আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পাঁচটি অনু গল্প ! (চারটি একদমই কুট্টি আর শেষের টা অনু গল্প)

আমার চোখে ঠোটে গালে তুমি লেগে আছো !! অনু গল্পঃ ০১ -এই ! এই ! এই ! আমি তাকিয়ে দেখি লিরা দাড়িয়ে আছে মুখ ভার করে । একটু অবাক লাগলো ! লিরার এখানে আসার কথা না । লিরা কেন কোন মানুষেরই এখানে আসার কথা না । আমি স্বেচ্ছায় নির্বাসনে এসেছি । আমি বললাম -কি ! কি ! কি ! লিরা ওর স্বভাব সুলভ মুখ ভঙ্গি করে বলল -এই ।

পাজি ছেলে ! -কি পাজি ছেলের গার্লফ্রেন্ড ? -এই । -কি ? -মাইর খাবা । -না । মাইর খাবো না । অন্য কিছু খাবো ।

লিরা চোখ পাকিয়ে বলল -খুব দুষ্ট হয়েছ, না ? পাজি ছেলে । আমি লিরার হাত ধরলাম । মনে হল কতদিন পরে যেন ওর হাত ধরলাম । কেমন একটু ঠান্ডা ঠান্ডা লাগল । বললাম -তুমি এখানে ? কিভাবে ? লিরার মুখ আবার ভার হয়ে গেল ।

-তুমি আমাকে রেখে চলে এলে কেন ? আমার বুঝি কষ্ট লাগে না ? হঠাত্‍ লিরার চোখে পানি দেখলাম । চোখের কোন গড়িয়ে পড়ার আগেই বললাম -কই তোমাকে একা রেখেছি ? তুমিতো এই বুকের ভিতর আছো । -তাই বুঝি ? -হুম । -সত্যি ? -সত্যি ! -আর আমাকে ছেড়ে যাবা না তো ? -না । কোন দিন যাবো না ।

লিরার মুখে হাসি ফোটে । আমিও আর কিছু চিন্তা করি না । লিরার হাত ধরে হাটতে থাকি পাড় ঘেষে । যত দুর চোখ যায় কেবল ধূ ধূ জলরাশি । আমরা কিনার ধরে হেটে চলেছি একে অন্যের হাত ধরে ।

অনু গল্পঃ ০২ -এই খবরদার কিন্তু ! -কি খবরদার কিন্তু ? তুমি জানো না আমি ইংরেজিতে কত ভাল ! -হুম জানি তো । কিন্তু তুমি খবরদার ঐ লাইনটার ইংরেজি করার চেষ্টা করবা না । -আহা শুনো না । -না । শুনবো না ।

-আরে শুনো, কে হায় তার মানে হু এলাস ... -এই চুপ চুপ । আমি শুনবো না । আমি বুঝি না এই মেয়ের সমস্যা কি ? আরে আমি ইংরেজির টিচার । আমার স্টুডেন্ট সব সময় এ প্লাস পায় ইংরেজিতে । আর আমাকে ইংরেজি করতে দিচ্ছে না এই মেয়ে ।

আরে একটা মাত্র লাইনই তো । এ আর এমন কঠিন কি ? "কে হায় হৃদয় খুড়ে বেদনা জাগাতে ভালবাসে" এই লাইনের ইংরেজি কি আমি করতে পারবো না । -এই আছো ? -হুম । -বলি না ? -না খবরদার কিন্তু । -দেখো খুব সহজ ইংরেজি ।

দেখো, কে হায় এইটা হবে হু এলাস । -চুপ । -হৃদয় খুড়ে এটা হবে হার্ট ডিগিং । -এই চুপ । -বেদনা জাগাতে ভালবাসে এই হবে স্যাড এওয়াক লাভ ।

তাইলে একসাথে কি হয় ! -এই খবরদার কিন্তু । একদম খুন করে ফেলবো কিন্তু । এতো সুন্দর একটা লাইনের এরকম বিদঘুটে ইংরেজি করলে ! আমি আরও কিছু বলতে গেলাম । কিন্তু হৈম এতো জোরে চুপ বলল আর কি বলতেই পারলাম না । এই মেয়ে আমার ইংরেজি প্রতিভা বিকশিত হতে দিল না ।

বদ মেয়ে ! -এই কি বললা ? -কিছু বলি নাই পাখি ! অনু গল্পঃ ০৩ -এই ! কোন সাড়া নাই । আবার ডাক দিলাম । -কি হল ? এই ! -হুম । কথা বল না কেন ? -এই তো বলছি । -কই বলছো ? -বলছি তো ! -কি হয়েছে ? -কিছু হয় নি ।

