আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

“কিংবদন্তীর কথা বলছি”

I am the master of my fate, I am the captain of my soul.
১৯ নভেম্বর। প্রিয় মানুষ সঞ্জীবদা’র চলে যাবার দিন। মানুষ জন্মগ্রহণ করে, পৃথিবীতে জীবনযাপন করে কিছুদিন, তারপর মৃত্যুতে ঘটে তার পরিসমাপ্তি। কিন্তু কিছু মানুষ বেচে থাকে চিরকাল তাদের কাজের মাধমে। ক্ষণে ক্ষণে সবাইকে মনে করিয়ে দেয় তার কথা “আমি আছি এখনো তোমাদেরই মাঝে”।

সঞ্জীব চৌধুরী তেমনই একটা নাম। সেই স্কুলের সময় থেকেই শুনছি তার গান, এখনো প্রতিদিনই শুনছি। কখনোই একটুকু পুরোনো হয়ে যাচ্ছে না। বড়ং দিন দিন যেন নতুন করে প্রাণ ফিরে পাচ্ছে তার সব গান। ছাত্রজীবনে শঙ্খচিল নামে একটি গানের দলের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে তাঁর প্রথম পদচারণা।

১৯৯৬ সালে বাপ্পা মজুমদারের সঙ্গে একত্রিত হয়ে গঠন করেন ব্যান্ড দলছুট। সঞ্জীব চৌধুরীর পরিচিতি শুধুমাত্র গায়ক-সুরকার-গীতিকার হিসেবেই সীমায়িত নয়, বরং বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী সঞ্জীবদা’র বিচরণ ছিল সৃজনশীল বিভিন্ন কর্মকান্ডে। একাধারে তিনি ছিলেন লেখক-কবি, সাংবাদিক, সংগঠক এবং অভিনেতা। রাজনীতিতেও তার সংশ্লিষ্টতা ছিল ঘনিষ্ট। বর্তমানে প্রতিষ্ঠিত অনেক সাংবাদিক, যারা আজকের কাগজ কিংবা ভোরের কাগজ সঞ্জীব চৌধুরীর সহকর্মী হিসেবে কাজ করেছেন তাদের অনেকেরই সাংবাদিকতার হাতে খড়ি ‘সঞ্জীব-দা’র কাছে।

গীতিকার ও সুরকার সঞ্জীব চৌধুরী ছাপিয়ে গিয়েছেন শিল্পী সঞ্জীব চোধুরীকে, আর তাই গীতিকার ও সুরকার হিসেবে তাঁর জনপ্রীয়তা ছিল বহুগুন বেশি। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অনেক গীতিকারই তাঁর দ্বারা প্রভাবিত। গানের পাশাপাশি কবিতাও লিখতেন সঞ্জীব চৌধুরী। আসলে পাশাপাশি বলাটা ভুলই হবে। কারণ বাপ্পা’দার সাথে কথা বলে যতটুকু বুঝেছি তাকে দিয়ে গান গাওয়ানো নাকি বেশ কষ্টেরই ছিল।

তিনি কবিতাতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করতেন। তার একমাত্র কাব্যগ্রন্থের নাম রাশপ্রিন্ট। দেশের প্রায় সব দৈনিকে তাঁর কবিতা ছাপা হয়েছে। কবিতার পাশাপাশি সঞ্জীব চৌধুরী বেশ কিছু ছোট গল্প ও নাটকের স্ক্রিপ্টও লিখেছেন। সঞ্জীব চৌধুরী অভিনীত একমাত্র নাটক “সুখের লাগিয়া”।

শ্রেণী বৈষম্য সমাজ হতে সাম্যবাদী সমাজে উত্তরণের স্বপ্ন দেখতেন তিনি। তাই স্বভাবতই বাম রাজনীতিতে জড়িয়ে পরেন সে কারণে । সঙ্গত কারণেই বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবনে ও হয়ে ওঠে ছাত্র ইউনিয়নের নিবেদিত প্রাণ সংগঠক ও সক্রিয় কর্মী। বিশেষ করে এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের সেই উত্তাল রাজনীতিতে ছাত্র ইউনিয়নের সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে সঞ্জীব চৌধুরীর সংশ্লিষ্টতা হয়ে ওঠে অনিবার্য। মানুষের প্রতি ভালোবাসাই ছিলো তার রাজনীতির উৎস।

