আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা যাচ্ছে না

বিগত এক বছরে রাজনৈতিক সংকটে অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। তবে এর জন্য শুধু রাজনীতিই দায়ী নয়, অনেক বিষয় জড়িত। অর্থনীতির স্থিতিশীলতা ধরে রেখে প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশের ওপর যাবে না। এখন স্থানীয় এবং বৈদেশিক বিনিয়োগ বাড়াতে সব খাতে স্থিতিশীলতা থাকতে হবে। এ স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে সরকারের সব বিভাগকে দক্ষতা ও সততার সঙ্গে কর্মকৌশল প্রণয়ন করতে হবে।

দেশের আর্থিক প্রবৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতা নিয়ে এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ। শুক্রবার চ্যানেল আইয়ে তৃতীয় মাত্রা টকশোয় অংশ নিয়ে তিনি এসব মন্তব্য করেন। জিল্লুর রহমানের সঞ্চালনায় টকশোয় আরও অংশ নেন ইস্টার্ন ব্যাংকের এমডি আলী রেজা ইফতেখার। সঞ্চালকের প্রশ্নের জবাবে ড. সালেহ উদ্দিন বলেন, সরকার বিগত সময়ের নানা জটিলতায় ভাবমূর্তি সংকটে রয়েছে। ফলে ২০১৩ সালের আর্থিক ব্যবস্থাপনায় অনেক ব্যর্থতা দেখেছি।

এ সংকট রাজনীতিতে একটি মাত্রা যোগ করেছে। সরকার বিভিন্ন উপায়ে পদক্ষেপ নেওয়ার হয়তো চেষ্টা করছে। কিন্তু যে আর্থিক অব্যবস্থাপনা রয়েছে তা কাটানোর জন্য সব সেক্টরের দক্ষ ও সৎ কর্মকর্তাদের বসাতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের অর্থনীতি অনেক সম্ভাবনাময়। আর্থিক স্থিতিশীলতা সন্তোষজনক।

১৯৯০ সালের পর একটি উন্নয়নের ধারাবাহিকতা আমরা দেখেছি। এতে সব সরকারের ভূমিকা আছে। কিন্তু এখন প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা যাচ্ছে না। তিনি বলেন, প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে মূল অন্তরায় হিসেবে কাজ করে সুশাসনের অভাব, ভুল পলিসি ও কাজের দীর্ঘসূত্রতা। এটা কাটাতে কাজ করতে হবে।

রাজনীতি, বিভিন্ন ঘটনাবলি সময় ক্ষেপণ করেছে। নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানের দক্ষতা, সততা নিয়ে প্রশ্ন আছে। এখন বিভিন্ন নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানকে ঢেলে সাজাতে হবে। সংকট যখন চলে আসে দ্রুত সংক্রামক ব্যাধির মতো ছড়িয়ে পড়ে। সদিচ্ছা থাকলে সব সংকট কেটে যাবে।

অর্থনীতি কর্মকাণ্ডে ভালো করলে প্রণোদনা ও অনিয়মে জড়িতদের শাস্তি দিতে হবে। কিন্তু আমরা দেখেছি অনিয়মে জড়িতদের প্রণোদনা দিয়েছে সরকার। সাবেক গভর্নর বলেন, আমাদের এখন রিজার্ভ ১৮ বিলিয়ন ডলার। বেশি রিজার্ভ থেকে লাভ নেই। সেটা বিনিয়োগে নিয়ে আসতে হবে।

সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি দিয়ে মূল্যস্ফীতি ধরে রাখা যায় না। তার চেয়ে সংকুলানমুখী মুদ্রানীতি হওয়া উচিত। সাম্প্রতিক বিভিন্ন নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের পরও গার্মেন্ট সেক্টরে প্রভাব পড়েনি। তবে এ ধারা চলতে থাকলে বিরাট ক্ষতির আশঙ্কা আছে। প্রবৃদ্ধি বাড়াতে হলে কর্মসংস্থান, বৈদেশিক আয় বাড়াতে হবে।

একই সঙ্গে এসএমই খাতে বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। উদার মুদ্রানীতি করতে হবে। রিজার্ভ বাড়ানো লক্ষ্য হওয়ার দরকার নেই।

 

 

 

 

 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.