আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সাম্প্রদায়িক সংঘাত: হিন্দু, মুসলিম, রাজনীতিবিদ, সকল গণমাধ্যম একটু ভেবে দেখবেন কী?

জানি না কেন লিখি! তবু লিখি মনের খেয়ালে, পরিবর্তন করার মানসে, পরিবর্তিত হওয়ার মানসে। যদিও জানি সব ব্যর্থ হচ্ছে। তবুও আমি আছি সেদিনের সেই আলোকময় প্রত্যুষার আগমনের অপেক্ষায়

বিএনপিপন্থী একজন একেএম ওয়াহিদুজ্জামান শিক্ষক যিনি কয়েকদিন আগে একটি মামলায় জেল খেটে এসেছেন, আজ একটি ফেসবুকের বিশেষ স্ট্যাটাসের মাধ্যমে যশোরে সাম্প্রদায়িক আক্রমণের জন্য কারা দায়ী তা নিয়ে একটি সুন্দর পোস্ট দিয়েছেন। বিভিন্ন খবরের লিঙ্ক দিয়ে তিনি প্রমাণ করে দিয়েছেন যে, যে যশোরে ঘৃণ্য সাম্প্রদায়িক কর্মকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে তা আওয়ামী লীগেরই অন্তর্দন্দ্বের ফল। এর জন্য দায়ী আওয়ামী লীগেরই সাবেক হুইপ অধ্যক্ষ শেখ আব্দুল ওহাব।

তার নির্দেশেই এই কাজটি সাধিত হয়েছে। কারণ, লীগ এবার তাকে মনোনয়ন দেয়নি। অন্য একজন রণজিত রায়কে ভোট দেওয়ার অপরাধেই সংখ্যালঘুদের উপর এই হামলা হয়েছে। হামলাকারীর প্রকৃত ইতিহাস কি তা তার দেওয়া স্ট্যাটাসটিতেই পাবেন। এ ব্যাপারে আমার কথা নেই।

আমার কথা হোল:

আওয়ামী লীগ তাকে মনোনয়নটা দিলেইতো সব লেঠা চুকে যেত। অবশ্য তখন এই ঘোলাজলের পরিবেশটা সৃষ্টি হতো না। সেই সাথে ঘৃণ্য রাজনৈতিক খেলাটাও খেলা যেত না। অন্যদিকে অধ্যক্ষ সাহেবের কথাটাও কিন্তু স্মর্তব্য,
"এদেশের জামায়াত-শিবির শুধু সাম্প্রদায়িকতা লালন করে সেটা ঠিক নয়, এদেশের সংখ্যালঘুরাও সাম্প্রদায়িক। "

সেই সাথে সাম্প্রদায়িক বিএনপিও।

কারণ তারাও জামাত-শিবিরের সাথে জোট রক্ষা করে চলে। আর আর পথভ্রষ্ট বামদের করুণ পরিণতিতো Prothom Alo দেখিয়েই দিল। অন্যদিকে চেতনাবাজদের নিশ্চুপ ভূমিকাতো দেখতেই পাচ্ছি। আসলে সংখ্যালঘু ইস্যুতে সবাই সুযোগ লাভের আশা করে। কেউ নেই এই সংখ্যালঘুদের পক্ষে।

এমনকি হিন্দু, বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদও যে ভূমিকা পালন করে তাও সাম্প্রদায়িক মনোভাব থেকেই করে। একমাত্র সঠিক ইসলাম, সঠিক হিন্দুইজম প্রতিষ্ঠা করলেই পৃথিবীর যেকোন ভূ-খণ্ডে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা নির্মূল করা সম্ভব। আজ সেই সঠিক ধর্ম বাস্তবায়নের অভাবেই সারা পৃথিবীতে সাম্প্রদায়িকতা বিস্তার লাভ করেছে। আর সে সুযোগে নাস্তিকরা ধর্মের বিরুদ্ধে ম্যাতকার করতে পারছে। মোট কথা হলো কেউই আজ যার যার অবস্থানে নেই।

যে যার আসল অবস্থানে ফিরে আসুক তাহলেই পৃথিবী থেকে এসকল নোংরা কাজ বিদায় নেবে। সেটা কী? সেটা আল্লাহ রসুলের প্রকৃত ইসলাম। যে ধর্ম বলা হয়েছে অন্য ধর্মের লোকেরা মোমেনদের কাছে এতটাই নিরাপদ যেমন নিরাপদ দাতের ভেতরে জিহ্বা। আমি আশা করি হিন্দু ধর্মেও ভিন্ন ধর্মের লোকেদের ব্যাপারে অনুরূপ কথাই আছে। কারণ তাদের ধর্মগ্রন্থ বিকৃত হলেও প্রথমত কিন্তু তা একই স্রষ্টার কাছ থেকে এসেছে।



সুতরাং সে আলোয়-ই দূর হোক সকল সাম্প্রদায়িকতা, দূর হোক ঘৃণ্য রাজনৈতিক খেলা, দূর হোক ধর্মীয় কূপমণ্ডুকতা। সবাই ফিরে আসুক ধর্মের মূল কথায় যেখানে বলা হয়েছে মানুষ একই দম্পতি থেকে আগত। সুতরাং তারা পরস্পর ভাই ভাই। ভাই ভাই এর এই ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত দূর হোক পৃথিবীর সকল প্রান্তে। কি লাভ বলুন আপনারই মতো অনুভূতিপ্রবণ একজন মানুষের শরীর থেকে রক্ত ঝড়িয়ে? তারওতো এমনি কষ্ট হয় যেমনটা হয় আপনার!




অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.