তার লেখা কবিতা, গানেও প্রতিফলিত হয়েছে ওর এই জীবনমুখী চেতনা। সম্ভবত: এই চেতনাই ওকে উদ্বুদ্ধ করেছিল মৃত্যুর পর তার মরদেহ মানব কল্যাণে কাজে লাগাতে। তাই সকল সংস্কারের উর্দ্ধে ওঠেও তার মরদেহ দান করে যেতে পেরেছিলেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের অ্যানাটমী বিভাগে- চিকিৎসকদের গবেষণার জন্য। সত্যি, মৃত্যুতেও সঞ্জীব’দা হয়ে রইলেন চিরঞ্জীব! সংক্ষিপ্ত জীবনীঃ ডিসেম্বর ২৫, ১৯৬২ সালে হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার মাকালকান্দি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ১৯৭৮ সালের মাধ্যমিক এবং ১৯৮০ সালে তিনি উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় সম্মিলিত মেধা তালিকায় স্থান দখল করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরুতে তিনি গণিত বিভাগে ভর্তি হন কিন্তু বিভিন্ন কারণে তা শেষ না করে পাস কোর্সে স্নাতক পাস করেন। তারপর সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রী করেন। ৯০ দশকের মাঝামাঝি সময়ে এসে বাপ্পা দাকে সাথে নিয়ে গড়ে তুলেন " দলছুট " এবং কাজ করেছেন "আজকের কাগজ, ভোরের কাগজ, যায় যায় দিন" পত্রিকায়। " আহা " এ্যালবামের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ হয় কিংবদন্তী সঞ্জীবদা এবং বাপ্পাদার দলছুটের । ২০০৭ এর আজকের এই দিনে তিনি চলে গেছেন তার জ্যোৎস্না বিহারে।

মস্তিষ্কে রক্ত ক্ষরণের কারণে এপোলো হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন। কিন্তু রয়ে গেছেন কোটি মানুষের মনে। **** সঞ্জীবদার কিছু গানঃ * সমুদ্র সন্তান * চাঁদের জন্য গান * রিক্সা * গাড়ি চলে না * বায়স্কোপ। * নষ্ট শহরে * হাতের উপর হাতের পরশ * আমার বয়স হলো ২৭ * তোমার ভাঁজ খোলো আনন্দ দেখাও * আমি ফিরে পেতে চাই * আমি তোমাকেই বলে দেবো * দুঃখ ব্যথায় মুখটা যে নীল * একটু খানি সবুজ * জোছনা বিহার * সাদা ময়লা রঙ্গিলা * নেশা * আহ! * নৌকা ভ্রমণ সঞ্জীব চৌধুরী মারা যাওয়ার পর সোলস ও দলছুট ব্যান্ড সঞ্জীব চৌধুরী স্মরণে তারই লেখা গান নিয়ে একটা অ্যালবাম করার ঘোষণা দেয়। দেশের প্রায় সব পত্র-পত্রিকায়ই বিষয়টি ফলাও করে প্রকাশিত হয়।

কিন্তু আজ পর্যন্ত অ্যালবামটি আলোর মুখ দেখেনি। এইব্যাপার গুলোই সাধারণত ঘটে। সকলের সময় মিলিয়ে কিছু করার ক্ষেত্রে। আশা করি কোন একদিন এলবামটির মুক্তি হবে। সঞ্জীবদা’র গান এখনকার নতুন প্রজন্মের অনেকেই শোনেনি।

কিছু গানের লিরিক্স আর লিঙ্ক দিচ্ছি কারো ইচ্ছে হলে শুনতে পারেন। সমুদ্র সন্তান চোখটা এতো পোড়ায় কেন ও পোড়া চোখ সমুদ্রে যাও সমুদ্র কী তোমার ছেলে আদর দিয়ে চোখে মাখাও । । বুক জুড়ে এই বেজান শহর হা হা শূন্য আকাশ কাঁপাও আকাশ ঘিরে শংখচিলের শরীর চেরা কান্না থামাও । ।

