আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পিতা: যা কিছু পায়, হারায়ে যায়

আমি সান্তনা চাই না, সান্তনা দিতে চাই। আমি ভালবাসা চাই না ভালবাসতে চাই। ক্ষমা করলেই যেহেতু ক্ষমা পাওয়া যায় তাই মৃত্যুর মধ্য দিয়ে ফিরে পাই অনন্ত জীবন। সিনেমা শুরু হওয়ার পরই একজন দর্শক মন্তব্য করলেন, “চায়না মোবাইলের ক্যামেরায় স্যুটিং করছে”। কারন গতিময় দৃশ্যগুলো থেমে থেমে আসছে।

সম্ভবত যে ধরনের প্রযুক্তিতে ছবিটি সরবরাহ করা হয়েছে তা প্রদর্শনের উপযুক্ত ব্যবস্থা ঐ হলে নেই। বসার ভাল ব্যবস্থা নেই জেনেই ঢুকেছি একমাত্র কারণ বাসার সাথেই এই সিনেমা হল। শীতের রাতের শো জন্যই কিনা জানিনা সবচেয়ে বড় চমক হলো ছবির দর্শক আমিসহ মাত্র ৮জন। পরিচালক মাসুদ আখন্দের কথা প্রথম জানতে পারি হুমায়ুন আহমেদ’এর কোন একটা বইয়ে। তখন ভদ্রলোকের প্রাণশক্তি মুগ্ধ করেছিল, তখনি সংকল্প করেছিলাম চড়াই উৎরাই পেরিয়ে উনি যা বানাবেন তা দেখব।

মনে মনে কত যে সিনেমা বানিয়েছি, এই প্রথম মনে হলো সিনেমা বানানো সহজ কোন কাজ নয়। নয়তো উনি চেষ্টা হয়তো কম করেন নি। কেন জানি কোন আকর্ষন নেই সিনেমাটিতে। ইমন সাহা দায়সারা গোছের আবহ সঙ্গীত করেছেন। অকারণেই কিছু শ্রুতিকটু গানের ব্যবহার কাহিনীকে আরো ম্যাড়ম্যাড়ে করেছে।

ছবি দেখে মনে হলো যুদ্ধের সময় সকল মুসলমান মিলে হিন্দুদের মারার কাজে লিপ্ত হয়েছিল। ছবির ভালোর মধ্যে যা তা বোধহয় ছিল চিত্রগ্রহণে, প্রজেকশনের সমস্যার কারণে তাও দৃষ্টিগোচর হলো না। ছবির শেষ গানটি ভাল। হুমায়ুন আহমেদ কি পরিচালককে কিছু দিয়েছিলেন? যা কিছু পায়, তা বুঝি হারায়ে যায়…. মরিচীকা ধরিতে চায় এ মরু প্রান্তরে ফুরায় বেলা, ফুরায় মেলা সন্ধ্যা হয়ে আসে। কাঁদে তখন আকুল মন কাঁদে তার আশে…  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।