আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সম্পদ অর্জনে মোয়াজ্জেমও কম যাননি

সুনামগঞ্জ-১ (তাহিরপুর-জামালগঞ্জ-ধরমপাশা) আসনের ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের শিক্ষাগত যোগ্যতা ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার পাস। ২০০৮ সালের হলফনামায় পেশা হিসেবে উল্লেখ করেন কনসালট্যান্সি। বার্ষিক আয় দেখান ২ কোটি ১০ লাখ ৮৮ হাজার ২৬০ টাকা। ২০১৩ সালে হলফনামায় বার্ষিক আয় দেখিয়েছেন মাত্র ২০ লাখ ৩০ হাজার ২৬৪। হলফনামায় আয় কমলেও সম্পদ বেড়েছে দ্বিগুনের বেশি।

বর্তমানে তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৪ কোটি ৩৫ লাখ ৪৩ হাজার ২১২ টাকা। ২০০৮ সালে সম্পদ ছিল এক কোটি ৮৯ লাখ ১০ হাজার ৪৪৭ টাকা। এছাড়া ২০০৮ সালের হলফনামায় নিজের কোনো বাড়ির কথা উল্লেখ না থাকলেও এবার তাঁর বাড়ি হয়েছে চারটি।

সংসদ সদস্য হয়ে গত পাঁচ বছরে ঢাকায় একটি, সুনামগঞ্জ জেলা শহরে একটি এবং নিজের নির্বাচনী এলাকায় আরও দুটি বাড়ি করেছেন তিনি। তবে জেলা শহরের বাড়িটির কথা হলফনামায় উল্লেখ করেননি তিনি।

হলফনামা অনুযায়ী, মোয়াজ্জেম হোসেনের ঢাকার গুলশানে দুই হাজার ৬৪৪ বর্গফুটের অ্যাপার্টমেন্টটির মূল্য দেখানো আছে ৭২ লাখ ৭১ হাজার টাকা। নির্বাচনী এলাকা ধরমপাশার নওধার গ্রামে দোতলা একটি বাড়ি করেছেন যার মূল্য ৩৮ লাখ সাত হাজার ৫৬১ টাকা। একই গ্রামে আরেকটি টিনশেড আধাপাকা ঘরের মূল্য দেখিয়েছেন সাত লাখ টাকা। তবে হলফনামায় উল্লেখ করেননি সুনামগঞ্জ পৌর শহরের মল্লিকপুরে কেনা বাড়ির কথা। বাড়িটির ফটকে এর প্রতিষ্ঠাকাল হিসেবে লেখা আছে ২০০৭ সালের মার্চ মাস।

স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের মধ্যে ২০০৮ সালে কৃষি ও অকৃষিজমির পরিমাণ ছিল পাঁচ একর আট শতক, যাঁর মূল্য ছিল ৩৭ লাখ ৬৬ হাজার ৫০৪ টাকা। কোনো বাড়িঘরের উল্লেখ ছিল না তখন। এবার তিনি কৃষি ও অকৃষিজমির পরিমাণ দেখিয়েছেন ৭৪ একর ১০ শতক। যার মূল্য এক কোটি ৪৮ লাখ ৫৭ হাজার ৪১ টাকা। ধরমপাশার নওধার গ্রামে মোয়াজ্জেম হোসেন ২০১০ সালে দোতলা একটি বাড়ি করেছেন।

হলফনামায় এই বাড়ির যে মূল্য দেখানো হয়েছে, বাস্তব মূল্য তার কয়েক গুণ বেশি হবে। এ বিষয়ে সাংসদ জানিয়েছেন, তিনি এই বাড়ির কাজ শুরু করেছিলেন ২০০৬ সালে। সেই সময়ের মূল্য ধরায় কিছুটা কম মনে হচ্ছে। পরে বাড়িটি সংস্কার করে সৌন্দর্য বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া আট শতক জমি ও ফ্যাক্টরির মূল্য দেখানো হয়েছে ৩১ লাখ ১৭ হাজার ৭০০ টাকা।

সম্পদের ব্যাপারে মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘২০০৮ সালে আমার হাতে প্রায় দুই কোটি টাকা ছিল। এই টাকা দিয়েই সম্পদ করেছি। এর সঙ্গে আয় কমার কোনো সম্পর্ক নেই। আমি আমার ব্যক্তিগত সম্পদের হিসাব দিয়েছি। যৌথ কোম্পানির হিসাব দেখাইনি।

’ সুনামগঞ্জ জেলা শহরের বাড়ি প্রসঙ্গে মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘আমি হলফনামায় এই বাড়ির কথা উল্লেখ করেছি। ভালো করে খুঁজলে পাবেন। '

স্ত্রীর সম্পদ: ২০০৮ সালে সাংসদ মোয়াজ্জেম হোসেনের স্ত্রীর কোনো আয় ছিল না। স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ছিল ৪০ তোলা সোনা এবং ৩৫ লাখ ২৩ হাজার ৭৫৪ টাকা মূল্যের এক একর সাত শতক জমি। এবার তাঁর বার্ষিক আয় দেখানো হয়েছে নয় লাখ ২০ হাজার টাকা।

তাঁর কাছে ৬০ তোলা সোনা ও নগদ টাকা আছে ১২ লাখ টাকা। এর বাইরে জমিসহ সম্পদ আছে ৪০ লাখ ৩০ হাজার টাকার।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.