আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সমাধানের পথ নিজেকেই বেছে নিতে হবে

অবশেষে আমাদের দেশের সরকার তার গোঁ বজায় রেখে সবার কথা উড়িয়ে দিয়ে ৫ জানুয়ারি নির্বাচন নামে একটি প্রহসন করলেন। ৫০ ভাগের উপর আসনে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী থাকল না। যার জন্য নির্বাচন সেই ভোটারদের নির্বাচনে যাওয়ার কোনো তকলিফ না দেওয়ার সহবত দেখালেন। দেশে একটি লঙ্কাকাণ্ড হলো। বিরোধী দলগুলো হরতাল ও অবরোধ দিল আর সরকার বিভিন্ন বাহিনী নামিয়ে লোক ধরে নিয়ে জেলখানায় রেকর্ড পরিমাণ বন্দী করল।

নির্বিচারে গুলি করে মানুষ মারা হলো। যার জন্য ভোট সেই জনতা মাঠে-ঘাটে ঊধর্্বশ্বাসে পালিয়ে গেলেন। ডজন ডজন ভোটকেন্দ্র একেবারে ভোটারশূন্য হয়ে গেল। এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে গুম, খুন, মানুষ গায়েব হয়ে যাওয়ার যে রেওয়াজ প্রতিষ্ঠা করল সেই রেওয়াজের মধ্যে সিলেট জেলার বিশ্বনাথপুর উপজেলার সংসদ সদস্য ইলিয়াস আলী আজও নিখোঁজ হয়ে থাকলেন, হয়তো তিনি আর ইহজগতে নেই। তিনি মারা পড়লেও তার ভূত নির্বাচনী কেন্দ্র আজও পাহারা দেয়।

তা না হলে ওই কেন্দ্রে ৫ জানুয়ারি নীরবে এই সরকার ও তার ভোট প্রহসনের প্রতিবাদে একটিও ভোটার সেখানে গেল না। এই চিত্র ডজন ডজন স্থানে দেখা গেছে। অনেক ক্ষেত্রে কোনো প্রতিবাদ, প্রতিহিংসা বা মারদাঙ্গা ছাড়া ভোটাররা কেন ভোটদানে বিমুখ রইলেন এ বিষয় ভেবে দেখতে হবে। আমার আশ্চর্য লাগে ভোটারশূন্য কেন্দ্রগুলোতে কি আওয়ামী লীগ বা তাদের ঘরানার কোনো ভোটার ছিল না এবং তারা কেন ভোট দিল না এ বড় রহস্যজনক। হয়তো তারা বুঝতে পেরেছে যে, এটা একটা প্রহসনের ভোট, যার ফলাফল কখনো ভালো হতে পারে না।

রংপুরের একটি ভোটকেন্দ্রে যেখানে খোদ সরকারপ্রধান প্রার্থী সেখানে বেলা ৩টা পর্যন্ত ৫%-এর উপর ভোট পড়েনি। অথচ ঘণ্টাখানেকের মধ্যে মিডিয়াকে বলা হয়েছে সেখানে লক্ষাধিক ভোট পড়েছে। এসব জাদুকরী কাণ্ড সেদিন ঘটেছিল।

গত জানুয়ারি মাসের ২৫ তারিখে আমাদের পাশর্্ববর্তী রাষ্ট্র ভারতে জাতীয় ভোটার দিবস পালিত হলো। ১৯৫০ সালের ২৫ জানুয়ারি এ দিবসটি জাতীয় ভোটার দিবস হিসেবে ঘোষিত হয় এবং সেখানে ২৫ তারিখে সারা দেশে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে আনুষ্ঠানিকতা হয়।

ভোটকেন্দ্রগুলোতে বক্তৃতা, বিবৃতি, নৃত্যগীত, নাটক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভারতে যখন একটি নতুন ভোটার তালিকা হয় তখন ভোটারকে ভোট দেওয়ার শপথ নিতে হয়। আমাদের দেশে এরূপ চর্চা না থাকলেও ভোটের সময় জাতি, ধর্ম, নির্বিশেষে আবাল, বৃদ্ধ, বনিতা সবাই উৎসবে নেচে ওঠে। এ যেন ঈদের দিনে পরিণত হয়। চারদিকে সাজ সাজ রব শোনা যায়।

অতি বৃদ্ধ মানুষও সারিবদ্ধভাবে ভোট বাঙ্রে দিকে এগিয়ে যায়। ভোটকেন্দ্রগুলোর আশপাশ মেলার উৎসবের মতো মনে হয়। হাত মেলান, কোলাকুলি, গালগল্প, হাসি-তামাশার মধ্যে সবাই যে যার ভোটটা দিয়ে থাকেন। কিন্তু কোন প্রার্থীকে ভোট দিলেন সে কথাটা অবশ্যই গোপন রাখেন। এহেন জাতি ৫ জানুয়ারি কেন বিমুখ হলেন, কেন নির্বাক থাকলেন, গণতন্ত্রে বিশ্বাস করলে স্বভাবতই তাকে ভাবিত হতে থাকবে।

