আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সত্যিকারের শার্লক হোমস



বেশ লম্বা একটা কোট আর হ্যাট পড়া এক ব্যাক্তির সাথে আপনার দেখা হল। দেখা হবার পর ভদ্রতা করে হাত মেলালেন। তারপর তিনি কোন কথা না বলেই বলে দিল আপনি কি করেন এবং কোথা থেকে আসছেন!

না আমি গল্পের বইয়ের শার্লক হোমসের কথা বলছি না। আমি বলছি এক বাস্তব রক্ত-মাংসের মানুষের কথা যিনি পেশায় ছিলেন একজন ফরেনসিক সার্জন, কোন কনসালটেন্ট ডিটেকটিভ না। এই ব্যাক্তি ছিলেন অপরাধ জগতে ফরেনসিক সাইন্সের প্রচলন করার একজন অগ্রগামী ব্যাক্তি।

তিনি প্রতিটি বিষয়ের খুব ছোট খাটো ব্যাপারগুলোকে গুরুত্ব দিতেন এবং সেগুলো থেকেই বেশ বড় একটা সিদ্ধান্ত নিতেন ঠিক যেমন আমরা দেখি শার্লক হোমসকে।

যার কথা বলছি তিনি জন্মেছিলেন আজ থেকে অনেক আগে, ১৮৩৭ সালের ২ ডিসেম্বর স্কটল্যান্ডে। তিনি ইউনিভার্সিটি অব এডিনবার্গ মেডিকেল স্কুল থেকে পড়াশোনা করেন। যুক্তরাজ্যের রানী ভিক্টোরিয়া যখন স্কটল্যান্ডে যেতেন তখন তিনি রানীর ব্যাক্তিগত সার্জন হিসেবে কাজ করতেন। তিনি এডিনবার্গ রয়াল ইনফারমারিতে সার্জন হিসেবে ছিলেন।

সেই সাথে তিনি ছিলেন ইউনিভার্সিটি অব এডিনবার্রগের একজন অধ্যাপক। তিনি বেশ কিছু মেডিকেল টেক্সট বইও প্রকাশ করেছিলেন।

সেই সময়ের অপরাধ তদন্ত আজকের দিন থেকে অনেক আলাদা ছিল। তখন ঘটনাস্থলে যা পাওয়া যেত তার উপরেই নির্ভর করা হত। ফরেনসিক বিভাগের সাথে তেমন কোন সম্পর্ক ছিল না পুলিশ বা তদন্তকারীদের।

কিন্তু এউ সার্জন বিভিন্ন খুনের ফরেনসিক রিপোর্ট দিয়েই খুনীর প্রোফাইল বলে দিতেন, তার হাত ধরেই স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড তদন্তে ফরেনসিক সাইন্স যোগ করে। অপরাধ তদন্তে এক নতুন মাত্রা যোগ হয়।

কিন্তু কে ছিল এই ব্যাক্তি? তার নাম জোসেফ বেল। আর এই মানুষটা থেকেই শার্লক হোমস নামক চরিত্রের সৃষ্টি। আর্থার কোনান ডয়েল যখন এডিনবার্গে কাজ করতেন তখন তার সাথে বেলের দেখা হয়।

আর সেখান থেকেই তিনি তৈরি করেন তার সেরা সৃষ্টির একটি- শার্লক হোমস। বেলের ডিডাকশনের অসাধারণ ক্ষমতাই দিয়েই তিনি তৈরি করেন শার্লক হোমসকে আর তিনি তা স্বীকারও করেছেন। A study in Scarlet গল্পে শার্লক একজন চিঠি বাহকের হাতে ট্যাটু দেখে তার বিস্তারিত বলে ওয়াটসনকে অবাক করে দিয়েছিল। এটাও বেলের কাছ থেকে ধার করা। বেল একজন নাবিকের হাতের ট্যাটূ দেখে বলে দিতে পারতেন সে কোথায় কোথায় দিয়েছিল!

