এখানে সবচেয়ে মজার বিষয়টি হলো মোগল ললনাদের গোটা জীবনই পার হয়ে যেত হেরেমে অবস্থান করে। যদিও হেরেমের বিষয়টি নিয়ে সবসময়ই কঠোর গোপনীয়তা আর রহস্যময়তার আশ্রয় নেওয়া হতো। এরপরও বলা চলে মোগল রমণীরা সাধারণ ছিলেন না। রাজকীয় মহিলা হিসেবে তাদের সামাজিক জীবন ছিল সাধারণ মহিলাদের চেয়ে আলাদা। ইতিহাসে মোগল হেরেম সম্পর্কে যতটুকু জানা গেছে, তার অধিকাংশই ইউরোপীয় পর্যটকদের বদৌলতে।
তবে প্রাচ্য বিশেষ করে ইসলামের কঠোর পর্দা প্রথা এবং ইসলামী রীতিনীতি সম্পর্কে অজ্ঞ থাকায় তারা মোগল হেরেমকে কখনো তুলনা করেছেন কারাগারের সঙ্গে কখনো বা আস্তাবলের সঙ্গে। কখনো বা দেখা হয়েছে সম্রাটের যৌন বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে। কিন্তু তাদের ধারণা মোটেই ঠিক নয়। মোগল হেরেম সম্পর্কে সবচেয়ে বিশ্বস্ত এবং নির্ভরযোগ্য বর্ণনা দিয়েছেন হুমায়ুনের বোন গুলবদন বেগম। তিনি তার লেখা জীবনীমূলক গ্রন্থ হুমায়ুন নামায় এ বর্ণনা দিয়েছেন।
সম্রাট বা শাহজাদাদের পুত্র সন্তানের মা হওয়াই তাদের একমাত্র লক্ষ্য ছিল না। হেরেমের মহিলারা বাইরের পৃথিবীর রাজনৈতিক পরির্বতন সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকতেন। মোগল হেরেমের মহিলারা হজে যেতেন। তারা পার্টি বা রাজসভায় যোগদান করতেন। ফলে বলা যায় মোগল সাম্রাজ্যের অভিজাত মহিলাদের আবাসস্থল ছিল হেরেম।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।