আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ত্বকের পরিচর্যায় সবজি ও ফল

শীতকালে শুষ্ক ও রুক্ষ বাতাসে ত্বক হয়ে ওঠে সজীবতাহীন। এ সময় তাই ত্বকের অনেক বেশি যত্ন নিতে হবে। তবে শীতকালের বিরাট সুবিধা হলো বাজারে বিভিন্ন রকমের টাটকা সবজি ও ফল পাওয়া যায়।
 
বাসায় ত্বক পরিচর্যা করতে চাইলে প্রথমে পরিষ্কার পানিতে তুলা ভিজিয়ে মুখের ময়লা মুছে নিন। এরপর আধা চা চামচ গ্লিসারিনে কয়েক ফোঁটা গোলাপ জল ও পানি মিশিয়ে তুলা দিয়ে মুখ মুছে নিন।

তারপর বাটিতে আলুর রস, শসা ও গাজর নিয়ে তার সঙ্গে ম্যাসাজ ক্রিম মিশিয়ে মুখে, গলায় ও ঘাড়ে ম্যাসাজ করুন ২৫-৩০ মিনিট।
 
এরপর ফুটন্ত পানিতে তুলসী পাতা ফেলে মাথা ঢেকে গরম ভাপ নিন দুই-তিন মিনিট। ভাপ নেওয়ার পর কাঠি দিয়ে নাকের দুই পাশে ও থুঁতনিতে জমে থাকা ব্ল্যাক হেডস বা সাদা শাল বের করে নিন। ভেজা কাপড় দিয়ে মুখ মুছে মাস্ক তৈরি করে ২০ মিনিট গলায় লাগিয়ে রাখুন। এরপর ভেজা টাওয়াল দিয়ে মুখ চেপে চেপে পরিষ্কার করে নিন।

এবার ঠাণ্ডা পানিতে কিছুটা গোলাপ জল ঢেলে বড় এক টুকরো কটন ভিজিয়ে এক মিনিট মুখে চেপে রাখুন।
 
অন্যদিকে, ফল দিয়ে ত্বক পরিচর্যা করতে হলে ঠিক একই পদ্ধতিতে করতে হবে। তবে ম্যাসাজ ক্রিমের সঙ্গে কমলার রস মিশিয়ে নিলে ভালো হয়। এক্ষেত্রে আতাফলের বাকলের ভেতরের দানার সাদা অংশ স্কার্ভ হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। ভাপে পুদিনাপাতাও দিতে পারেন।

আর মাস্কে ব্যবহার করবেন বেসন, ময়দা, চন্দনের গুঁড়া, কমলার রস, আঙ্গুরের রস ও পাকা পেঁপের পেস্ট।
 
শীতকালীন ত্বক পরিচর্যায় যা মনে রাখা জরুরি সেগুলো হল:
 
- প্রতিদিন রাতে শোয়ার আগে গ্লিসারিন, গোলাপজল ও পানি মিশিয়ে হাত-পা ম্যাসাজ করুন।
 
- সব সময় ত্বক পরিচর্যায় টাটকা সবজি ও ফল ব্যবহার করবেন।
 
- ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে আখরোট বেটে দুধের সঙ্গে মিশিয়ে সঙ্গে কয়েক ফোঁটা গোলাপ জল মেশান। এটি পেস্ট ক্রিমের কাজ করে।

তারপর মুখে ও ঘাড়ে ২০ মিনিট লাগিয়ে পরে ধুয়ে ফেলতে পারেন।
 
- ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে দুই চা-চামচ বাঁধাকপি পাতার রসে কোয়ার্টার চা-চামচ ইস্ট ও এক চা-চামচ মধু মিশিয়ে ঘন করে সারা মুখে লাগান। ১৫ মিনিট পর হালকা গরম পানি দিয়ে তা ধুয়ে ফেলুন।
 
- নিয়মিত টাটকা শাকসবজি, সালাদ ও ফল খাবেন। এতে আপনার পেট পরিষ্কার থাকবে।

সেই সঙ্গে পরিমিত ঘুম দরকার। ত্বকের যত্নে এগুলোর কোনো বিকল্প নেই।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।