সমুদ্র কী তোমার ছেলে আদর দিয়ে চোখে মাখাও চোখটা এতো পোড়ায় কেন ও পোড়া চোখ সমুদ্রে যাও সমুদ্র কী তোমার ছেলে আদর দিয়ে চোখে মাখাও আমি তোমার কান্না কুড়াই, কান্না উড়াই, কান্না তাপাই কান্না পানি পান করে যাই এমন মাতাল কান্না লিখি । । সমুদ্র কী তোমার ছেলে আদর দিয়ে চোখে মাখাও চোখটা এতো পোড়ায় কেন ও পোড়া চোখ সমুদ্রে যাও সমুদ্র কী তোমার ছেলে আদর দিয়ে চোখে মাখাও http://www.youtube.com/watch?v=sSjtxrRGT-k চাদের জন্য গান আমাকে অন্ধ করে দিয়েছিল চাঁদ আমাকে নিঃস্ব করে দিয়েছিল চাঁদ আমার চোখ গেল ধরেছে সুন্দর মেয়ে তুমি এভাবে তাকালে কেন? এমন মেয়ে কি করে বানালে ঈশ্বর? বুঝি না শহরে এসেছে এক নতুন পাগল বলি ধরো তাকে ধরে ফেল এখনই সময় পাগল রাগ করে চলে যাবে পাবে না সময় পাগল কষ্ট চেপে চলে যাবে ফিরেও আসবে না মেয়ে আমাকে ফেরাও। । কে আমাকে হাত ধরে নিয়ে এলো তোমার উঠানে আমি যে বসেই আছি খোল দরজা বলি আমি রাগ করে চলে যাবো ফিরেও আসবো না আমি কষ্ট চেপে চলে যাবো খুঁজেও পাবে না মেয়ে আমাকে ফেরাও।

। http://www.youtube.com/watch?v=ruUdxUuvyMI রিক্সা এক পলকেই চলে গেল আহ কি যে তার মুখ খানা রিকসা কেন আস্তে চলে না। । রিকশা যাচ্ছে হাওয়ায় উড়ে আমার হৃদয় তুচ্ছ করে, হায় পরমা ! হায় পরমা মুখ ফিরিয়ে একটা কিছু বলে না রিকশা, কেন আস্তে চলেনা ? বাতাস লেগে উড়ছে যে চুল উড়ছে আচল সাদাসাদা ফুল রিকসায় দ্রুত চলে গেলে কেন একটু আমার হলে না। ।

http://www.youtube.com/watch?v=svDtS0NgnSY গাড়ি চলে না গাড়ি চলে না চলে না, চলে না রে, গাড়ি চলে না। চড়িয়া মানব গাড়ি যাইতেছিলাম বন্ধুর বাড়ি মধ্য পথে ঠেকলো গাড়ি উপায়-বুদ্ধি মেলে না। । মহাজনে যতন করে তেল দিয়াছে টাংকি ভরে গাড়ি চালায় মন ড্রাইভারে ভালো-মন্দ বোঝে না। ।

ইঞ্জিনে ময়লা জমেছে পার্টসগুলো ক্ষয় হয়েছে ডাইনামো বিকল হয়েছে হেডলাইট দুইটা জ্বলে না। । ইঞ্জিনে ব্যতিক্রম করে কন্ডিশন ভালো নয় রে কখন জানি ব্রেক ফেল করে ঘটায় কোন্‌ দুর্ঘটনা। । আবুল করিম ভাবছে এইবার কোন্‌ দিন গাড়ি কি করবে আর সামনে বিষম অন্ধকার করতেছে তাই ভাবনা।

