আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিয়ে করতে চাননি শাবনূর

বিয়ে করতে চাননি শাবনূর। চিরকুমারীই থেকে যেতে চেয়েছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত দেরিতে হলেও নিজের পছন্দে বিয়ে করতে রাজি হওয়ায় দ্রুত বিয়ের পিঁড়িতে বসিয়ে দেওয়া হয় তাকে। না হলে আবার যদি তার মত পাল্টে যায়। এটিই ছিল ভয়।

গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের শোবিজকে এ কথা জানান শাবনূরের বাবা শাহজাহান চৌধুরী।

কেন বিয়েতে তার অনীহা ছিল এ প্রশ্নের জবাবে শাহজাহান চৌধুরী বলেন, আসলে আমার মেয়ে খুব সহজ, সরল ও খেয়ালি। সে নিজের মতো করে নিজের আলাদা একটি ভুবন নিয়ে একাকী থাকতে চায়। কোনো ঝুট-ঝামেলা তার পছন্দ নয়। অন্যের কষ্ট একদম সহ্য করতে পারে না ও।

আপন-পর সবাইকে উদারচিত্তে সহযোগিতা করা তার একটি মহৎ গুণ। ছোটবেলা থেকেই এভাবে বেড়ে উঠেছে সে। এ জন্য তাকে নিয়ে আমরা গর্ব করি। প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার এহতেশাম সাহেবের আগ্রহে চলচ্চিত্রে কাজ শুরু করে ও। কাজের প্রতি তার একাগ্রতা ও নিষ্ঠার সুবাদে শুরুতেই নায়িকা হিসেবে সাফল্য পেয়ে যায় সে।

চলচ্চিত্র জীবনের শুরু থেকেই বহু নায়ক, চিত্রপরিচালক এবং চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু শাবনূর তাদের পরিষ্কার জানিয়ে দেয় বন্ধুত্বের বাইরে আর কোনো সম্পর্ক গড়া তার পক্ষে সম্ভব নয়। এ কারণেই অনেকে ব্যর্থ হয়ে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়েছে। শাহজাহান চৌধুরী বলেন, এতে পরিবার এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদের পক্ষ থেকে অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শাবনূরকে বলা হলেও সে বলত কেউ যদি আমাকে কষ্ট দিয়ে সুখ পায় পাক, আমি কাউকে কষ্ট দিতে চাই না। শাবনূরের বাবা আরও বলেন, চলচ্চিত্রের এক সুপার স্টার শাবনূরকে বিয়ে করার জন্য অনেক চেষ্টা করেছে।

আমার কাছে এসে শাবনূরকে রাজি করানোর জন্য অনুনয়-বিনয় করেছে। ছেলেটি খুবই ভালো ছিল। কিন্তু শাবনূরের এক কথা- সে বিয়ে করবে না। এ ছাড়া এক চিত্রপরিচালকও বিয়ে করার জন্য তাকে বলে ব্যর্থ হওয়ার পর বহুবার আমার কাছে এসে তাকে বোঝানোর জন্য অনুরোধ করেছিল। ছেলেটিকে সত্যি আমার পছন্দ হয়েছিল।

কিন্তু শাবনূরের অনীহার কারণে এগুনো যায়নি। চলচ্চিত্রের মানুষ ছাড়াও পারিবারিকভাবে বহু পাত্র দেখা হয়েছিল এবং অনেকে তাকে বিয়ে করার জন্য তীর্থের কাকের মতো অপেক্ষায় ছিল। কিন্তু সে রাজি হয়নি। তবে সবার সঙ্গে আত্দীয়ের মতো সম্পর্ক বজায় রাখে ও। এটি নিয়েই শত্রুরা তিলকে তাল বানিয়ে নানা কথা প্রচার করেছে।

শাবনূর চেয়েছিল বিয়ে না করে ভাই-বোন, মা-বাবা, আর ছোট বোন ঝুমুরের বাচ্চাদের নিয়ে আনন্দে জীবন পার করে দেবে। সে কারণেই সুযোগ পেলেই অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী ভাই-বোন, বোনের বাচ্চা আর মায়ের কাছে ছুটে যেত ও। শাহজাহান চৌধুরী আরও বলেন, শাবনূরকে বারবার বলতাম অভিনয় নিয়ে তো বহু বছর কাটিয়ে দিলে, এবার বিয়ে করে সংসারি হও। আর অভিনয় না করলেও চলবে। কিন্তু বিয়ে না করা এবং অভিনয় না করার সিদ্ধান্তে বরাবরই অনড় ছিল সে।

তিনি বলেন, শাবনূরের অর্থবিত্তের কোনো অভাব নেই। বাড়ি-গাড়ি সবই ওর জন্য করে দিয়েছি। সে নিজেও নিজের জন্য অনেক কিছু করেছে। তারপরেও তার কথায় বিয়ের বাঁধনে নিজেকে বাঁধতে রাজি নয় ও। গত বছর যখন জানাল অনিককে বিয়ে করতে চায় সে, আমরা তো রীতিমতো অবাক হই।

তাই দেরি না করে দ্রুত ঘরোয়াভাবে বিয়ের আয়োজন করি। তার হাতে কয়েকটি ছবির কাজ অবশিষ্ট থাকায় বিয়ের খবরে ওগুলোর ক্ষতি হতে পারে ভেবে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও কাউকে তখন কিছু জানাতে পারিনি। ঠিক করেছিলাম শুভক্ষণ দেখে সবাইকে নেমন্তন্ন করে চমকে দেব। এখন আমি আরও খুশি, কারণ শীঘ্রই ওর ঘর আলো করে আমার নাতি আসছে। নতুন বছরে সবার জন্য অনেক বড় করে আনন্দ অনুষ্ঠানের আয়োজন করব।

 

 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.