আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নির্বাচন অনিশ্চিত, তবু রাষ্ট্রপতির ভাষণ ন

নির্বাচন নিয়ে সংশয় থাকলেও রাষ্ট্রপতির ভাষণের খসড়া তৈরি নিয়ে চলছে তোড়জোড়। সরকারের সাফল্য তুলে ধরার লক্ষ্যে চলছে মন্ত্রণালয়গুলোর তথ্য সংগ্রহ। কারণ, ২০১৪ সালে জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণে এসব তথ্য অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

তবে যে লক্ষ্যে এসব তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে সেটি নিয়েই দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। নবম জাতীয় সংসদের মেয়াদ রয়েছে ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত। সর্বশেষ অধিবেশনটিও শেষ হয়েছে গত ১০ নভেম্বর। জরুরি কিছু না হলে এই মেয়াদে আর কোনো অধিবেশন ডাকার কথা নেই। আবার জরুরি অধিবেশন বসলেও সেখানে রাষ্ট্রপতির ভাষণ আবশ্যক নয়।

অন্যদিকে নির্বাচন কমিশন যে তফসিল ঘোষণা করেছে সে অনুযায়ী ৫ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা। তবে ঘোষিত এই তফসিল নিয়েও দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।নির্বাচনকালীন সরকারে যোগ দিয়েও জাতীয় পার্টি সমর্থন প্রত্যাহার করে নিয়ে নির্বাচনে না আসার ঘোষণা দিয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আগে থেকেই নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণা রয়েছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলের। জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ দূত তারানকো ঢাকায় এসে চেষ্টা চালাচ্ছেন রাজনৈতিক মতবিরোধ দূর করে সব দলকে নিয়ে নতুন তফসিলে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেওয়ার। পরিস্থিতি যখন এই, তখন প্রশ্ন উঠেছে সংসদের প্রথম অধিবেশনের জন্য রাষ্ট্রপতির ভাষণ তৈরি নিয়ে মন্ত্রণালয়গুলোর ব্যস্ত থাকা কতটা জরুরি? তবে এ প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায়নি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে। তারা বলেছেন, সরকারের নির্দেশ মেনেই রাষ্ট্রপতির ভাষণের জন্য তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।

যা থাকবে রাষ্ট্রপতির ভাষণে : বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে রাষ্ট্রপতির ভাষণে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য। এর মধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি খসড়া এই প্রতিবেদকের হাতে রয়েছে। ওই খসড়ায় স্পিকারকে উদ্দেশ করে বক্তব্যের শুরুতেই ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে নেওয়া বর্তমান সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রমের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। রয়েছে ব্যাংক কোম্পানি আইন-এর সংশোধন, আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে উন্নীত করার লক্ষ্যে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ প্রণয়ন, সন্ত্রাসবিরোধী আইন সংশোধন, বাংলাদেশ ব্যাংকে ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (এফআইইউ) গঠন, ১৬টি দেশের সঙ্গে এফআইইউ সমঝোতা স্মারক সই করা, ৯টি নতুন ব্যাংকের অনুমোদন দেওয়া এবং পুঁজিবাজারে ডি-মিউচুয়ালাইজেশনসহ বীমা খাতে বিভিন্ন সংস্কার কার্যক্রমের কথা।

কৃষি ঋণ, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে ঋণ, গৃহায়ন ঋণ, ঘরে ফেরা কর্মসূচি এবং দারিদ্র্য বিমোচনে নেওয়া সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রমও খসড়ায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বিচক্ষণ মুদ্রানীতি এবং সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে ২০১২-১৩ অর্থবছরে ৬ দশমিক ২ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন, আন্তর্জাতিক সার্বভৌম ঋণ ঝুঁকির মাত্রা নির্ধারণকারী সংস্থা স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড পুওর এবং মোডিজের সভরেন রেটিংয়ে বাংলাদেশের স্থিতিশীল রেটিং অর্জন, বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ ১৭ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাওয়া, দারিদ্র্যের হার উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে আনাসহ অর্থনৈতিক খাতে বেশকিছু অর্জনের কথাও তুলে ধরা হয়েছে রাষ্ট্রপতির খসড়া ভাষণে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.