আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কড়া নিরাপত্তায় গাইবান্ধায় ভোট গ্রহণ চলছে

গাইবান্ধার তিনটি আসনে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে ভোট গ্রহণ চলছে।   মোতায়েন করা হয়েছে কয়েক হাজার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য। তবে সকাল সাড়ে ১০ পর্যন্ত কেন্দ্রগুলোতে তেমন একটা ভোটার উপস্থিতি চোখে পড়েনি।

গাইবান্ধার তিনটি আসনের (১, ৩ ও ৪) স্থগিত ২০৬টি কেন্দ্রের সব কয়টিতে আজ সকাল আটটা থেকে ভোট শুরু হয়েছে। ব্যালট না পৌঁছানো এবং কেন্দ্র ভাঙচুর-আগুনের কারণে গত ৫ জানুয়ারি এখানকার ২০৬টি কেন্দ্রে ভোটই শুরু করা যায়নি।

তবে আজ র্যাব-পুলিশ-বিজিবি-সেনাবাহিনীর চার স্তরের নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকলেও প্রচণ্ড কুয়াশা আর শীতের কারণে ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কম।

গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা এহছানে এলাহী সকাল ১০ টায় বলেন, ‘সকাল থেকে আমরা খোঁজখবর রাখছি। তিনটি আসনের স্থগিত সবগুলো কেন্দ্রেই সকাল থেকে ভোট গ্রহণ চলছে। এখন পর্যন্ত কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। আশা করছি সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

রিটার্নিং কর্মকর্তা জানান, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে যেখানে প্রতি কেন্দ্রে একজন সশস্ত্র পুলিশ ছিল, এবার সেখানে প্রতি কেন্দ্রে ১৫ জন পুলিশ ও ১২ জন আনসার সদস্য রয়েছেন। সব মিলিয়ে তিনটি আসনে চার হাজার ১২৯ জন পুলিশ ও দুই হাজার ৪৭২ জন আনসার সদস্য রয়েছেন। এ ছাড়া ৩৪টি টিমে বিভক্ত হয়ে সেনাবাহিনীর ৯৫৫ জন সদস্য, বিজিবির ৬০২ জন, র্যাবের ৩০০ সদস্য আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষায় কেন্দ্রের বাইরে টহল দিচ্ছেন। সাদা পোশাকে আছেন ২০০ গোয়েন্দা পুলিশ। চারজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ৬৭ জন ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন।

সব মিলিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ১০ হাজার সদস্য কাজ করছেন।

গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে মোট ১০৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ৫৪টি কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছিল। এর আগে এই আসনের ৩৮টি কেন্দ্রের বেসরকারি যে ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে তাতে নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনজুরুল ইসলাম ৪৫ হাজার ৩৮৩ ভোট পান। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান সাংসদ জাতীয় পার্টির কর্নেল (অব.) আবদুল কাদের খান (লাঙ্গল) পান পাঁচ হাজার ৯৫৮ ভোট। আজকের নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন কাদের খান।

গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্যাপুর-পলাশবাড়ী) আসনে মোট ১৩০টি কেন্দ্রের মধ্যে আজ স্থগিত ৮০টি কেন্দ্রে নির্বাচন হচ্ছে। এখানকার ৫০টি কেন্দ্রের বেসরকারি ফলাফলে নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইউনুস আলী ৭০ হাজার ৬২৬ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাসদের স্বতন্ত্র প্রার্থী খাদেমুল ইসলাম পান ১২ হাজার ৭৮১ ভোট। আজকের নির্বাচন নিয়ে কোনো আগ্রহ নেই বলে জানিয়েছেন খাদেমুল ইসলাম।

তিনটি আসনের মধ্যে একমাত্র গাইবান্ধা-৪ (গোবিন্দগঞ্জ) আসনেই নির্বাচনের চরম প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে আজ।

এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সাংসদ মনোয়ার হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে। এই আসনের ১৩০টি কেন্দ্রের মধ্যে স্থগিত ৭২টি কেন্দ্রে আজ নির্বাচন হবে। এই কেন্দ্রগুলোর ভোটার দুই লাখ ৭৭। এখানে সর্বশেষ ঘোষিত ৫৮টির ফলাফলে আনারস প্রতীক নিয়ে আবুল কালাম আজাদ  ৫৯ হাজার ৮৬২ ভোট পান। আর মনোয়ার হোসেন চৌধুরী পান ১৮ হাজার ৮০৬ ভোট।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.