আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অভিযোগ করে বিপাকে মহিলা কনস্টেবল

কুপ্রস্তাব দেয়ায় আইসির বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়ায় পুরস্কার হিসাবে ক্লোজ করা হয়েছে এক মহিলা কনস্টেবলকে। ছুটি চেয়ে আবেদন করলে ছুটির জন্য তাকে কুপ্রস্তাব দেয় আইসি বিক্রম ঘোষদস্তিদার। ৪ মাস আগে মহিলা ছুটি চাইলে কুপ্রস্তাব দেন নিউটাউন থানার এ আইসি। অভিযোগ করায় মহিলা কনস্টেবলকে ক্লোজ করা হয়।

কনস্টেবলের দাবি, কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাকে নানাভাবে হেনস্তা করতে শুরু করেন আইসি।

এই পরিস্থিতিতে আইসির বিরুদ্ধে মুখ খোলেন ওই মহিলা কনস্টেবল। পরে মঙ্গলবার ক্লোজ করা হয় অভিযোগকারিণী কনস্টেবলকে। অভিযোগকারিণীর প্রশ্ন, তাকে ক্লোজ করা হলে আইসিকে কেন নয়?

মহিলা কনস্টেবলের যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে দিয়েছেন অভিযুক্ত আইসি বিক্রম ঘোষদস্তিদার। তার পাল্টা অভিযোগ, ওই মহিলা কনস্টেবল বারবার অন্যায়ভাবে ছুটি নিতেন।

এই পরিস্থিতিতে সুবিচার চেয়ে এদিন, বিধাননগর কমিশনারেটের ডিসি সদর এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ কমিশনারের দ্বারস্থ হন মহিলা কনস্টেবল।

প্রয়োজনে মহিলা কমিশনের কাছে যাবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। এদিকে, এই ঘটনা উস্কে দিয়েছে নয়া প্রশ্ন। একদিকে যখন শর্ট স্ট্রিটকাণ্ডে কড়া পদক্ষেপ করেছে লালবাজার, সেখানে এই ঘটনায় কেন ক্লোজ করা হলো মহিলা কন্সটেবলকেই?

শর্ট স্ট্রিটকাণ্ডে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় প্রথমে ক্লোজ করা হয় এসআই নূর আলিকে, তারপর বদলি করা হয় ওসি পীযূষ পাণ্ডেকে, অবশেষে ক্ষমকা খর্ব করা হয় এসি (সাউথ) তাপস বসুর। প্রশ্ন উঠেছে, একদিকে যখন এত সক্রিয় পুলিশ, তখন অন্যদিকে, আইসির বিরুদ্ধে এত গুরুতর অভিযোগ ওঠা সত্ত্বেও, তদন্ত না করেই কেন ক্লোজ করা হলো অভিযোগকারিণীকে? কেন কোনো ব্যবস্থা নেয়া হলো না অভিযযুক্ত আইসির বিরুদ্ধে? দু'ক্ষেত্রে পুলিশের দুই ভূমিকা কেন?

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.