কোনো একটা অঘটন যে ঘটেছে, সে বিষয়ে সন্দেহের কণামাত্র থাকে না। তবে সব জাদুর ওপর অবিশ্বাস্য কেরামতি দেখালেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং তার কর্মকাণ্ড এই ইনস্টিটিউশনকে একেবারে সন্দেহজনক এবং আস্থাহীন করে ফেলেছে। মিডিয়ার বদৌলতে জানা যায়, সারা দেশে ভোট পড়ার সংখ্যা ৫ ভাগের ঊধের্্ব নয়। কিন্তু প্রধান নির্বাচন কমিশনার কত সংখ্যক ভোট পড়েছে তার হিসাব করতে তিন দিন পরে এই সংখ্যাকে ৪০-এর উপরে নিয়ে গেলেন। এরূপ জাদুকর সক্রিয় থাকলে কোনো জালভোটের ব্যবস্থা করারও প্রয়োজন হয় না বলে অনেকে মনে করতে পারেন।

এসব ক্ষেত্রে যাদব বাবুর পাটিগণিতে কোনো উল্লেখ পাওয়া যাবে না। সারা বিশ্বে এ বিষয়টি আলোচিত হয়েছে এবং পুনঃনির্বাচনের জন্য সবাই সরকারকে পরামর্শ দিয়েছেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের তিন দিন রাতের জাদুর কৃতিত্বের জন্য তার মূর্তি মাদাম তুষোর মিউজিয়ামে মমি করে রাখার আহ্বানও তো করা যেতে পারে। যাতে প্রজন্মের পর প্রজন্ম জগৎবাসী দেখে বিমোহিত হতে পারেন। এই ভূ-ভারতে আগে কখনো এরূপ নির্বাচন হয়নি এবং ভবিষ্যতে আর না হওয়া বাঞ্ছনীয়।

সরকার ৯৯ ভাগ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পরও অতি তড়িঘড়ি সংসদ বসিয়ে শপথ গ্রহণ করে কথিত বিরোধী দলের সঙ্গে মন্ত্রণালয় ভাগাভাগি করেছে। আমরা আশা করতে পারি, সরকার এর পর কোনো শপথ নিলে যেন একটা শপথ নেন 'আর, না'। দেশের নির্বাক জনসাধারণ এবার কে কে প্রার্থী হলো তাদের চেহারাও দেখল না। ভোট ক্যানভাসে কোনো তোড়জোড় দেখল না, বক্তৃতা, বিবৃতির ফোয়ারা ছুটতে দেখল না। বরং এক কথায় বলা যায়, ৫ জানুয়ারি ছিল এদেশে ভোট বর্জনের শ্মশান যাত্রা।

ঠাণ্ডা মৃত্যুর হিমেল প্রবাহ। যত যাই হয়ে থাকুক না কেন এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরকার ও জনগণের মধ্যে একটি মহাসাগরের দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে। যা গণতন্ত্রের জন্য কখনো কাম্য নয়। যে দল সরকারে আছে অতীতে তাদের সংগ্রামের ঝুড়িতে অনেক উজ্জ্বল মণিমুক্তা আছে, অনেক ত্যাগ ও বীরত্বের রত্ন ভাণ্ডার আছে। কিন্তু সব উজ্জ্বলতা এ ঘটনার পাশে নিষ্প্রভ এবং ম্লান হয়ে গেল।

৬৫তম প্রজাতন্ত্র দিবসে জাতির উদ্দেশে ভারতের সম্মানিত রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির বক্তব্য শুনে আমি অভিভূত হয়েছি। তিনি বলেছেন, গণতন্ত্র কোনো উপহার নয় বরং প্রত্যেক নাগরিকের মৌলিক অধিকার এবং যারা ক্ষমতায় আছেন গণতন্ত্র তাদের কাছে পবিত্র আমানত। যারা ক্ষমতায় আছেন তাদের মনে রাখতে হবে যে, জনসাধারণের সঙ্গে তাদের আস্থার ঘাটতি ঘটলে তা বিপর্যয় ডেকে আনবে। এটা মনে রাখতে, প্রতিটি নির্বাচন আসে একটি সাবধান বাণী নিয়ে। সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন কর অথবা ধ্বংস হয়ে যাও।