। Click This Link বায়োস্কোপ তোমার বাড়ির রঙের মেলায় দেখেছিলাম বায়োস্কোপ বায়োস্কোপের নেশায় আমায় ছাড়ে না ডাইনে তোমার চাচার বাড়ি বাঁয়ের দিকে পুকুরঘাট সেই ভাবনায় বয়স আমার বাড়ে না অন্তরে থাক পদ্ম গোলাপ গদ্যে পদ্যে আঁকছি মুখ ঘুরতেছিলাম রঙের মেলায় অপূর্ব সেই তোমার চোখ অমন পলক ফেলতে তো কেউ পারে না অমন পলক ফেলতে তো কেউ পারে না হঠাৎ তোমায় মন দিয়েছি ফেরত চাইনি কোনদিন মন কি তোমার হাতের নাটাই তোমার কাছে আমার ঋণ মন হারালেও মনের মনের মানুষ হারে না http://www.youtube.com/watch?v=uEu7vkjNQfI এই নষ্ট শহরে এই নষ্ট শহরে নাম না জানা যেকোন মাস্তান, সকল খিস্তি খেউর রাজা উজির মেরে মাস্তানি সব সেরে, বিকেল বেলা তোমার বাড়ির লাগোয়া পথ ধরে যাচ্ছে যখন ফিরে, ভুলে নাহয় দিয়েই ছিল শিস হাত ছিল নিশপিশ ছুঁড়ে নাহয় দিয়েই ছিল চিঠি! স্বীকার করে বলি এসব কাণ্ড খারাপ ছেলে করে, আর স্বীকার করে বলি এসব কাণ্ড খারাপ ছেলে করে। তবু মেয়ে প্রেম তবু তার মিথ্যে ছিল না মিথ্যে ছিল না। এই নষ্ট শহরে নাম না জানা যেকোন মাস্তান। এই প্রেমের উপস্থাপন জানি তেমন ভদ্র শোভন নয়, তার চিঠির ব্যাকরণ ভর্তি ভুলে বলার মত নয়, শুধু তোমার নামটি ছাড়া শুদ্ধ কিছুই লিখতে জানে না।

আর স্বীকার করে বলি সে কিছুতেই যোগ্য তোমার নয়, আর স্বীকার করে বলি সে কিছুতেই যোগ্য তোমার নয়। তবু মেয়ে প্রেম তবু তার মিথ্যে ছিল না মিথ্যে ছিলো না। এই নষ্ট শহরে নাম না জানা যেকোন মাস্তান। সে যে বছর যুদ্ধে গিয়েছিল ভেবেছিল পাবে তোমার প্রেম, ইস্পাতে বারুদে সে তার প্রান তোমার পায়ে সঁপে দিয়েছিল। আজ স্বীকার করে বল তুমি তাকে মিথ্যে বলেছিলে, ও মিথ্যেবাদী মেয়ে তুমি তাকে মিথ্যে বলেছিলে।

আজ স্বীকার করে বল তুমি তাকে মিথ্যে বলেছিলে, ও মিথ্যেবাদী মেয়ে তুমি তাকে মিথ্যে বলেছিলে। কেন মিথ্যে বলেছিলে কেন মিথ্যে বলেছিলে?? এই নষ্ট শহরে নাম না জানা যেকোন মাস্তান। এই নষ্ট শহরে নাম না জানা যেকোন মাস্তান। http://www.youtube.com/watch?v=kAzXunnlwrQ হাতের ওপর হাতের পরশ হাতের ওপর হাতের পরশ রবে না আমার বন্ধু, আমার বন্ধু হবেনা হবেনা শিশির ঝরবে সকাল বেলা আমাকে তুমি করবে হেলা আমাকে ভালোবাসবে ঠিকই কিন্তু, আমার হবেনা, হবেনা শরৎ শেষে শিউলি ফুলে গন্ধে আমি উঠবো দুলে আমার আবেগ চূর্ণ হবে সে জন বন্ধু সবে না, সবে না অল্পে আলাপ উঠবে জমে গভীর গল্প আসবে কমে সারা রাতের গানের কথা রাত ফুরালেই কবে না, কবে না http://www.youtube.com/watch?v=xNNeeYujNtE বয়স হল সাতাশ আমার বয়স হলো সাতাশ আমার সঙ্গে মিতা পাতাস, তোর দু’হাত চেপে ধরি চাই একটু তুমত্ত্বরি। আমার বন্ধু ছিল আকাশ কেন দ্বিধার চোখে তাকাস, আমি মেঘের ছোট ছেলে কোলে আমাকে আজ পেলে।

