আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

‘রিমান্ডে সরকারের প্রতিহিংসার প্রকাশ’

বৃহস্পতিবার দুপুরে এক জরুরি সংবাদ ব্রিফিংয়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, “সরকার আদালতকে ব্যবহার করে আমাদের শীর্ষস্থানীয় ৫ নেতাকে রিমান্ডে পাঠিয়েছে। বিরোধী দলের ওপর সরকারের যে প্রতিহিংসা ও নোংরা খেলা, এই রিমান্ড তারই বহিঃপ্রকাশ।
পুলিশের ওপর হামলা, গাড়ি ভাংচুর ও বিস্ফোরণের দুই মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, এম কে আনোয়ার, রফিকুল ইসলাম মিয়া এবং দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুল আউয়াল মিন্টু ও বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসকে বৃহস্পতিবার ৮ দিনের রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দেয় হাকিম আদালত।
এরপর নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই ব্রিফিং করেন রিজভী।
৫ নেতার রিমান্ড আদেশ অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, “বিরোধী দলকে দমনে সরকার যে কুৎসিত বিভৎসতা দেখাচ্ছে- একদিন এর দাঁতভাঙ্গা উপযুক্ত জবাব দেয়া হবে।


দমননীতির মাধ্যমে সরকার নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিরোধী দলের আন্দোলনকে ‘হতোদ্যেম’ করতে চাচ্ছে বলেও রিজভী মন্তব্য করেন।
“আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে দিতে চাই, সরকারের এহেন কর্মকাণ্ডে ১৮ দলীয় জোটের নেতা-কর্মীরা ভেঙে পড়বে না, পিছু হটবে না। ’’
বিরোধী দলের হরতালের মধ্যে গাড়ি ভাংচুর, অগ্নি সংযোগ এবং হতাহতের যেসব ঘটনা ঘটছে- তার জন্য সরকারের ‘এজেন্ট’দের দায়ী করেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব।
তিনি বলেন, “সম্প্রতি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে, বিরোধী দলের নেতা ও স্বনামধন্য ব্যক্তিদের বাসায় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। আমরা মনে করি এসব নাশকতার সঙ্গে সরকারের সমর্থনপুষ্ট প্রশাসন ও গোয়েন্দা বিভাগের ব্যক্তিরা জড়িত।

এরা সরকারের এজেন্ট হিসেবে এসব কাজ করছে। ”
এখনকার নাশকতার সঙ্গে ১৯৯৪-৯৬ সময়ের ‘আওয়ামী লীগের তাণ্ডবের’ মিল রয়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
“আমরা শুনেছি, বিরোধী দলকে দমনের জন্য সারাদেশ থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অসংখ্য সদস্যকে ঢাকায় মোতায়েন করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টা সাদা পোশাকে গোয়েন্দারা কাজ করছে। এ রকম নিরাপত্তার মধ্যে কারা বাসে আগুন দিচ্ছে, বিরোধী দলের নেতাদের বাসায় বাসায় ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় বোমা বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছে- তা জনগণের কাছে স্পষ্ট হয়ে গেছে।


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।