-কিছু তো অবশ্যই হয়েছে । তবে ছেলে বা মেয়ে হয় নি এটা সিওর । খানিক্ষন নিরবতা । তারপর -ফাজলামো করবা না । ছেলে মেয়ে হয় নি মানে ? -না মানে যদি হত তাইলে তো কান্তো ! -আবার ? -আহা ! কি হইছে বল না ? -জানি না ।

-বিকেল বেলা বললা না মন খারাপ । তখন কথা বললা না । এখন বল । তুমি জানো না তোমার মন খারাপ থাকলে আমার ভাল লাগে না । আবারও খানিক্ষন নিরবতা ! মনে হল যেন অনন্ত কাল আমি কারো কথা শোনার জন্য অপেক্ষা করে আছি ।

আমি জানি এই মন খারাপের ঔষধ কি ? মোবাইলটা আর একটু কাছে নিয়ে বললাম -আই লাভ ইউ । কোন কথা নাই । আবার বললাম । তবুও চুপ । ৩য় বারের মত বললাম ।

কি করবো কিভাবে ওর মন ভাল করবো ভাবছি তখনই ও বলল -আবার বল ! -কি ? -যা বললা একটু আগে । -কি বললাম ? -দেখো আমি কিন্তু ফোন রেখে দিবো ! -আরে আমি তো কত কথাই বললাম । কোনটা বলবা তো ! নিরবতা । একটু হেসে বললাম -আই লাভ ইউ । -আবার ! -আই লাভ ইউ ।

-আবার বল ! -আই লাভ ইউ ! -বলতেই থাকো । -আরে আমি কি টেপ রেকর্ডার নাকি ? -বল ! -আই লাভ ইউ ! হয়েছে ? -হুম ! অনু গল্পঃ ০৪ -এই ! এই ! -হুম । -কথা বলো না কেন ? -বৃষ্টি দেখি । -আল্লাহ সত্যি ? তোমাদের ওখানে বৃষ্টি হচ্ছে ? -হুম । -টিপটিপ করে নাকি ঝুম বৃষ্টি ? -কুকুর মেকুরে বৃষ্টি ।

-এই কুকুর মেকুর আবার কি কথা ? সুন্দর করে বল । -আরে আমাদের এখানে বিড়ালকে মেকুর বলে । কুকুর মেকুর । কেটস এন্ড ডগস । -তাই বুঝি ? -হুম ।

আচ্ছা আমি এখন রাখি । বৃষ্টিতে ভিজবে । হৈম খানিকটা আদুরে গলায় বলল -আমিও ভিজবো । -ভিজো । আমি এখানে ভিজি আর তুমি ওখানে ভিজো ।

-উউউমম । এখানে তো বৃষ্টি হচ্ছে না । -তাহলে এক কাজ কর তুমি বাতাসে ভিজো আমি বৃষ্টিতে ভিজি । -এই দুষ্টামী করবা না । -শোন তাহলে বাধরুমে গিয়ে ঝর্নার নিচে দাড়াও ।

-এই আবার দুষ্টামী কর ? আমি তোমার সাথে বৃষ্টিতে ভিজবো । এই মেয়ের জন্য এখন আমি বৃষ্টি কিভাবে পাই ? ফোন রাখার পরেও অনেকক্ষন দরজার কাছে দাড়িয়ে রইলাম । এখনও ঝুম বৃষ্টি হচ্ছে । কিন্তু কেন জানি বৃষ্টিতে ভিজতে ইচ্ছা করছে না । বারবার হৈমর কথা মনে পরছে ।

"আমি তোমার সাথে বৃষ্টিতে ভিজবো" মেয়েটা আমার কাছে কিছু চায় না কখনও । কোন কিছু দিতেও পারি না ওকে । থাক আজ না হয় নাই ভিজলাম । -এই ভিজেছ ? -উহু । -কেন ? -তুলে রাখলাম ।

তোমার সাথে ভিজবো একদিন । অনু গল্পঃ ০৫ -নিশি ! ছাতাটা একটু নামিয়ে রাখবো ? নিশি আমার দিকে এমন শীতল দৃষ্টিতে তাকালো যেন আমি ওর কাছে ওর কিডনি দুটো চেয়েছি ! নিশি তোমার কিডনি দুইটা আমাকে দিবা ? আশ্চার্য । আমার মাঝে মাঝে ভাবতে অবাক লাগে এতো সুন্দর চেহারার মানুষ এতো কঠিন করে তাকায় কিভাবে ? আর আমি অযৌক্তিক কিছু বলেছি বলে তো মনে হচ্ছে না । চারিদিকে তুমুল বৃষ্টি হচ্ছে । আমি আর নিশি ভার্সিটি থেকে আজিমপুরের দিকে যাচ্ছিলাম ।

