আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সরকারের দয়ায় বিএনপিকে জনসভা করতে হবে

বিএনপি নেতা, সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) মো. আখতারুজ্জামান বলেছেন, খালেদা জিয়ার সংবাদ সম্মেলনে আমি ব্যক্তিগতভাবে হতাশ। একটা বড় রাজনৈতিক দল কখন সংবাদ সম্মেলন করে? যখন জনগণের প্রচণ্ড চাহিদা, বাইরে মানুষের প্রচণ্ড চাপ থাকে। সেই মুহূর্তে জনসভার ডাক দিয়েছেন। বিএনপির এ জনসভা সরকার যদি দয়া করে তাহলে করতে পারবে। বিএনপিতেই যেখানে গণতন্ত্র নেই সেখানে তারা বলছেন, দেশে গণতন্ত্র চাই।

দলকে আগে গোছাতে হবে। বুধবার এটিএন নিউজের টকশো 'নিউজ আওয়ার এঙ্ট্রা'য় তিনি এ কথা বলেন। মাশহুদুল হকের উপস্থাপনায় মেজর আখতারুজ্জামান বলেন, আজকে বিএনপি নেত্রী কার কথায় কী কারণে সংবাদ সম্মেলন করলেন? উনি কী বলেছেন? আগে বলেছেন এ সরকার পালাবার পথ পাবে না। আর এখন বলছেন, এ সরকার জোর করে ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। ক্ষমতায় তো থেকে গেল সরকার! সরকার যদি পাঁচটি কাজ করতে পারে তিন মাস নয়, পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকবে।

আর তা হলো দুর্নীতি, সন্ত্রাস বন্ধ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, প্রশাসনের দলবাজি বন্ধকরণ ও ভারতের সঙ্গে তিস্তা, সীমান্ত চুক্তি, মোটর পার্টস অবাধে আসা বন্ধকরণ। মানুষ ২৫ বছর টিকিয়ে রাখবে এ সরকারকে। সেখানে বিএনপি কিছুই করতে পারবে না। তিনি খালেদা জিয়ার উদ্দেশে বলেন, আপনি বলেছিলেন সরকার পালাবার পথ পাবে না। আজ আমাদের পালাবার পথ নেই।

সব নেতা বন্দী। একবারও বললেন না, নেতাদের মুক্তি দেন। উনি দাবি করেছেন। দাবি করবেন কেন? দাবির দিন চলে গেছে। উনার দাবি কে শুনবে? উনি একদিকে বলছেন বিদেশিরা হস্তক্ষেপ করতে পারবে না।

আর গত এক সপ্তাহে এমন কোনো অ্যাম্বাসেডর নেই যার সঙ্গে উনি দেখা করেননি। আমাদের ধ্বংস করে দিয়েছেন। সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, সংবাদ সম্মেলনে সন্ত্রাস নিয়ে কথা বলেননি। বলা হচ্ছে, বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাস করছে। আমি বলব বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাস করেনি।

তার প্রমাণ পুলিশ একজনকেও গ্রেফতার করেনি। পুলিশের সহায়তায় আওয়ামী লীগ এ সন্ত্রাস করেছে। সংবাদ সম্মেলনে যা বলা হয়েছে এ বক্তব্য অফিসের গেটে দাঁড়িয়ে বলা যেত। এটা সিনেমার মহরত করছি না। কে শুনল কে শুনল না তা গুরুত্বপূর্ণ নয়।

তিনি আরও বলেন, আমি বিএনপির কোনো পদে নেই। তবে আমি বিএনপি করি। এখন যারা বিএনপি করেন তারা ভাড়াটিয়া। যারা এখন আছেন তারা টাকা দিয়ে পদ পেয়েছেন। বিএনপিকে আবারও দাঁড় করাতে হবে।

বিএনপির লাখো কর্মী আছে। সবাই আওয়ামী লীগ করে না। শেখ হাসিনা ক্ষমতার লড়াইয়ে জয়ী হয়েছেন। ক্ষমতা ছিনিয়ে নিতে পেরেছেন। দলের নেতা-কর্মীরা জেলে আছে।

তাদের ছাড়াতে হবে। ছাড়াতে না পারলে সবাইকে জেলে যেতে হবে। সবাইকে জেলে নিয়ে নাও। আমাকে জেলে যেতে বললে রাজি আছি। সরকারকে বোঝাতে হবে জেলের ভয় আমরা করি না।

বিএনপি নেতা বলেন, চাকর-বাকর, আমলা আর কূটনীতিকদের নিয়ে রাজনীতি করছেন দেশনেত্রী। রাজনীতিতে অনেক খেলা চলে। খোন্দকার মাহবুবকে গ্রেফতার ঠেকাতে পেরেছেন?

 

 

 

 

 


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.