেরও বেশি।
গত অর্থবছরে ৬ হাজার কোটিরও বেশি টাকা বিদ্যুত খাতে ভর্তুকি দিয়েছে সরকার। ভাড়াভিত্তিক কেন্দ্রের জন্যই বিশাল এ অংকের ভর্তুকি লাগছে বলে সমালোচকরা বলে আসছেন।
সিদ্ধিরগঞ্জে স্থাপিত দেশ এনার্জির কেন্দ্র থেকে ১৯ টাকা ৫৭ পয়সায় প্রতি ইউনিট বিদ্যুত কেনার জন্য ২০১১ সালে চুক্তি করে পিডিবি। তিন বছরের ওই চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ফেব্রুয়ারিতে।


পিডিবির উৎপাদন প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, কারিগরি ত্রুটির কারণে দেশ এনার্জির একটি অংশ প্রায়ই বন্ধ থাকছে।
২০১০ সালের ১ নভেম্বর উৎপাদনের আসার কথা থাকলেও প্রতিষ্ঠানটির বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে আসা শুরু করে ২০১১ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি।   এই দেরির জন্যও প্রতিষ্ঠানটিকে জরিমানা করেছিল পিডিবি।
চাহিদা অনুযায়ী জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে না পারার অভিযোগও রয়েছে দেশ এনার্জির বিরুদ্ধে।
অথচ আগের চুক্তি অনুযায়ী দেশ এনার্জিকে প্রতিমাসে প্রায় ১৫ কোটি টাকা (১ দশমিক ৯২ মিলিয়ন ডলার) করে শোধ করে যাচ্ছে পিডিবি।


এ বিষয়ে দৃষ্টি আর্ষণ করলে দেশ এনার্জির চেয়ারম্যান আনিসুল হক বলেন, “আমাদের ক্যাপাসিটি আছে ৮৭%। এর মধ্যে কখনো কখনো মেনটেইনেন্সের সমস্যা বা কারিগরি ত্রুটির কারণে প্ল্যান্ট বন্ধ রাখতে হয়। তারপরও পিডিবি যা চাইছে, তা আমরা দিতে পারছি। ”
কিছুদিন আগে প্ল্যান্টে বড় ধরনের জটিলতা দেখা দিলেও তা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়েছে বলে দাবি করেন এফবিসিসিআইয়ের এই সাবেক সভাপতি।    
পিডিবির জরিমানা প্রসঙ্গে আনিসুল হক বলেন, “তেল ব্যাবহারের বিষয়ে একটি কমিটি হয়েছে।

তারাই ঠিক করবে, কতো তেল লাগবে। ওই কমিটির প্রতিবেদন পেলে পিডিবির সঙ্গে বসে আমরা সুরাহা করব, কীভাবে জরিমানা শোধ করা হবে। ” 

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.