তিনি আরও বলেছেন, দুর্নীতি সমাজজীবনে ক্যান্সারস্বরূপ, যা গণতন্ত্রকে গ্রাস করে এবং রাষ্ট্রের ভিত্তিকে নড়বড়ে করে। অনেকেই ক্ষমতায় এসে মনে করে ক্ষমতা হচ্ছে লোভ-লালসার প্রবেশ দ্বার। তখন মানুষ ক্ষুব্ধ হয় এবং সঠিক পথে আওয়াজ তোলে। মানুষকে সংশোধনের পথ ধরতে হয় তখন।

গত ৫ তারিখের নির্বাচনে ক্ষমতাসীনরা যেভাবে মানুষের ভোটের অধিকার বা তার মৌলিক অধিকারকে নির্লজ্জভাবে হরণ করেছে তাতে সরকার ও সাধারণ মানুষের মধ্যে যে দূরত্বের সৃষ্টি হয়েছে সরকারকেই এই বীভৎস দূরত্বকে কমাতে হবে এবং জনআস্থা ফিরিয়ে আনতে অবিলম্বে সব পন্থা অবলম্বন করতে হবে।

বিশেষ করে পুনঃনির্বাচন দিয়ে এই আস্থাহীনতা দূর করতে হবে। বিগত কয়েক মাসে প্রধান বিরোধী দল যেভাবে সরকারকে কোণঠাসা ও একাকী করে ফেলেছিল সেখানে এরূপ একটা নির্বাচন করা ছাড়া সরকারের কোনো পথ ছিল না, এ কথা মানতে হবে। সরকারের সঙ্গিন মুহূর্তে তার দীর্ঘদিনের সঙ্গী বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টিও নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল। সে সময় রাজনীতির এক ধূমকেতু সরকারের পথ ধরলেন। এই ব্যক্তি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।

তিনি আওয়ামী লীগের ১৯৮৮ সালের সহযোগিতার ঋণ পরিশোধ করলেন এবং জনতার অধিকার হরণের অগ্রযাত্রার সাথী হয়ে ইতিহাসে কলঙ্কিত থাকলেন। বাংলাদেশের মানুষ আজ তাকে চিনেছে। এ ব্যক্তির বিষয়ে কিছু বলতে গেলে আমার মনে আসে সেই পথিকের কথা। সে পথিক পথে যেতে যেতে দেখেছিলেন এক অদ্ভুত কুৎসিত প্রাণী পাশের পুকুরে জল চপচপ করে খাচ্ছে। প্রাণীটি না ইঁদুরের মতো না হাতির মতো বড়।

পথিক প্রাণীটাকে চিনত না। সহযাত্রী পণ্ডিতকে জিজ্ঞাসা করলেন এটি কোন প্রাণী? পণ্ডিত বলল এটা জল চপচপি। হয় এটা মূসিক বৃদ্ধি বা গজক্ষয়। অর্থাৎ ওই প্রাণী মূসিক থেকে বৃদ্ধি হতে হতে এরূপ হয়েছে অথবা গজক্ষয় হতে হতে এরূপ হয়েছে। আমাদের এই খলনায়ক একজন সরকারি কর্মচারী।

১৯৮২ সাল থেকে মূসিক বৃদ্ধি শুরু হয়ে দেশের সর্বময় ক্ষমতা দখল করেছিলেন। আবার নব্বই দশকে গজক্ষয় শুরু হয়েছিল তার। অনেক অঘটন ঘটনার তেলেসমাতি তার সংগ্রহে রয়েছে। তার লোকজনরা সরকারের অংশীদার হিসেবে অনেকে মন্ত্রী হয়েছেন। তার বেগম সাহেবা সংসদে সরকারের বিরোধী দল প্রধান হিসেবে আবিভর্ূত হয়েছেন।

তিনি নিজেও মন্ত্রীর মর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হয়েছেন। তবে তার কার্যক্রম সম্পর্কে মানুষ কখনো আস্থা রাখতে পারে না। কারণ সকাল-বিকালের কথায় তিনি ঠিক থাকেন না। তাই এদেশে আস্থাহীনতার নেতা হিসেবেই সর্বকালে উদাহরণ হয়ে থাকবেন।

যা হোক ব্যক্তি বিশেষ নিয়ে আলোচনা করার যুক্তি নেই।

৫ জানুয়ারি নির্বাচন যাই হয়ে থাকুক না কেন, তা সংবিধান সম্মত ছিল এটা অনেকেই বলছেন। তবে এ কথা কেউ বলবেন না যে, এটা নৈতিকতাসম্পন্ন ছিল। কোনো দরজা একই সঙ্গে খোলা এবং বন্ধ করা যায় না। অর্থাৎ ওয়েস্ট মিনস্টার সংসদীয় গণতন্ত্রে একই ব্যক্তি সরকার এবং বিরোধী দলে বসতে পারেন না বা থাকতে পারেন না। সংসদীয় গণতন্ত্র এদেশে কতটুকু এগিয়েছিল ৫ জানুয়ারির ফলাফল তাকে কোথায় নিয়ে ফেলল তা পরিমাপের সময় এখনো আসেনি।

