আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চার লেনের টাকা পাঁচ দিনের মধ্যে ছাড়ের নির্

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের আটকে রাখা টাকা পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে ছাড় করতে হবে মার্কেন্টাইল ব্যাংককে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সম্প্রতি এক চিঠিতে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়েছে। টাকা নগদায়নের পর বিষয়টি কেন্দ্রীয় ব্যাংককে অবহিত করতেও বেসরকারি এ ব্যাংকটিকে বলা হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, শর্ত অনুযায়ী সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের চুক্তি বাতিল-পরবর্তী একটি লিখিত বিবৃতি দাখিল করা মাত্র অ্যাডভান্স পেমেন্ট গ্যারান্টির (এপিজি) টাকা নগদায়ন করতে ব্যাংক বাধ্য। কারণ এপিজি নগদায়নের ক্ষেত্রে ব্যাংক কোনো সময়ই শর্ত আরোপ করতে পারে না। অথচ মার্কেন্টাইল ব্যাংকের পক্ষ থেকে একটার পর একটা শর্ত আরোপ করে নগদায়ন বিলম্ব করা হচ্ছে। চিঠিতে আরও বলা হয়, এপিজি নগদায়নের ক্ষেত্রে পিজি ফেরত পাওয়ার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। এক্ষেত্রে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের এপিজি নগদায়নের অনাগ্রহতাই প্রকাশ পাচ্ছে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। প্রসঙ্গত, ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা দীর্ঘদিন ধরে আটকে রাখার অভিযোগে বাংলাদেশ ব্যাংকের হস্তক্ষেপ কামনা করে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়। আসল (পিজি) ব্যাংক গ্যারান্টি ফেরত না পাওয়ার অজুহাত দেখিয়ে মার্কেন্টাইল ব্যাংক এপিজির অর্থ নগদায়ন করতে আপত্তি জানিয়ে আসছিল। যোগাযোগ মন্ত্রণালয় থেকে বার বার তাগাদা দেওয়ার পরও টাকা নগদায়ন করেনি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। শেষে নিরুপায় মন্ত্রণালয় গত ৬ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় ব্যাংক গভর্নর ড. আতিউর রহমানের কাছে চিঠি পাঠায়। সূত্র জানায়, ঢাকা (জয়দেবপুর)-ময়মনসিংহ সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের দুটি প্যাকেজের কাজ নির্মাণের জন্য এইচআরবিসি-ইনট্রাকো (বিডি) জেভি নামে একটি ঠিকাদার কোম্পানির সঙ্গে ২০১১ সালের ২৩ মার্চ চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী ঠিকাদার কোম্পানি ওই বছরের ২৭ এপ্রিল মার্কেন্টাইল ব্যাংকে (মতিঝিল শাখা) প্রথম প্যাকেজের বিপরীতে ১২ কোটি ৬২ লাখ ২১ হাজার ৮২০ টাকা এবং দ্বিতীয় প্যাকেজের বিপরীতে ২০ কোটি ৩৪ লাখ ৭৩ হাজার ৬৬০ টাকাসহ মোট ৩২ কোটি ৯৬ লাখ ৯৫ হাজার ৪৮০ কোটি টাকার এপিজি (অ্যাডভান্স পেমেন্ট গ্যারান্টি) দাখিল করে। পরদিন ২৮ এপ্রিল ঠিকাদার প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য দুটি প্যাকেজের এপিজির বিপরীতে মোট ২৭ কোটি ৯৮ লাখ ৬৩ হাজার ৯০০ টাকা অগ্রিম হিসেবে গ্রহণ করে। কিন্তু প্রাথমিক অনুসন্ধানে ঠিকাদারের চুক্তিতে জালিয়াতি ধরা পড়ায় একই বছরের ১৪ জুলাই সড়ক বিভাগের পক্ষ থেকে এটি বাতিলের নোটিস দেওয়া হয়। বিষয়টি আইনি প্রক্রিয়ায় গড়ালে শুনানি শেষে ১৮ অক্টোবর আদালত চুক্তি বাতিলের আদেশ দেন। এরপর ১৯ অক্টোবর সড়ক বিভাগ এপিজির টাকা নগদায়ন করতে ব্যাংকে চিঠি দেয়।

কিন্তু সড়ক বিভাগের দাবি করা টাকা আর ঠিকাদারের গ্রহণ করা টাকার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে উল্লেখ করে মার্কেন্টাইল ব্যাংক নগদায়ন করতে আপত্তি জানায়।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.