শার্লক প্রথম পাঠকদের কাছে হাজির হয় ১৮৮৭ সালে, A Study in Scarlet উপন্যাস দিয়ে।

লেখক ডয়েল শার্লকের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছিলেন তার বন্ধু বেলকে। যদিও বেল নিজেই একবার ডয়েলকে চিঠি লেখে বলেন, "You are yourself Sherlock Holmes and well you know it." শার্লক বিখ্যাত হবার একটা বড় কারণ সে সেই সময়ের প্রচলিত তদন্তের বাইরে গিয়ে কাজ করত। যেগুলোকে সেই সময় কোন দাম দেয়া হত না সেগুলো দিয়েই সে কেস সমাধান করে ফেলত। আর ঠিক এই কাজটাই সেই সময় করতেন বেল। শার্লকে লম্বা কোট কিংবা তার যে হ্যাট তার মাধ্যমেও লেখক বেলকেই ফুটিয়ে তুলেছেন।

ফলে পেশায় সার্জন হয়েও তিনি বেশি পরিচিত হন শার্লকের মাধ্যমে। ১৯১১ সালের ৪ অক্টোবর ৭৩ বছর বয়সে মারা যান বাস্তব এর শার্লক।

বেল ছাড়াও আরো একজন আছে যাকে শার্লক এর অনুপ্রেরণা বলে উল্লেখ করেছেন ডয়েল নিজেই। তিনি হচ্ছেন স্যার হেনরি ডানকান লিটলজন। ইনিও পেশায় একজন সার্জন ছিলেন।

তিনি দীর্ঘদিন Royal College of Surgeons of Edinburgh at Surgeons' Hall এ লেকচারার হিসেবে ছিলেন। তাকে ১৮৯৭ সালে Chair of Medical Jurisprudence at the University of Edinburgh এ নিয়োগ দেয়া হয়। তিনি এডিনবার্গের পুলিশ সার্জন হিসেবে কাজ করতেন এবং বিভিন্ন ক্রিমিনাল কেসে মেডিক্যাল অ্যাডভাইসর হিসেবে কাজ করতেন। তিনিও বেলের মত তীক্ষ্ণদৃষ্টির ছিলেন আর এই কারণে তাকে Expert Witness নামে ডাকা হত।

শার্লকের কথা বলতে গেলেই চলে আসে আরেকজনের কথা যাকে বলা যেতে পারে “Napolean of Crime”, জেমস মরিয়ার্টি।

কিন্তু ডয়েলের এই চরিত্রটাও বাস্তব মানুষের আদলেই তৈরি এবং একাধিক মানুষের আদলে। ফলে শার্লকের চেয়ে মরিয়ার্টির বর্ণনা বড় হবে।

শুরু করব যাকে দিয়ে তাকে সত্যি বলা হত “Napolean of Crime”। বাস্তবের এই নামটা দেন স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের ইন্সপেক্টর রবার্ট এন্ডারসন। আর বাস্তবের এই নেপোলিয়ান অব ক্রাইমের নাম হচ্ছে অ্যাডাম ওর্থ(Adam Worth). ১৮৪৪ সালে জার্মানির এক ইহুদি পরিবারে তার জন্ম।

জন্মের ৫ বছর পর তার পরিবার আমেরিকায় চলে যায়। ১৮৫৪ সালে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।

১৮৬১ তে আমেরিকার গৃহযুদ্ধের সময় সে 2nd New York heavy Artillery তে যোগ দেয় এবং মাত্র দুই মাসের মধ্যে সে সার্জেন্ট পদে পদোন্নতি পায়। কিন্তু ১৮৬২ সালের ৩০ আগস্ট যুদ্ধে আহত হলে তাকে ওয়াশিংটনের জর্জটাউন হাসপাতালে পাঠানো হয় কিন্তু অদ্ভুদ কোন কারণে তার নাম Killed in Action এর তালিকায় ছিল। এরপর সে সেনাবাহিনী ছেড়ে দেয় এবং শুরু করে তার অপরাধের ক্যারিয়ার।



যুদ্ধের শেষে সে নিউ ইয়র্কে পকেটমার হিসেবে কাজ শুরু করে। অল্প কয়দিনে সে গড়ে তোলে তার নিজস্ব গ্যাং। এরপর সে তার গ্যাঙের মাধ্যমে শুরু করে ডাকাতি আর ছিনতাই। এক ট্রেনে ডাকাতি করতে গিয়ে সে ধরা পড়ে তাকে জেলে পাঠানো হয় তিন বছরের জন্য। কিন্তু কয়েকদিনের মধ্যেই সে জেল থেকে পালিয়ে যায়।



জেল থেকে পালাবার পর সে শুরু করে চোরাই মালের ব্যাবসা। নিউ ইয়র্কের কুখ্যাত অপরাধ সম্রাজ্ঞী ফ্রেডরিকা ম্যান্ডেলবামের হয়ে কাজ করে সে। কিছু দিনের মধ্যেই তার সাহায্যে অ্যাডাম ব্যাঙ্ক ডাকাতি শুরু করে। ১৮৬৯ সালে বুলার্ড নামে এক অপরাধীকে জেল থেকে মুক্ত করে জেলের মধ্যে টানেল খুঁড়ে আর এরপর তাকে সাথে নিয়ে চালিয়ে যায় তার চুরি-ডাকাতি। সেই বছরেই ২০ নভেম্বর তারা দুইজন একটি ব্যাঙ্ক ডাকাতি করে টানেল খুঁড়ে।