তবে এ কথা সঠিক যে, সরকার এবং সংসদ উভয়ই এক বিপর্যয়ের ঘূর্ণিবর্তে পতিত হয়েছে।

স্বাধীনতার পর থেকে আমরা ক্রমাগত সাংঘর্ষিক পথ অতিক্রম করছি। সুযোগসন্ধানীরা দেশে হত্যা, ধ্বংসচক্রের জাল বিস্তার করছে। যার ফলে দেশে বিভিন্ন অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে, লুটপাট হচ্ছে, মানুষ মারা যাচ্ছে। এ প্রক্রিয়ায় অনাহূত ভোট দেওয়ার নামে সংখ্যালঘু কিছু জনগোষ্ঠী বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছে সাম্প্রতিককালে।

এটা কোনো ব্যক্তি, দল বা সংগঠন করেনি। লুটেরা ও অপরাধীচক্র তাদের লোভ-লালসা মেটানোর জন্য এরূপ অপরাধ করে থাকতে পারে। সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে রাজনৈতিক উদ্দেশে বিরোধী দলকে ধরপাকড় ও জুলুম করার কাজে ব্যবহার না করে এদের অপরাধ দমনে বিশেষ করে ওইসব ভীতসন্ত্রস্ত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তাদানে নিয়োজিত করা উচিত। এটা আমাদের নাগরিকরা কখনোই বিশ্বাস করে না যে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঠিকমতো অনুসন্ধান করলে এদের বিচারে আনা যাবে না। সরকারের সদিচ্ছাই এখানে বড় কথা।

যথাসময়ে ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে বড় অপরাধীদের প্রশ্রয় দিলে তা দেশ ও সমাজের জন্য বিষময় হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বিরোধী দল দমনে বা পীড়নে ব্যবহার করলে সে রাক্ষুস একদিন তার তোষণকারীকেই ভক্ষণ করে_ এটা জাগতিক রীতি। বর্তমানে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা একেবারে নিঃশেষিত ও নিত্যপ্রয়োজনীয় চাহিদা সে মেটাতে পারছে না। এর পর সরকার ৫ জানুয়ারিতে যেভাবে তার ভোটের অধিকার হরণ করেছে তাতে বিক্ষোভ দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ার কথা। সরকার যদি এখনো সাবধান না হয় তবে পরে তা কোনো কাজে আসবে না।

আর যারা বিরোধী দল হয়েও এখন সরকারে আছে আবার সংসদে বিরোধী দল হিসেবেও আছে গিরগিটির মতো তার রং পাল্টাতে এক মুহূর্ত সময় লাগবে না। আর মনে রাখতে হবে, জনতার ক্ষোভ তা এককেন্দ্রিক এবং এর যথাযথ টার্গেট যারা ক্ষমতায় আছেন তারাই সর্বকালের। ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব বাবু তার বক্তব্যে যুক্তিসঙ্গত উপলব্ধির কথাই জানিয়েছেন, গণতন্ত্রের অদ্ভুত ক্ষমতা এই যে সে নিজেই নিজেকে সংশোধন করতে পারে অর্থাৎ গণতন্ত্র এমন একটি চিকিৎসক যে তার ক্ষমতাকে নিজেই সারিয়ে তুলতে পারে। ৫ জানুয়ারির নির্বাচন সরকারকে লাইফ সাপোর্ট দিয়েছে, যা অবশ্যই দীর্ঘকালীন সময়ের জন্য চলবে না। এই লাইফ সাপোর্ট থেকে স্বাভাবিক জীবনে আসতে সরকার যে সুযোগ পেয়েছে তার সর্বাত্দক ব্যবহার করার এটা উপযুক্ত সময়।

দেশে-বিদেশে সবাই বলছে, তাদের এ অনুভূতির কথা। আমরাও আশা করব সরকার এই হীত উপদেশ উপেক্ষা না করে বিদ্বেষ ও বিরূপতা ত্যাগ করে জনগণের স্বার্থে তার দূরত্ব একেবারে কমিয়ে ফেলার যথাযথ প্রচেষ্টা গ্রহণ করবে। অর্থাৎ ৫ জানুয়ারিতে জনগণের হরণকৃত ভোটাধিকার ফেরত দিতে নিজেই সক্রিয় হবে। সব সমস্যা সমাধানের পথটি নিজেকেই বেছে নিতে হবে। অমৃতের মঙ্গল ঘট যে নারী বহন করে, যিনি বিদ্বেষ পরিহার করে সবার মাঝে লীন হতে চান তিনি মহীয়সী, তার হাতে জীবজগতের লালন সম্ভব।

লেখক : সাবেক প্রতিমন্ত্রী

 

 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.