আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পবিত্রতা ইমানের অঙ্গ

পবিত্রতা ইমানের অঙ্গ, নামাজ বেহেশতের চাবি। মহান আল্লাহতায়ালা পবিত্রতা অবলম্বনকারীকে খুব ভালোবাসেন। আর নাপাকি থেকে শরীরকে পবিত্র রাখা সব মুসলমান নরনারীর প্রতি শরিয়ত সমর্থিত একটি বিধান। যেমন অন্তরকে শিরক, কুফর তথা যাবতীয় মন্দ স্বভাব থেকে সর্বদা পবিত্র রাখা সবার প্রতি শরিয়ত সমর্থিত একটি অপরিহার্য বিধান। সুতরাং আমাদের শরীর ও আত্দা তথা জাহের এবং বাতেনকে নাপাকি থেকে সাধ্যানুযায়ী পবিত্র রাখা ফরজ।

কেননা ইবাদত-বন্দেগির শুদ্ধতা ও কবুলিয়ত একমাত্র পাকপাকিজার ওপরই নির্ভরশীল। আল্লাহপাক ইরশাদ করেন, হে মুমিনগণ! তোমরা যখন নামাজ আদায় করার ইচ্ছা কর তখন তোমরা তোমাদের মুখণ্ডল ও দুই হাত কনুই পর্যন্ত ধৌত কর, মাথা মাসেহ কর এবং দুই পা টাখনো পর্যন্ত ধৌত কর! হজরত আবু মালেক আশয়ারী (রা.) থেকে বর্ণিত হজরত রাসূলেপাক (সা.) বলেন, পাকপাকিজা হলো ইমানের অর্ধেক। হজরত জাবির (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসূলে পাক (সা.) বলেন, নামাজ হলো বেহেশতের চাবি। আর পাকপাকিজা হলো নামাজের চাবি। হজরত আলী (রা.) থেকে বর্ণিত হজরত রাসূলে পাক (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি (ফরজ গোসলে) এক চুল পরিমাণ স্থানও ছেড়ে দেবে তথা এটা ধুইবে না কিয়ামতের দিন তাকে দোজখের আগুনে শাস্তি দেওয়া হবে।

(আবু দাউদ শরিফ) হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত নবী (সা.) একদা দুটি কবরের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন, এমন সময় তিনি বললেন, এ কবরবাসীর উভয়কে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু কোনো বিরাট অপরাধে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে না। এদের একজন প্রস্রাবকালে আড়াল করত না। আর অপরজন একজনের কথা অন্যজনের কাছে (ফেতনা সৃষ্টির উদ্দেশে) পেঁৗছে দিত। মুসলিমের অপর বর্ণনায় রয়েছে প্রস্রাব থেকে উত্তমরূপে পবিত্রতা লাভ করত না।

(বুখারি শরিফ) হজরত আবদুল্লাহ বিন সামাবিহী (রা.) থেকে বর্ণিত হজরত রাসূলে পাক (সা.) বলেন, যখন কোনো মুমিন বান্দা অজু করে এবং প্রথমে কুলি করে তখন তার মুখ থেকে গুনাহরাজি বের হয়ে যায়, যখন নাকে পানি দিয়ে ঝাড়ে তখন তার নাক থেকে গুনাহসমূহ বের হয়ে যায়, যখন মুখমণ্ডল ধৌত করে তখন তার মুখমণ্ডল থেকে সব গুনাহ বের হয়ে যায়, এমনকি তার দুই চোখের পাতার নিচ থেকে গুনাহগুলো বের হয়ে যায়। যখন তার দুই হাত ধৌত করে তখন তার দুই হাত থেকে সব কৃত গুনাহ বের হয়ে যায়, এমনকি তার দুই হাতের নখসমূহের নিচ থেকে গুনাহসমূহ বের হয়ে যায়। যখন সে তার মাথা মাসেহ করে তখন তার মাথা থেকে গুনাহসমূহ বের হয়ে যায়। এমনকি দুই কান থেকেও তা বের হয়ে যায়। অতঃপর মসজিদের দিকে গমন ও নামাজ তার জন্য অতিরিক্ত হিসেবে গণ্য হয়।

অর্থাৎ সওয়াবের কারণ হয়। (নাসায়ি শরিফ) হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হজরত রাসূলে পাক (সা.) বলেন, আমার উম্মতকে কিয়ামতের দিন বেহেশতের দিকে আহ্বান করা হবে। তখন তাদের মুখমণ্ডল ও হস্তপদ চাকচিক্যময় উজ্জ্বল হবে। এটা তাদের অজুরই নিদর্শন স্বরূপ। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি তার উজ্জ্বলতাকে দীর্ঘ করতে পারে সে যেন তা করে।

(বুখারি ও মুসলিম) আল্লাহতায়ালা আমাদের সবাইকে পবিত্রতা বজায় রাখা এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার তৌফিক দিন। (আমিন)

 

 

 

 

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/index.php     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।