আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিদেশি ক্যাম্পাস

টোকিও ইউনিভার্সিটি ব্যাংকো, টোকিও জাপানে, ১৮৭৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি একটি গবেষণামূলক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এখানে রয়েছে ১০টি ফ্যাকালটি। আর ৩০ হাজার ছাত্রছাত্রী শিক্ষা নিচ্ছে, যার মধ্যে দুই হাজার ১০০ জনই বিদেশি শিক্ষার্থী। প্রতিষ্ঠানটির রয়েছে পাঁচটি সুবিশাল ক্যাম্পাস।

এগুলো হলো- হনগো, কোমাবা, ক্যাশিওয়া, শিরক্যানি এবং ন্যাকানও জাপানে অবস্থিত। মেডিসিন এবং ওয়েস্টার্ন লার্নিং স্কুল নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি বর্তমান নামে যাত্রা শুরু করলেও ১৮৮৬ সালে নাম পরিবর্তন করে ইম্পেরিয়াল ইউনিভার্সিটি করা হয়। তবে ১৯৪৭ সালে জাপান দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে পরাজিত হলে প্রতিষ্ঠানটি বর্তমান নামে ফিরে আসে। আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত হতে ২০১২ সালের ২০ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠানটি তার শিক্ষাবর্ষ এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চালু করে। জাপানের বিখ্যাত পত্রিকা জাপান টাইমসের মতে, ইউনিভার্সিটিতে ১২৮২ জন প্রফেসর কর্মরত রয়েছেন, যার মধ্যে ৫৮ জন নারী।

১০টি অনুষদের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এগুলো হলো- আইন, মেডিসিন, প্রকৌশল, লেটারস, বিজ্ঞান, কৃষি, অর্থনীতি, কলা, শিক্ষা এবং ফার্মাসিউটিক্যাল সায়েন্স। তবে ইউনিভার্সিটিকে সারা বিশ্বে পরিচিতি এনে দিয়েছে তার গবেষণা ইনস্টিটিউটগুলো, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্স, আর্থকুইক রিসার্চ ইনস্টিটিউট, ইনস্টিটিউট অব কসমিক রিসার্চ, ইনস্টিটিউট অব সলিড স্টেট ফিজিঙ্ ইত্যাদি। এ প্রতিষ্ঠানটি জন্ম দিয়েছে বিখ্যাত মানুষদের। জাপানের ১৫ জন প্রধানমন্ত্রী এ বিশ্ববিদ্যায়ের ছাত্র ছিলেন।

সাতটি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ইউনিভার্সিটি এটি। এ প্রতিষ্ঠানটির সাতজন অ্যালামনি নোবেল পুরস্কার অর্জন করেছেন। এশিয়ানদের কাছে আরাধ্য বিদ্যাপীঠ বলে ইতোমধ্যেই নাম কুড়িয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। *হাসানুর রহমান

 

 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।