আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিরোধি ও সরকার দুই পক্ষই ‘সদিচ্ছার সঙ্গে’ সংলাপ চালিয়ে যেতে সম্মত হয়েছে, সংকট উত্তরণের পথে হয়েছে ‘ইতিবাচক অগ্রগতি’।

posondo kori,kintu bortoman bd er rajnite neya hotas.

মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী নিল ওয়াকারের বাসায় এই বৈঠক হয়। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও দুই দলের আরো ছয় নেতা এবং জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব অস্কার ফার্নান্দেজ-তারানকো এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বেলা ২টা থেকে আড়াই ঘণ্টার এই বৈঠক চলাকালে কোনোপক্ষই এ বিষয়ে ‍মুখ না খুললেও সন্ধ্যায় বিএনপির সহ দপ্তর সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে আলোচনায় সম্মত হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করা হয়। এর ঠিক আগে ফার্নান্দেজ-তারানকো এক বিবৃতিতে বলেন, দুই পক্ষই ‘সদিচ্ছার সঙ্গে’ সংলাপ চালিয়ে যেতে সম্মত হয়েছে, সংকট উত্তরণের পথে হয়েছে ‘ইতিবাচক অগ্রগতি’। বিএনপির বিবৃতিতে বলা হয়, জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুনের বিশেষ দূত অস্কার ফার্নান্দেজ-তারানকোর আমন্ত্রণে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে বিএনপির প্রতিনিধিদল আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে এই বৈঠকে অংশ নেন।

“বৈঠকে উভয়পক্ষ সব দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য নির্বাচনকালীন সরকার বিষয়ে আলোচনা অব্যাহত রাখতে একমত পোষণ করেন। ” এই বৈঠকে বিএনপি নেতাদের মধ্যে আরো ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আবদুল মঈন খান ও সহসভাপতি শমসের মবিন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। আর আওয়ামী লীগ প্রতিনিধি দলে ছিলেন দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ ও প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা গওহর রিজভী। ফার্নান্দেজ-তারানকোর সঙ্গে জাতিসংঘের কয়েকজন কর্মকর্তাও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ‘অনিশ্চিয়তা নিরসনের’ লক্ষ্যে জাতিসংঘ মহাসচিব মধ্যস্ততার এই উদ্যোগ নেয়ায় বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানানো হয় বলে উল্লেখ করা হয় দলের বিবৃতিতে।

ওই বৈঠকের পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবসহ প্রতিনিধি দলের সদস্যরা গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকের মধ্যেই বিবৃতিটি গণমাধ্যম কর্মীদের হাতে দেয়া হয়। ‘সর্বদলীয়’ সরকার গঠন করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নির্বাচনে এগিয়ে যাওয়া এবং তফসিল প্রত্যাখ্যান করে নির্দলীয় সরকারের দাবি নিয়ে বিএনপির হরতাল-অবরোধে দেশে রাজনৈতিক সহিংসতার মধ্যেই শুক্রবার বাংলাদেশে আসেন বান কি-মুনের দূত ফার্নান্দেজ-তারানকো। শনিবার থেকে গত চার দিনে প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দলীয় নেতা, আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও জামায়াতে ইসলামী এবং নির্বাচন কমিশন ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেন তিনি। সফর শেষে মঙ্গলবারই তার ঢাকা ছাড়ার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে তার ভাষায় ‘ইতিবাচক অগ্রগতি হওয়ায় জাতিসংঘ মহাসচিবের দূত তার যাত্রা একদিন পিছিয়ে দেন।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.