আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মুভি রিভিও cloudy with a chance of meatballs 2



এই সিরিজের প্রথম মুভি বের হয় ২০০৯ এ । প্রথম মুভি সারা ফেলে দেয় এনিমেটেড প্রেমীদের মনে। প্রথম মুভিটি মনোনীত হয় গোল্ডেন গ্লোব এ্যাওয়ার্ডের জন্য।
এই সিরিজের দ্বিতীয় মুভি রিলিজ পায় ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩ তে।
৯৫ মিনিটের এই মুভিটির প্রধান চরিত্র Flint Lockwood নামের এক তরুন পাগলা বিজ্ঞানী ।

ফ্লিন্ট বসবাস করে একটা দ্বীপে তার বাবার সাথে। এই সিরিজের প্রথম মুভিতে একটি মেশিন আবিস্কার করে ফ্লিন্ট । যে মেশিন কম্পিউটার কমান্ডের সাহায্যে ফ্লিন্টের ইচ্ছানুযায়ী খাদ্য তৈরি করতে পারে। মেশিন স্থানান্তরিত করা হয় আকাশে। যার ফলে আকাশ থেকে বৃষ্টির মত খাদ্যবর্ষণ শুরু হয়।


তাদের দ্বীপের মেয়রের লোভের কারনে ফ্লিন্ট মেশিনের ধারনহ্মমতার বেশী খাদ্য অর্ডার করে। এভাবে এক সময় তার মেশিন বিগড়ে যায়। এবং স্বাভাবিকের চেয়ে বড় খাদ্য পড়তে থাকে আকাশ থেকে। ফ্লিন্ট নানা বাধা পেড়িয়ে মেশিন বন্ধ করতে সহ্মম হয়।
দ্বিতীয় পর্বে দেখা যায় ফ্লিন্টের আদর্শ Chester V তাদের দ্বীপে আসে ফ্লিন্টকে তার সাথে কাজ করবার জন্য নিয়ে যেতে।

ফ্লিন্ট তার বাবা এবং তার প্রিয় মানুষদের সাথে দ্বীপ ছেড়ে চলে যায় । কিন্তু ফ্লিন্ট এখানে মানিয়ে নিতে পারে না। চেস্টার ভি তাকে দেখায় তাদের দ্বীপ অজানা এক কারনে বিপদজনক হয়ে পড়েছে। ফ্লিন্টকে সেখানে যেতে হবে। ফ্লিন্ট সেখানে যায় চেস্টার ভি এর এক কমান্ড নিয়ে।

ফ্লিন্টের সাথে যায় তার বাদর স্টিভ যাকে ফ্লিন্ট ল্যাব-সহকারী বলে থাকে । পুরো মুভিতে স্টিভের বাঁদরামি হাসাবে আপনাকে। আরো যায় ফ্লিন্টের বাবা এবং ফ্লিন্টের প্রেমিকা স্যাম স্পার্কস সহ অনেকেই।
দ্বীপে গিয়ে ফ্লিন্ট দেখে পুরো দ্বীপ জঞ্জালে ভরে গেছে। প্রথমেই দেখা হয় অদ্ভুত আকৃতির প্রানী বেরীর সাথে।

যেটা কিনা স্ট্রবেরী ফলের বিশাল আকৃতি/
সুকুমার রায় যারা পড়েছেন তাদের কাছে হাতিমি,বকচ্ছপ ইত্যাদি নামগুলো পরিচিত। হাতি এবং তিমির সংমিশ্রণে হয় হাতিমি। বকচ্ছপ হয় বক এবং কচ্ছপের মিশেলে।
এই মুভিতে আমরা এমনই একটি বিষয় দেখতে পাই। তবে এখানে মিশেল হয় খাদ্য এবং পশুপাখির।

যেমন কলা হয় ঘোড়া। বার্গার এবং স্পাইডারের মিশেলে হয় চিজস্পাইডার। অদ্ভুত প্রানীগুলোকে ফ্লিন্টেরা প্রথমে ভয়ংকর মনে করে। কিন্তু স্যাম দেখিয়ে দেয় যে এই প্রানীগুলো বন্ধুসুলভ। কিন্তু চেস্টার ভি এসে সব ভন্ডুল করে দেয়।

চেস্টার ভি ফ্লিন্টকে বোঝায় এরকম অদ্ভুত প্রানীগুলো যে মেশীন থেকে হচ্ছে তা যদি তুমি বন্ধ করতে পারো তবে তুমি হবে পৃথিবীর নায়ক। ফ্লিন্ট তার সারাজীবনের আদর্শ এর কথা মেনে নেয়। যার ফলে ফ্লিন্টের বন্ধুরা তাকে ছেড়ে অন্যত্র চলে যায়। মেশিন বন্ধ করার পর বেরিয়ে পড়ে চেস্টার ভির আসল রুপ। সে ফ্লিন্টকে ব্যাবহার করে।

ফ্লিন্টকে হত্যা করতে চায় কিন্তু সেই অদ্ভুত প্রানীরাই তাকে বাচায়। এবং অনেক ঝামেলা শেষে ফ্লিন্ট সেই মেশিন উদ্ধার করে চেস্টার ভির কাছ থেকে।
পুরো মুভিটি একনিঃস্বাসে দেখে ফেলতে পারেন। আশা করি সময় নস্ট হবে না।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.