আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সহিংসতা প্রতিরোধের শপথ

বিপুল উৎস-উদ্দীপনা ও সহিংসতা প্রতিরোধের শপথ নিয়ে গতকাল সারা দেশে পালিত হয়েছে ৪২তম মহান বিজয় দিবস। দিবসটি উপলক্ষে নানা কর্মসূচি গ্রহন করে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সাধারণ মানুষ। শহীদ বেদীতে পুষ্পস্তাবক অর্পণ করে শান্তি কামনা করা হয় শহীদী আত্দার। এ ছাড়া জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে হাসপাতাল, জেলখানা, এতিমখানায় খাবার পরিবেশন ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

বগুড়া : শহীদ টিটু মিলনায়তনে আয়োজন করা হয় আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন মাছুদার রহমান হেলাল, তৌফিক হাসান ময়না, আমিনুল ফরিদ প্রমুখ। কুমিল্লা : হাজী আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার, ওমর ফারুক, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে শহীদ ধীরেন্দ নাথ দত্ত স্টেডিয়ামে ডিসপ্লে প্রদর্শন করেন শিক্ষার্থীরা। গাজীপুর : ৩১ বার তোপধ্বনীর মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচি শুর' হয়। পরে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

কুষ্টিয়া : কালেক্টরেট চত্বরে স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর আওয়ামী লীগ ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ শহরে বর্নাঢ্য র্যালি বের করে। নীলফামারী : নীলফামারী স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াচ পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধণা, হাসপাতাল, জেলখানাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে খাবার পরিবেশন করা হয়। নোয়াখালী : মাইজদীর শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি ফলকে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। দুপুরে চৌমুহানীতে র্যালি বের করে আওয়ামী লীগ।

রাঙামাটি : মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদের পরিবারদের সংবর্ধনা দেয় জেলা পরিষদ। এরআগে শহীদ মিনারে পুস্পমাল্য অর্পণের মধ্য দিয়ে শহীদের আত্দার শান্তি কামনা করে রাজনৈতিক ও সামাজি সংগঠনগুলো। টাঙ্গাইল : তোপধ্বনি ও শহীদ স্মৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পনের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শুরু হয়। পরে টাঙ্গাইল স্টেডিয়ামে শিক্ষার্থীদের কুচকাওয়াজ উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক। শরীয়তপুর : শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে শহীদ মিনারে হাজির হন সর্বস্তরের মানুষ।

পরে জেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল, আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠন শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শহীদদের শ্রদ্ধা জানায়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া : শহরের ফারুকী পার্কে স্মৃতিসৌধে পুষ্পসত্দবক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার। বাঞ্ছারামপুর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মুক্তিযোদ্ধাদের দেওয়া হয় সংবর্ধনার। গোপালগঞ্জ : শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে পায়ড়া উড়িয়ে কুচকাওয়াজ উদ্ধোধন করেন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার। পরে কুচকাওয়াজে অংশ নেন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী।

ঝিনাইদহ : স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান, কেন্দ ীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মসিউর রহমান প্রমুখ। মাগুরা : শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে জানান ডা. এম এস আকবর এমপি, শ্রী বীরেন শিকদার এমপিসহ রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন। দেওয়া হয় মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সন্তানদের সংবর্ধনা। মেহেরপুর : মেহেরপুর স্টেডিয়াম মাঠে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন জেলা প্রশাসক। পরে শিক্ষার্থীদের ডিসপ্লে ও মসজিদ, মন্দিরে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

মৌলভীবাজার : শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন জেলা প্রেসক্লাব, বিএনপি, আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠন। দুপুরে অনুষ্ঠিত হয় ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা। পাবনা : পাবনা স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহন করেণ জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার। জেলা পরিষদের উদ্যোগে শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। শেরপুর : মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে সব শ্রেণীর মানুষের ফুলেল শ্রদ্ধায় শহীদদের স্মরণ করেন।

পরে মুক্তিযোদ্ধা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় কুচকাওয়াজ। চাঁপাইনবাবগঞ্জ : জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও যুদ্ধাহত পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সরাফত আলী, বশির আহম্মেদ প্রমুখ। বাগেরহাট : বাগেরহাট স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজ, শরীর চর্চা ও ডিসপ্লে প্রদর্শনীতে উপস্থিত ছিলেন ডা. মোজাম্মেল হোসেন, মীর শওকাত আলী বাদশাসহ অনেকে। মাদারীপুর : যুদ্ধপরাধীদের ফাঁসির রায় দ্র'ত কার্যকরের দাবির মধ্য দিয়ে বিজয় দিবস পালিত হয়। এছাড়া পালন করা হয় নানা কর্মসূচি।

সিরাজগঞ্জ : মুক্তির সোপানে জেলা প্রশাসক শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। হাসপাতাল, জেলখানা, এতিমখানা, শিশু পরিবার ও অন্ধ শিক্ষা প্রকল্পে খাবার পরিবেশন করা হয়। কিশোরগঞ্জ : মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান, বিকালে প্রীতি ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। সন্ধ্যায় মঞ্চস্থ হয় মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক নাটক। দিনাজপুর : দিবসটি পালনে ব্যাপক কর্মসূচি নেওয়া হয়।

বর্নাঢ্য র্যালি করে ইসলামী ছাত্রশিবির। জেলা প্রশাসন চত্তর শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান এ এইচ মাহমুদ আলীসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। জয়পুরহাট : স্থানীয় স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজ, ডিসপ্লে, মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, রক্তদান কর্মসূচি এবং বিকালে বিজয় দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে সভা অনুষ্ঠিত হয়। ময়মনসিংহ : বিসিক ময়মনসিংহের উদ্যোগে মাসকান্দা চত্ত্বরে বিজয় মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন দিলারা বিনতে রহমান, শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

বরগুনা : শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষপস্তবক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ রাজনৈতিক ও সামাজিক অংগ সংগঠন। মুন্সীগঞ্জ : কুচকাওয়াজ, ডিসপ্লে অনুষ্ঠিত হয়। শিল্পকলা একাডেমীতে আয়োজন করা হয় শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা, চলচ্চিত্র ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

 

 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.