আমার বয়স হলো সাতাশ আমার সঙ্গে মিতা পাতাস, তোর দু’হাত চেপে ধরি চাই একটু তুমত্ত্বরি। আমার বুক দেখাবো তোকে বুকে রয়েছে বিদুৎ, কিছু করলি মনে ধুত আমি খেয়েছি স্বপ্নকে। জানিস বজ্র সখা আমার আমার সাধ এখানে থামার, তোর আঁচল পেলে বাতাস আর দরকার কি নামার। আমার বয়স হলো সাতাশ আমার সঙ্গে মিতা পাতাস, তোর দু’হাত চেপে ধরি চাই একটু তুমত্ত্বরি। আমি মেঘের ছোট ছেলে আমার কৌট ভরা রং, আমি চাইছি না বরং ওরাই দিচ্ছে নিজে ঠেলে।

আমি জলের ছোট অনু রক্তে বুনেছি রংধনু, সাত রোদেলা বন জানে ব্যাথা ফুটেছে কোনখানে। আমার বয়স হলো সাতাশ আমার সঙ্গে মিতা পাতাস, তোর দু’হাত চেপে ধরি চাই একটু তুমত্ত্বরি। আমি ছিলাম তোরি বাঁ-পাশ আমি ডাকছি ওরে আকাশ আমি গেলাম ওরে বাতাস আমি ছিলাম তোরি বাঁ-পাশ। আমার বন্ধু ছিল আকাশ কেন দ্বিধার চোখে তাকাস, আমি মেঘের ছোট ছেলে কোলে আমাকে আজ পেলে। আজ বয়স হলো সাতাশ আমার সঙ্গে মিতা পাতাস, তোর দু’হাত চেপে ধরি চাই একটু তুমত্ত্বরি।

আজ বয়স হলো সাতাশ আমি ছিলাম তোরই বাঁ-পাশ। আজ বয়স হলো সাতাশ আমি ছিলাম তোরই বাঁ-পাশ। http://www.youtube.com/watch?v=-7Kg3O2-4vI তোমার ভাজ খোল আনন্দ দেখাও তোমার ভাজ খোলো আনন্দ দেখাও করি প্রেমের তরজমা যে বাক্য অন্তরে ধরি নাই দাড়ি তার নাই কমা তীর্থে তীর্থে বেড়াই ঘুরি পন্থে পন্থে বেড়াই ঘুরি। মনকে বেকা তেড়া করি মনের মেঘ তো সরে না দাড় টেনেছি দাড়ির সঙ্গে তীর ভেঙেছি তারই রঙে কী বিভঙ্গ নারীর অঙ্গে পুষ্পে মধু ধরে না বর্ষা দেখাও, গ্রীষ্ম দেখাও শীত বসন্ত শরত দেখাও স্বরব্যঞ্জণ বর্ণ শেখাও ওম ছাড়া শীত মরে না http://www.youtube.com/watch?v=j5EfSuUx9n4 আমি তোমাকেই বলে দেব আমি তোমাকেই বলে দেব কি যে একা দীর্ঘ রাত, আমি হেঁটে গেছি বিরান পথে আমি তোমাকেই বলে দেব সেই ভুলে ভরা গল্প, কড়া নেড়ে গেছি ভুল দরজায় ছুঁয়ে কান্নার রং, ছুঁয়ে জোছনার ছাঁয়া । ।

আমি কাউকে বলিনি সে নাম কেউ জানেনা, না জানে আড়াল জানে কান্নার রং, জানে জোছনার ছাঁয়া । । তবে এই হোক তীরে জাগুক প্লাবন দিন হোক লাবন্য হৃদয়ে শ্রাবণ তুমি কান্নার রং, তুমি জোছনার ছাঁয়া । । http://www.youtube.com/watch?v=oP_YCD6lwpA নেশা আরে নেশা আমার যাচ্ছে বয়ে যায় বয়ে যায় বেলা রে প্রাণে তার বেঁধেছি ধিন তানা তার সঙ্গে জীবন সাড়া রে আরে নেশায়, আরে নেশায়।

