আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আবারও বাংলাদেশে আসছে ফ্রেঞ্চ স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান

প্রতিটি রাতে স্বপ্ন দেখি একদিন সব আমারই হবে, আজ না হলেও কাল তো ঠিকই

প্রায় এক যুগ পর আবারও বাংলাদেশের মার্কেটে এ্যালকাটেল নিয়ে আসছে তাদের পণ্য। থ্রিজি অনুমোদনের পর দেশের বাজারে স্মার্টফোনের চাহিদা ব্যাপক বেড়েছে এ কথা বলাই বাহুল্য। এবং বাংলাদেশে রয়েছে স্মার্টফোনের বিশাল চাহিদা যা ক্রমবর্ধমান। এ্যাপল, স্যামসাং কিংবা এইচটিসি'র পর বিশ্বে এন্ড্রোয়েড ঘরানার "এ্যালকাটেল" স্মার্টফোনের রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। এজন্য বাংলাদেশ মার্কেটকেও তারা বেশ গুরুত্বের সাথেই নিচ্ছে।

তবে তাদের ওয়েবসাইট ঘেটে দেখলাম দারুন দারুন সব ফিচারের স্মার্টফোন। এবং আশার কথা হলো এন্ড্রোয়েড ঘরানার এসব স্মার্টফোনের দামও মোটামোটি হাতের নাগালে। আশা করবো, বাংলাদেশ মার্কেটেও তারা আমাদের ক্রয়ক্ষমতা বিবেচনা করে দাম নির্ধারন করবে। আর যদি সেটা হয় তাহলে আমাদের দেশে থ্রিজি চালুর পর আমরা সাধারন ক্রেতারা যখন আইফোন কিংবা নোট থ্রি'র মতো এক্সপেনসিভ এবং পোশ সেটগুলোর আকাশছোয়া দামের কারনে থ্রিজি যথোপযুক্ত ব্যবহার থেকে বন্ঞিত হচ্ছিলাম(অবশ্য আমার এলাকায় এখনো কোন বেসরকারী মোবাইল কোম্পানী তাদের থ্রিজি সুবিধা চালু করতে পারেনি) সেটা অন্তত দূর হবে। হোপফুলি খুব দ্রুত আমি আমার এরিয়াতে থ্রিজি সুবিধাও পাবো।

অবশ্য মোবাইল কোম্পানীর দোষ দিয়েইবা লাভ কি? মিরপুর এরিয়া এত জনবহুল যে, এর জন্য হয়তো তাদের আলাদা করে কিছু অতিরিক্ত প্রস্তুতিও নিতে হবে কি না কে জানে? এবারে এলকাটেল-লুসেন্ট সম্পর্কে কিছু কথা: আগে যখন আমাদের দেশে এদের অপারেশন ছিল অর্থ্যাৎ যারা গ্রামীনটেলিকমের সাথে এলকাটেলের সেই সুবিশাল সেট ব্যাবহার করতেন তারা হয়তো জানেন এলকাটেল নামেই। শতবর্ষ পুরনো এই কোম্পানীটি গত ২০০৬ সালে মার্জ করে লুসেন্ট টেকনোলজির সাথে। এরপর থেকে এলকাটেল লুসেন্ট নামেই এরা ব্র্যান্ডিং করে। এদের প্রায় ১৩০টি দেশে অপারেশন রয়েছে। অনেকের মতো আমিও আজকেই জানলাম ভুবনবিখ্যাত মার্কিন গবেষণা(টেলিকম) প্রতিষ্ঠান "বেল ল্যাব " এর মালিক এখন এলকাটেল-লুসেন্ট।

মার্কিন রাষ্ট্রয়ত্ব টেলিকম প্রতিষ্ঠান "AT&T " এখন আর এটার মালিকানায় নেই। কোম্পানীতে এ বছরই প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দিয়েছেন ব্রিটিশ টেলিকম জায়ান্ট Vodafone এর সাবেক সিইও মাইকেল কম্বস। এ বছরে যোগ দেবার পর থেকেই এগ্রেসিভ মার্কেটিং করার জন্যই হয়তো সাউথ এশিয়ার ইমার্জিং মার্কেটকে বিবেচনা করে বাংলাদেশের বাজারে আসার পদক্ষেপ। জিএসএম এরিনার দেয়া তথ্য অনুযায়ী ২০১৩ সালে তাদের প্রায় ১৮টি ডিভাইস(স্মার্টফোন+ট্যাবলেট) বাজারে এসেছে। আর কামিং সুনের তালিকায় আছে ১০টি ডিভাইস।

যার একটি ডিভাইস ই আমাকে পোষ্টটি লিখার জন্য তাগাদা দিল। মাস দুয়েক আগে আমি হুয়াই এসেন্ড পি-৬ নিয়ে যখন একটি পোষ্ট দিয়েছিলাম তখনকার মতো এখনও ভয়াবহ রকমের এক্সাইটমেন্ট ফিল করছি এদের এই স্মার্টফোনের স্পেসিফিকেশন এবং আইডিয়াটা দেখে। তবে আমি সেটটির সাথে তাদের আরেকটি স্মার্টফোনের সাথে মিল পেলেও একটি জায়গায় এরা অসাধারন আইডিয়া নিয়ে কাজ করেছে যাতে মনে হতে পারে সেটটি এক্স্যাক্টলি আমার জন্যই ডিজাইনকৃত যার একই সাথে ইন্টারনেট, মাল্টিমিডিয়া এবং দ্রৃত কল বা টেক্সট করার প্রয়োজনও পড়ে। বর্তমানে মার্কেটে থাকা এই পোশ সেটটির দাম প্রায় ৬৯,৫০০(অফিসিয়াল দাম)। অর্থ্যাৎ টিপিক্যাল মধ্যবিত্তের সীমানার বাইরে।

আর সাথে তাদের ডিভাইসটিও আমার খুব একটা মনঃপুত হয়নি। কারন এটি দিয়ে আর যাই হোক স্বাচ্ছন্দে টেক্সট বা ফোন করা একদমই অসম্ভব। যাই হোক এলকাটেল-লুসেন্ট স্মার্টফোনকে বাংলাদেশে স্বাগতম। ধন্যবাদ তাকে বা তাদেরকে এদেশের মার্কেটকে গুরুত্বের সাথে নেয়ার জন্য। আশা করছি এই থ্রিজি'র(পর্যায়ক্রমে এলটিই *) যুগে তারা এন্ড্রোয়েড ঘরানার দারুন দারুন সব ডিভাইস দারুন দারুন সব দামে আমাদের ব্যবহার করার সুযোগ করে দেবে।

এমন প্রত্যাশায়...


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.