আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রাজনীতির বলি নিরীহ সংখ্যালঘূ সম্প্রদায়...



*** কয়েক দিন ধরে তথাকথিত মূলধারার গণমাধ্যমের খবর না পড়ার চেষ্টা করছি...কারণ বাংলাদেশের গণমাধ্যমের খবর পড়া আর গোলক ধাঁধায় চক্কর খাওয়ার মধ্যে তেমন কোন তফাৎ নেই...
কোন এক মনিষী বাংলাদেশের গণমাধ্যমের চরিত্র আর বেশ্যার দেহের পবিত্রতার মধ্যে কোন পার্থক্য আছে বলে মনে করেন না...
যাদের এখনও বিবেচনাবোধ বলে ন্যূনতম কিছু অবশিষ্ট আছে, তারা এ মহান মনিষীর বক্তব্যের সাথে ভিন্নমত পোষণ করবেন বলে মনে হয় না। (কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম যে একেবারে নেই এমনটা বলা অবশ্য ঠিক হবে না)
যাক, এখনও ফেইসবুকের কল্যাণে কিছু কিছু খবর অনিচ্ছা সত্ত্বেও জেনে যেতে হচ্ছে...
তেমনই একটি খবর- সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘূদের উপর হামলা...
বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি বলে আজকাল নিজের উপর খুব ঘৃণা হয়...ঘৃণা হয় এদেশের সেসব মানুষদের প্রতি, যারা ক্ষমতার জন্য করতে পারে না এমন কোন কাজ নেই! এদেশে সংখ্যালঘূরা স্বাধীনতার পর থেকে সব সময়ই রাজনৈতিক দলগুলোর ক্ষমতার বলি হয়ে আসছে...এবারও ব্যতিক্রম কিছু নয়। তবে সম্ভাব্য যেসব কারণে সংখ্যালঘূদের উপর হামলা হচ্ছে, তা কিছুটা নিম্নোক্ত কারণে হতে পারে বলে আমার মনে হয়-
* মনে করা হয়, এদেশে সংখ্যালঘূরা আওয়ামীলীগের সাপোর্টার। তাই আওয়ামীলীগ সরকারের অধীনে যেনতেনভাবে অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া নির্বাচন ঠেকাতে ব্যর্থ হয়ে সরকারবিরোধীরা ও একাত্তরের স্বাধীনতাবিরোধী জামাত-শিবির চক্র এসব সংখ্যালঘূদের সহজ টার্গেট বানিয়েছে।

* ৫ জানুয়ারির সবাধ, অসুষ্ঠু, পক্ষপাতদুষ্ট ও জালিয়াতীর নির্বাচন নিয়ে সর্বত্র মানুষের মধ্যে যে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে, সেটাকে ধামা-চাপা দেয়ার উদ্দেশ্যে সরকারের প্রচ্ছন্ন মদদে এসব হামলার ঘটনা ঘটছে।



* বাম-আওয়ামীলীগ মহাজোট সরকার বহির্বিশ্বের কাছে এই বার্তা দিতে চাচ্ছে যে, তারা ক্ষমতায় থাকতেই মৌলবাদী-জঙ্গিরা এভাবে সংখ্যালঘূদের ওপর হামলা চালাচ্ছে, তারা ক্ষমতা ছেড়ে দিলে কী অবস্থা হতো...?

* আরেকটি কারণ হতে পারে, জামাতকে জঙ্গি সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে স্বাধীনতাবিরোধী এ দলটিকে নিষিদ্ধ করার অজুহাত পাকাপোক্ত করার উদ্দেশ্যে এসব হামলার ঘটনা ঘটানো হচ্ছে।

যদিও এসব হামলার সাথে জড়িত হিসেবে জামাত ইসলামের কথাই সবচেয়ে বেশি বলা হচ্ছে... আমার কথা হলো, জামাত হোক আর যে-ই হোক এসব ন্যাক্কারজনক বর্বরোচীত ও কাপুরুষোচীত হামলার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক, লোক-দেখানো নয়; বরং সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে অপরাধীদের বিচারের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দিতে হবে। যদিও যারা সর্বস্ব হারিয়েছে, মানবতা আর বিচারের মত বড় বড় গালভরা বুলিতে তাদের কোনোই লাভ হবে না। কপাল চাপড়ানো ছাড়া তাদের কী-ইবা করার আছে? তারপরও অপরাধীদের সুষ্ঠু বিচার ও ক্ষতিগ্রস্তরা ক্ষতিপূরণ পেলে কিছুটা শান্তনা হয়তো পাবে।
তবে নিরীহ সংখ্যালঘূদের উপর এসব হামলা ঠেকাতে ব্যর্থতার দায় সরকার কোনভাবেই এড়াতে পারবে না... কারণ প্রত্যেকটা মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা দেয়া সরকারের দায়িত্ব।

তবে এ কথাও সত্য, যদি সরকার বা কোন পর্যায়ে আওয়ামীলীগ এসব হামলার সঙ্গে ন্যুনতমও জড়িত থাকে, তাহলে বিচারের আশা করা (অন্তত বাংলাদেশে) পাগলের প্রলাপ ছাড়া আর কিছুই নয়...
আশঙ্কা করি, পূর্বের সকল ঘটনার মতই এবারের এসব হামলার ঘটনাও ধামাচাপা পড়ে যাবে। তবে আমি আশা করতে চাই, আমার আশঙ্কা যাতে সত্য না হয়!

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.