নিছক বসে হে, নিছক বসে ধুলার মাঝে জীবন বদল করি হে নেশায় জনম নিচ্ছে শিশু ধুলায় আত্বহারা রে, মাতাল সূর্য হো, মাতাল সূর্য মাতাল রাত্রি মাতাল বাতাস বহে রে মাতাল বুকের পাঁজর আমার মাতাল অশ্রুধারা হে, রঙ্গে বসে হে রঙ্গে বসে আঁকছি জীবন সঙ্গে তো নাই সঙ্গী হে সঙ্গে শীতল ছায়া আমার সঙ্গ পাগলপারা হে, আরে নেশা আমার যাচ্ছে বয়ে যায় বয়ে যায় বেলা রে প্রাণে তার বেঁধেছি ধিন তানা তার সঙ্গে জীবন সাড়া রে আরে নেশায়, আরে নেশায়। Click This Link "রঙ্গীলা পাল" ♫♪সাদা ময়লা রঙিলা পালে আউলা বাতাস খেলে আর কাদায় ভরা মনের মধ্যে জলের সন্তরন (শুধুই) সদ্য ফোটা কুড়ির মধ্যে ভ্রমরে গান তোলে আর কামে ভরা দেহের মধ্যে জলের সন্তরন (শুধুই)। । হাঁজা মজা এক পুকুর তার ভিতরে শিং মাছ জংলা ভরা ক্ষেতের ভিতর গরম দেহের আঁচ নির্বিবাদে নারীর সঙ্গে মিললো যখন নর পাল উড়াইয়া নৌকা গেলো বাতাসে সর সর কালো জলের নোংরা সবই মিলায় যে নির্ভুল শাস্ত্রে তবু সব কলমই ঝরায় কালো ভুল জীবন শাস্ত্রে মন্ত্র তোলে ভ্রমর গুঞ্জন জীবন ফুলে থাকে যদি সাদায় ভরে মন গায়ের ময়লা রঙিলা জামায় পুঁতি গন্ধ গোলাপ আর আর্বেলিয়ার ময়লা মনে হাতির সন্তরন (শুধুই) ধনীর আহার কারো পেটে গন্ধ ভরা জোলাপ আর বাসী ভাতে পান্তা দিলে মনের সন্তরন (শুধুই) মাটির সাবান খাঁটি যে তার ভিতর সোডিয়াম প্যাকেট ভরা সাবান জুড়ে গন্ধ ভরা দাম ট্যাপের জলে যায় না কোন দেহেরই সন্তাপ নদীর জলই ধুয়ে দিলো দেহের সব পাপ শাস্ত্রে লেখা সব নদী যে চলে সরল বায়ে জীবন নদী আঁকাবাঁকা তার ভিতরে নায়ে নর নারীর হাড়ি পাতিলে ধোঁয়ার সংসার মিলন কি হয় সাগরে শেষে আরেকবার♫♪ http://www.youtube.com/watch?v=M0ks2qDR3SE প্রায় সবারই গান গুলো শোনা। আবার শুনুন।

আপনাদের কাছের মানুষ যারা এখনো শোনেন নি গান গুলো, তাদেরকেও শোনান। বাচিয়ে রাখুন সঞ্জীব’দা কে অনন্ত কাল আমাদেরই মাঝে। অনেক দিন ধরেই তাকে নিয়ে লিখার তাড়না বোধ হচ্ছিল। সময়ের অভাবে সম্ভব হচ্ছিলনা। এই লেখাটাও বেশ কয়েকদিনের লেখা একসাথে যোগ করে কিছুটা অনেক পুরোনো লেখার থেকে সংগ্রহ করে লেখা।

তাই বেশ খাপছাড়া ভাবে চোখে লাগছে। এজন্যে ক্ষমাপ্রার্থী।
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।