আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

২০১৪ সালের যে মুভিগুলোর জন্য অপেক্ষায় আছি!!!

যে পথে আমার মৃত্যু আমি সেই পথে একবার- বার বার, বহুবার ফিরে যাই!

২০১৩ সাল শেষ হতে চলল। এবছর মুক্তি পেয়েছে অসংখ্য মুভি। এ ভিতরে ভালো লাগার চেয়ে বোধ হয় খারাপ লাগা কিংবা মোটামুটি মানের মুভিই বেশী ছিল। আরেকটি নতুন বছরের সামনে আমরা। সামনের বছরেও যথারীতি মুক্তি পাবে অসংখ্য মুভি।

কোনো মুভি সম্পূর্ণ ভাবে দেখার আগে পর্যন্ত বলা সম্ভব না কেমন হবে! তবুও কিছু মুভিকে নিয়ে বেশ আশায় আছি। এখানে তেমন কিছু মুভির সম্পর্কেই লেখা-

RoboCop



একটা সময় আমাদের কাছে টিভি চ্যানেল বলতে ছিল শুধুই বিটিভি। আর সেই সময় বিটিভিতে অসাধারণ সব টিভি সিরিজ প্রচারিত হত। এক্স ফাইল, সিন্দবাদ, রোবোকোপ, ম্যাকগাইভার- এর মত টিভি সিরিজের সাথে আমার পরিচয়ের মাধ্যম বিটিভি। সেই টিভি সিরিজ রোবোকোপকে নিয়ে এবার আসছে মুভি।

এই মুভির নাম দেখে তাই নস্টালজিক না হয়ে পারলাম না। অবশ্য টিভি সিরিজ শুরু হবার আগেই রোবোকোপ সিরিজের তিনটি মুভি মুক্তি পায় ১৯৮৭ থেকে ১৯৯৩ সালের মধ্যে।

রোবোকোপ অবশ্য এবার আসছে সম্পূর্ণ নতুন রুপে। তার বিখ্যাত রুপালী স্যুটের এবার পরিবর্তন এসেছে। এবারের মুভির প্রেক্ষাপট ২০২৮ সাল।

ডিটেক্টিভ অ্যালেক্স মার্ফি গাড়ি বোমা হামলায় মারাত্মক ভাবে আক্রান্ত। এই সময় তার জন্য এগিয়ে আসে মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানী ওম্নিক্রপ। অ্যালেক্স মার্ফিকে বানিয়ে ফেলা হয় অর্ধেক মানুষ অর্ধেক রোবোট, সোজা কথায় সাইবর্গ। জন্ম হয় রোবোকোপের। এরপর তার যা কাজ তাতেই সে নেমে পরে গাঁট বেধে।

দুষ্টের দমনে সে সিদ্ধহস্ত!


নতুন রোবোকোপ নতুন রূপে

এই মুভিতে রোবোকোপের ভুমিকায় অভিনয় করবেন সুইডিশ অভিনেতা জোয়েল কিন্যাম্যান। সাথে আরো আছে গ্রে ওল্ডম্যান এবং ভিলেন হিসাবে সামুয়েল এল. জ্যাকসন। এদের জন্য হলেও মুভিটা ভালো হবে আশা করা যায়। মুক্তি পাবে ১২ ফ্রেব্রুয়ারী।





Transcendence



জনি ডেপের সায়েন্স ফিকশন মুভি।

সায়েন্স ফিকশন মুভির এমনিতেই আমি হার্ডকোর ফ্যান, সাথে বোনাস হিসাবে জনি ডেপ। মুভির পরিচালক ওয়ালি ফিস্টার। ক্রিস্টোফার নোলানের বেশীরভাগ মুভির সিনেম্যাটোগ্রাফার তিনি, তবে পরিচালক হিসাবে এটিই তার প্রথম মুভি। মুভির এক্সিকিউটিভ প্রোডিউসার হিসাবে অবশ্য ক্রিস্টোফার নোলানও আছেন। এসব হিসাব করলে বলা যায় অসাধারণ কিছু দেখতে যাচ্ছি আমরা।

তার সাথে কাহিনী যতটুকু জানা যাচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে মন্দ হবে না।



জনি ডেপ এই মুভিতে অভিনয় করেছেন ড. উইল চেস্টার চরিত্রে যিনি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে গবেষণা করেন। তিনি এমন এক মেশিন বানাতে চেস্টা করছেন যেখানে এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত এই মহাবিশ্বের সকল তথ্য থাকবে, আর মেশিনটি শুধু মাত্র যান্ত্রিক হবে না, তার থাকবে মানুষের মত আবেগ-অনুভূতি। বিজ্ঞানের ভাষায় যা সিঙ্গুলারিটি, তার ভাষায় তা ট্রান্সসেন্ডস! কিন্তু তার এই আবিষ্কারের বিরোধীপক্ষও আছে। তাদের চেষ্টা যেভাবেই হোক এই আবিষ্কারের পথ বন্ধ করা।

চেস্টার তাদের দ্বারা আক্রমনের শিকার হয়ে মৃত্যুর পথে যেতে থাকে তবে তার আবিষ্কার থেমে থাকে। কিন্তু তার এই উদ্ধাবনের পরিণতি অন্যদিকে মোড় নেয়।

জনি ডেপের সাথে এই মুভিতে আরো আছে মরগান ফ্রিম্যান এবং রেবেকা হল। মুক্তি পাবে ১৭ এপ্রিল।