ওর এক কোন চাচা না মামার বাসায় । আমার দায়িত্ব পরেছে ওকে ঐ বাসা পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে আসা তারপর আবার একই রিক্সায় ফেরত্‍ আসা । যে রিক্সাটা ঠিক করেছি সেটা নিশির পছন্দ হয় নাই । আরে বাবা রিক্সাই তো এতে আবার পছন্দ আর অপছন্দের কি আছে ? কিন্তু এই মেয়েদের মন ! কখন কোন টা কিভাবে আর কেন যে পছন্দ করবে আবার পছন্দ করবে তা স্বয়ং উপরওয়ালা ছাড়া আর কেউ বলতে পারে না । আমি তো অনুমানও করতে পারি না ।

রিক্সাতে উঠেই তাই নিশির মেজাজ একটু খারাপ ছিল । নীলক্ষেত মোড় পার হয়েছি এমন সময় কোথা থেকে যেন ঝুম বৃষ্টি আরাম্ভ হয়ে গেল । আমি রিক্সাওয়ালা মামাকে বললাম -মামা জলদি পর্দা বের করেন । রিক্সাওয়ালা দাঁত বের করে বলল -মামা নাইক্কা । আপারে একটু ধইরা বসেন তাইলে আর ভিজবেন না ।

এই বলেই রিক্সাওয়ালা আবার দাঁত বের করে হাসি দিল যেন খুব মজার কিছু বলেছে ! আমি নিশির দিকে তাকিয়ে দেখি ওর মুখ গম্ভীর । ও যেন আগেই জানতো এমন কিছু হবে । মুখ গম্ভীর করলেও নিশি কিছু বলল না । হাত ব্যাগ থেকে একটা ছাতা বের করে দল আমার দিকে । রিক্সার হুড আর ছাতি দিয়ে বৃষ্টি আটকানোর চেষ্টা করতে লাগলাম ।

কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছিল না । কিছুক্ষনের ভিতর আমরা দুজনেই ভিজে গেলাম । এই জন্য ছাতাটা নামিয়ে রাখতে বলছিলাম । বৃষ্টির পানি এমনিতেই ঠান্ডা লাগছে নিশি তার থেকেও ঠান্ডা গলায় বলল -তোমার কি এখন ঢং করতে ইচ্ছা করছে ? একসাথে রিক্সায় করে দুজন বৃষ্টিতে ভিজবো এন্ড অল দ্যাট ? আমি খানিকটা সংকুচিত গলায় বললাম -না মানে এমনিতেই তো ভিজে যাচ্ছি । খামোখা ছাতি ধরে রেখে লাভ কি ? -চুপচাপ ধরে রাখ ।

আমি ছাতি ধরে বসে রইলাম । এই মেয়েটা ইদানিং আমার উপর এমন কর্তৃত্ব ফলায় । আগেই ভাল ছিল । আমরা বন্ধু ছিলাম । এখন সে আমার মেয়ে বন্ধু ইংরেজিতে যেটাতে গার্লফ্রেন্ড ।

আসলেই কোন মহান লুল গল্পকার বলেছিল ফ্রেন্ড যখন গার্লফ্রেন্ড হয় তখন কত ঝামেলাই সৃষ্টি হয় ! আমি এখন সেই ঝামেলা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি । অবশ্য আগেও নিশি আমার উপর কর্তৃত্ব ফলানোর চেষ্টা করতো কিন্তু কেবলই বন্ধু হবার কারনে গলায় জোর ছিল কম । একদিন নিশিকে নিয়ে নিউমার্কেটে গেছি । ও কেনাকাটা করছে আর ব্যাগ গুলো আমার হাতে দিয়ে বলল -এগুলা ধর তো ! আমি খানিকটা ভাব নিয়ে বললাম -তোর ব্যাগ তুই ধর । আমাকে তোর বয়ফ্রেন্ড পেয়েছিস নাকি ? নিশি এমন একটা মুখভাব করলো যেন এর থেকে অবাক হওয়ার কথা সে আর শোনেই নি ।

কেবল বলল -দাড়া তোকে মজা দেখাচ্ছি । আসলেই কদিনের ভিতরেই ও আমাকে মজা দেখিয়ে ছাড়ল । এখন নিশি কোথাও গেলেই আমাকে ওর সাথে সাথে যেতে হয় আর বাধ্য বয়ফ্রেন্ডের মত ওর কেনাকাটার ব্যাগ টানতে হয় । আগে তো কোন একটা বিষয় নিয়ে তর্কাতর্কি হত কিন্তু এখন সে বাকশালী সরকারে পরিনত হয়েছে । যা বলবে তাই শুনতে হবে ।

