আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মন্ত্রীর মহিষের জন্য ‘গরু খোঁজা’, ৩ পুলিশ বরখাস্ত

রোববার রাজ্যের বিভিন্ন স্থান থেকে চুরি মহিষগুলো উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।

তবে দুদিন ধরে মহিষগুলো খুঁজতে গলদঘর্ম হওয়া পুলিশকে অবশ্য এজন্য মূল্যও দিতে হয়েছে। মহিষ চুরির ঘটনায় ‘দায়িত্বে অবহলোর’ অভিযোগে পুলিশের তিন সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।

গত শনিবার আজম খানের রামপুরের খামার বাড়ি থেকে চুরি হয় সাতটি মহিষ। চোরের দল  কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে খামার থেকে শিকল কেটে মহিষগুলো নিয়ে লাপাত্তা হয়।

চুরির ঘটনার পর প্রভাবশালী এই মন্ত্রীর মহিষগুলো খুঁজতে কোমর কষে মাঠে নামে রাজ্যের পুলিশ। পুরো অভিযান তদারকে ছিলেন স্বয়ং রামপুরের পুলিশ সুপার সাধনা গোস্বামী।

বিশাল পুলিশবাহিনী, গাড়িবহর আর গোয়েন্দা কুকুর নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন স্থান চষে ফেলে পুলিশ।   মহিষের জন্য চলে রীতিমত ‘গরু খোঁজা’।  

রামপুরের বিভিন্ন খামার, মাংসের দোকান, কসাইখানায় চলে পুলিশের চিরুনী অভিযান।

চুরির সঙ্গে জড়িত সন্দেহে অন্তত ১০ জনকে আটকও করা হয় বলে জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।

এসময় রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা অনেকটাই অরক্ষিত হয়ে পড়ে বলে জানিয়েছে এনটিভি।

মন্ত্রীর মহিষ খুঁজতে পুলিশের দৌঁড়ঝাঁপের বিষয়টি ভারতের গণমাধ্যমেও ব্যাপক আলোচনা পায়, যাকে মন্ত্রী আজম খান বলছেন, ‘গণমাধ্যমের বাড়াবাড়ি’।

মহিষ খুঁজতে রাজ্যের পুলিশবাহিনীকে ব্যবহারের বিষয়টি অস্বীকার না করলেও গণমাধ্যমের ‘অতি উৎসাহী’ ভূমিকায় ক্ষুব্ধ আজম খান বলেন, “এটা কোনো খবর হলো? আমার ধারণা গণমাধ্যমই এটা খবর বানিয়েছে। ”

পুরো বিষয়টি মন্ত্রীর বিরোধীপক্ষ এবং সমালোচকদের আলোচনার খোরাক হিসেবে দেখা দিয়েছে।

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব ক্যাবিনেটের ‘দ্বিতীয় ব্যক্তি’ হিসেবে পরিচিত আজম খানের এ ধরনের ভূমিকার সমালোচনা করে বিজেপি নেতা সিদ্ধার্থ নাথ সিং বলেন, “মন্ত্রীর মহিষ চুরির ঘটনায় পুলিশ কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে, তিন পুলিশ বরখাস্তও হয়েছে। কিন্তু রাজ্যে জাতিগত সহিংসতা দেখা দিলে কিংবা কোনো নারী ধর্ষণের শিকার হলে তাদের এই তৎপরতা দেখা যায় না। ”

তবে শেষ পর্যন্ত রোববার রাজ্যের বিভিন্ন স্থান থেকে মহিষগুলো উদ্ধার হওয়ায় পুলিশ বিভাগসহ সবাই যেন  হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছে। পুলিশ আশা করছে মন্ত্রী এখন তার অভিযোগ উঠিয়ে নেবেন।




সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.