আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মাযহাব অনুসরণ করা ফরয? (দলীল ভিত্তিক ধারাবাহিক ----৩য় পর্ব)

জালিমের ফাঁসি হোক, যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি হোক, রাজাকারদের ফাঁসি হোক

শরীয়ত অনুযায়ী মাযহাব পালন করা ফরয কিনা তা এক লাইনে লেখা সম্ভব নয়। দলীল সহ বিস্তারিত লিখা হলে সহজে ‍বুঝা যাবে। তাই অনেকগুলো পর্ব হবে। সবগুলো পর্ব পড়ে মন্তব্য করবেন আশা করি। ২য় পর্বের পর.................... আল্লাহ্ পাক উনার কালাম পাকে ইরশাদ করেন, “হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহ্ পাক-এর ইতায়াত করো এবং আল্লাহ্ পাক-এর রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ইতায়াত করো এবং তোমাদের মধ্যে যারা উলিল আমর রয়েছেন উনাদের ইতায়াত করো।

অতঃপর যদি কোন বিষয়ে মতবিরোধ দেখা দেয় তাহলে তা আল্লাহ্ পাক ও উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর দিকে প্রত্যাবর্তন করো। অর্থাৎ যেই উলিল আমর আল্লাহ্ পাক ও উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বেশী অনুগত ও নৈকট্যশীল বা যার মতের স্বপক্ষে কুরআন ও সুন্নাহর দলীল-আদিল্লাহ বেশী রয়েছে তাঁকে বা তাঁর মতকে অনুসরণ করবে। যদি তোমরা আল্লাহ্ পাক ও ক্বিয়ামত দিবসের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে থাক। এটাই কল্যাণকর এবং তা’বিল বা ব্যাখ্যার দিক দিয়ে উত্তম। ” (সূরা নিসা-৫৯) কুরআন শরীফের এ আয়াত শরীফের মধ্যে আল্লাহ্ পাক বান্দার জন্য ইতায়াত বা অনুসরণের কাইফিয়াত ও তরতীব বর্ণনা করে দিয়েছেন।

প্রথমত: আল্লাহ্ পাক উনার ইতায়াত। দ্বিতীয়ত: আল্লাহ্ পাক উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ইতায়াত। তৃতীয়ত: উলিল আমরের ইতায়াত। প্রথমত: আল্লাহ্ পাক উনার ইতায়াতের কথা বলা হয়েছে। তা তো কেবল নবী-রসূল আলাইহিমুস্ সালামগণের পক্ষেই সম্ভব।

কারণ উনাদেরকেই আল্লাহ্ পাক ওহী নাযিলের মাধ্যমে সবকিছু জানিয়েছেন। আবার উনাদের মধ্যে কারো কারো সাথে কথা বলেছেন, কাউকে বিশেষ বিশেষ ফযীলত ও মর্যাদা দান করেছেন। এ প্রসঙ্গে কালামুল্লাহ শরীফে আল্লাহ্ পাক ইরশাদ করেন, “আমি উনাদের(নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম) প্রতি ওহী নাযিল করতাম। ” (সূরা ইউসুফ-১০৯, নহল-৭৪, আম্বিয়া-৭) আল্লাহ্ পাক আরো ইরশাদ করেন, “আমি রসূল আলাইহিমুস্ সালামগণের একেকজনকে একেকজনের উপর ফযীলত দান করেছি। উনাদের কারো কারো সাথে আল্লাহ্ পাক (সরাসরি) কথা বলেছেন এবং কাউকে কাউকে উচ্চতর মর্যাদা-মর্তবা দান করেছেন।

” (সূরা বাক্বারা-২৫৩) দ্বিতীয়ত: আল্লাহ্ পাক উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ইতায়াতের কথা বলা হয়েছে। এটা তো হযরত ছাহাবা আজমাঈন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণের জন্যই খাছ। কারণ, আল্লাহ্ পাক উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে উনারাই দেখেছেন এবং উনার কাছ থেকে ওহীর ইলম জেনে, শুনে, বুঝে আমল করেছেন। এ প্রসঙ্গে ইরশাদ হয়েছে, “যে ব্যক্তি রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ইতায়াত করলো সে মূলত: আল্লাহ্ পাক উনারই ইতায়াত করলো। ” (সূরা নিসা-৮০) ২য় পর্ব।

১ম পর্ব। ---------------------------------------(ইনশাআল্লাহ চলবে)

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.