একবার মন বিদ্রোহ করে উঠেছিল । বন্ধুদের সাথে ট্যুরে যাবার প্লান ছিল । যদিও সময়টা ঠিক ছিল না । বর্ষাকালে কেউ সাধারনত সেন্টমার্টিন যায় না । তখন সাগর নাকি খুব উত্তাল থাকে ।

যাওয়াটা খানিকটা বিপদজনক । এই কথা শোনার পর থেকেই নিশির এক কথা আমার যাওয়া চলবে না । কিন্তু আমি যাবোই । ওর কথায় কানই দিলাম না । যেদিন সকালবেলা যাবো তার আগের দিন রাতে নিশি কাটার দিয়ে নিজের হাত কেটে ফেলল ।

রক্ততক্ত বের হয়ে কি অবস্থা ! ডাক্তার কাছে নিয়ে যাওয়া হল সেই রাতেই । ভাগ্যভাল যে হাতের রগ কাটে নাই । তবুও সেলাই দিতে হল । আমার যাওয়া বাতিল হয়ে গেল । তারপর থেকেই আমি চুপ ।

মেয়েটার জন্য কেমন যেন একটা মায়া জন্মে গেছে । মনে হয় আমার জন্যই তো এমনটা করছে । করি না হয় সহ্য ! বৃষ্টির বেগ যেন প্রতি মুহুর্তে বাড়ছে । সেই সাথে বাড়ছে বাতাস । রিক্সাওয়ালা একটা বড় গাছের কাছে এসে রিক্সা থামিয়ে দিল ।

আমার কিছু বলার আগেই নিশি রিক্সাওয়ালাকে একটা ধমকের সুরে বলে উঠল -কি ব্যাপার রিক্সা থামালেন কেন ? -আফা মনি খুউব বাতাস দিতাছে । চালাইতে পারি না । আসলেই খুব বাতাস দিচ্ছে । সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বৃষ্টি । এর ভিতর রিক্সা চালানো একটু কষ্টকরই বটে ।

রিক্সা ছেড়ে দিলাম । নিশির সেই মামা নাকি চাচার বাসা খুব বেশি দুরে না । হেটে গেলে দশ পনের মিনিট লাগবে । একটা ছাতা নিয়ে আমি আর নিশি হাটতে লাগলাম বৃষ্টির ভিতর । একটু দুরে গেছি তখনই একটা বাতাসের ঝটকা এল ।

এতো জোড়ে যে আমার হাত থেকে ছাতি উড়ে গেল । মাথার উপর থেকে ছাতি সরে যেতেই যেটুকু ভিজতে বাকি ছিল সেটুকুও ভিজে গেল । নিশি আমার দিকে তাকিয়ে কিছু বলতে যাবার আগেই আমি বললাম -দেখ । আমি কিছু করি নাই । এই বলে যখন ছাতার পিছনে দৌড় দিলাম ।

ছাতা এনে দেখি নিশি দুই হাত মেলে বৃষ্টিতে ভিজছে । ওর মুখে একটা নমনীয় ভাব । আমি কাছে এসে ছাতা মেলতে গেলে ও বলল ওটার আর দরকার নাই । চল । আমি ছাতা বন্ধ করে নিশির পাশে হাটতে লাগলাম ।

কি চমত্‍কার একটা সময় ! চারিদিকে বৃষ্টি পড়ছে । আমি আর নিশি পাশাপাশি হাটছি । যে কোন প্রেমিক প্রেমিকার জন্যই এটা একটা স্বরনীও মুহুর্ত ! এখন কেবল নিশির হাতটা ধরতে পারলেই হল । আমি আমার সেন্ডেল খুলে হাতে নিলাম । নিশিও তাই করলো ।

সেন্ডেল আর ছাতাটা একই হাতে নিলাম যাতে করে অন্য হাতটা ফাঁকা থাকে ওর হাত ধরার জন্য । ওকে হাত ধরতে বলবো কিনা ভাবছি ঠিক এই সময়েই ও আমার হাত ধরলো । ঠান্ডা বৃষ্টির পানিতে একটু একটু কাঁপছিলাম । নিশির হাতটা ধরে বুকের ভিতরেও ঠিক একই রকম কাঁপন অনুভব করতে শুরু করলাম । বৃষ্টির বেগ বাড়ছেই ।

আমার সেদিকে আর খিয়াল নেই । আমি নিশির হাত ধরে হাটছি । কেন জানি পৃথিবীর সব থেকে সুখি মানুষ মনে হচ্ছে নিজেকে । ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ৬৩ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।