Edge Of Tomorrow



আরেকটি সায়েন্স ফিকশন মুভি।

এই মুভির কাহিনী অবশ্য পৃথিবীবাসী মানুষ আর ভিন্নগ্রহের অ্যালিয়েনের যুদ্ধ। জাপানিজ ঔপন্যাসিক হিরোশি সাকুরাজাকার ‘অল ইউ নিড ইজ কিল’ বই অবলম্বনে এই মুভির চিত্রনাট্য লেখা হয়েছে।

মিমিকস নামক অ্যালিয়েনের সাথে যুদ্ধ শুরু হয়েছে মানব সম্প্রদায়ের। অ্যালেনিয়েনদের সাথে কোনোরকমেই পেরে উঠছে না মানুষ। লেফট্যানেন্ট কর্নেল উইলিয়াম বিল কেজ এই যুদ্ধে ঘটনাক্রমে এক টাইম লুপে আটকা পরে যান।

একই ঘটনা তার সামনে বারবার ঘটতে থাকে। যুদ্ধক্ষেত্রে সে বারাবার মারা যেতে থাকে। তারপরই সে আবিষ্কার করে নিজেকে আবার এক সেনাক্যাম্পে। কিন্তু প্রতিবার সে আরো বেশী দক্ষ আরো বেশী আক্রমণাত্মক হিসাবে আবির্ভূত হয়। আর তাকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসে আরেক যোদ্ধা রিটা।

সে নিজেও টাইম লুপের মাঝে জড়িয়ে পড়েছে। এই গোলকধাঁধার শেষ কোথায় মুভি না দেখা পর্যন্ত বোঝা যাচ্ছে না।



টম ক্রুজ এই মুভিতে অভিনয় করেছেন উইলিয়াম বিল কেজ চরিত্রে আর রিটা রূপে অভিনয় করেছেন এমিলি ব্লান্ট। মুভির পরিচালক হিসাবে আছেন ডোগ লিম্যান যার জাম্পার, ফেয়ার গেম, বর্ন আইডেন্টিটি মুভিগুলো আমার বেশ পছন্দের। ৬ জুনে মুক্তি পাবে এজ অফ ট্যুমরো।







Need For Speed



রেসিং গেম জগতে নিড ফর স্পিড-রর উপড়ে মনে হয় আর কিছু নেই। আমি নিজেও এই গেম সিরিজের কঠিন ভক্ত। প্রায় প্রতিটা নিড ফর স্পিড গেমই আমার খেলা। এবার সেই গেমের পটভূমি নিয়েই এবার আসছে মুভি। নিড ফর স্পিড মানেই চোখ ধাঁধানো সব লেটেস্ট মডেলের গাড়ি আর ভয়াবহ সব রেস।

এই মুভিতে তার কমতি থাকবে না আশা করা যায়। অন্তত ট্রেলার দেখে তাই মনে হয়। দেখা যাক ফাস্ট এন্ড ফিউরিয়াস সিরিজকে টেক্কা দিতে পারে কি না নিড ফর স্পিড

টবি মার্শাল নামক এক স্ট্রিট রেসারের কাহিনী নিয়ে এই মুভির কাহিনী গড়ে উঠেছে। ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে তাকে কারাগারে যেতে হয়।

তবে প্রতিশোধের নেশা তাকে ছেড়ে যায় না। জেল থেকে বের হয়েই তাদের পিছে লেগে যায় টবি। আর তাদের খুঁজতেই তাকে নেমে পড়তে হয় ধুন্ধুমার স্ট্রিট রেসে। বোঝা যাচ্ছে নিড ফর স্পিড-এর গেমের কাহিনীর আদলেই মুভির কাহিনী তৈরী হয়েছে।

মুভির মূল চরিত্র টবি মার্শাল হিসেবে অভিনয় করেছেন ব্রেকিং ব্যাড এ জেসি পিংকম্যান খ্যাত অ্যারন পল।

সাথে আছে ডমিনিক কুপার ও র‍্যামন রড্রিকস। পরিচালক স্কট ওয়াহ যার অ্যাক্ট অফ ভেলর বেশ ভালো লেগেছিল। নিড ফর স্পিড নিয়ে বেশ আশায় আছি তবে বুঝতে পারছি না শেষ পর্যন্ত কেমন লাগবে। রিলিজ ডেট ১৪ মার্চ।





I, Frankenstein



আই,ফ্রাংকেস্টাইন মুভিটি ফ্রাংকেস্টাইন নামক দানবের কাহিনী নিয়েই তৈরী হয়েছে।

তবে এবার প্রেক্ষাপট সম্পূর্ণ ভিন্ন। এই মুভিতে ফ্র্যাংকেস্টাইনকে যুদ্ধ করতে হয় দুইটি অমর প্রজাতির সাথে। আর যুদ্ধে সবচেয়ে বেশী ক্ষতি তো দূর্বল মানবজাতির। ফ্র্যাংকেস্টাইনকে মানবজাতির রক্ষার দায়িত্বই নিতে হবে।



মুভির ট্রেলার দেখে বেশ ভালো লাগলো।

চোখ ধাঁধানো কিছু স্পেশাল ইফেক্টের কাজ আছে। মুভির পরিচালক স্টুয়ার্ট ব্যাটি। আর ফ্র্যাংকেস্টাইন রুপে আছে অ্যারন অ্যাকহার্ট, ‘ডার্ক নাইট’-এ হার্ভি ডেন্ট বা টু-ফেস রুপে তিনি অভিনয় করেছিলেন। আই,ফ্রাংকেস্টাইন রিলিজ পাবে ২৪ জানুয়ারীতে।





এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.