কিন্তু সেই ব্যাঙ্ক পুলিশকে জানালে তারা অ্যাডাম আর বুলার্ডের পিছনে লাগে। তখন তারা দুইজন আমেরিকা থেকে ইউরোপে চলে আসে।

তারা প্রথমে যায় লিভারপুলে। সেখানে গিয়ে অ্যাডাম না নেয় হেনরি জে র্যা মন্ড। সেখানে বুলার্ড এক মেয়েকে বিয়ে করে তাদের সন্তানও হয়।

কিন্তু এই দুইজনের চুরি ডাকাতি তবুও থামেনা। ইংল্যান্ডে অ্যাডাম তার নিজের ক্রিমিনাল নেটওয়ার্ক গড়ে তুলে এবং এর মাধ্যমে ইংল্যান্ডে অসংখ্য অপরাধ হতে থাকে। কিন্তু এই নেটওয়ার্কের কেউ তার নাম জানত না। এর মধ্যে সে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে প্রায় ৫০০০০০ ডলারের হীরা চুরি করে লন্ডনে দোকান দেয় আর অন্যান্যদের চেয়ে অনেক কম দামে বিক্রি করা শুরু করে। এছাড়াও নানা রকম চুরি, ডাকাতির সাথে জড়িত থাকা অ্যাডাম আর তার নেটওয়ার্ক এর অপরাধের তালিকা অনেক লম্বা, বলতে গেলে অনেক লম্বা হয়ে যাবে।



অ্যাডাম ধরা পড়ে ১৮৯২ সালে, বেলজিয়ামে এক ডাকাতি করতে গিয়ে। ধরা পড়ার পর তার পরিচয়ের ব্যাপারে নিউ ইয়র্ক পুলিশ এবং স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড নিশ্চয়তা দেয়। কিন্তু তারা তার বিরুদ্ধে কোন প্রমাণ দেখাতে পারে না। বিচারে অ্যাডাম তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলোকে জনশ্রুতি বলে, তার অর্থের উৎস হিসেবে দেখায় বৈধ জুয়া আর যে ডাকাতির জন্য ধরা পড়ে সেটার জন্য বলে অর্থ সংকটে থাকায় এই কাজ করে। ১৮৯৩ সালে তাকে ৭ বছরের জেল দেয়া হলেও ভালো ব্যবহারের জন্য ৪ বছর পরেই ছাড়া পেয়ে যায়।



ছাড়া পেয়েই সে লন্ডনে গিয়ে ৪০০০ পাউন্ড চুরি করে এক হীরার দোকান থেকে। এরপর সে চলে যায় নিউ ইয়র্কে তার সন্তানদের কাছে। সেখানে সে উইলিয়াম পিনকারটনের সাথে দেখা করে তার জীবনের সব কথা খুলে বলে। উইলিয়াম যে পান্ডুলিপি লিখেছিল অ্যাডামের জীবন কাহিনীর তার এখনো ক্যালেফোর্নিয়ার ভ্যান নুইস এর এক এজেন্সির আর্কাইভে রাখা আছে। অ্যাডাম তার সন্তানদের নিয়ে লন্ডনে ফিরে যায় এবং সেখানেই তার জীবনের বাকি দিনগুলো কাটিয়ে দেয়।

১৯০২ সালের ৮ জানুয়ারি মারা যায় এই অপরাধ জগতের নেপোলিয়ান। তাকে হাইগেট সেমেট্রিতে সমাহিত করা হয়।

মরিয়ার্টির আরো কয়েকজন বাস্তব মডেল আছে। এদের মধ্যে আছে আমেরিকান জ্যোতির্বীদ সায়মন নিউকম্ব। সায়মন একজন প্রতিভাধর ছিল গণিত আর জ্যোতির্বিদ্যায়।

তবে মরিয়ার্টির সাথে তার মিল হল তার শত্রুদের ক্যারিয়ার শেষ করে দেবার মানসিকতা। সায়মনের নামে গুজব আছে সে তার সকল প্রতিপক্ষ বিজ্ঞানীদের ক্যারিয়ার ধ্বংস করে দিত। আর মূল মরিয়ার্টির ছিল গণিতে বেশ দক্ষ তাই অনেকেই সায়মনকে মরিয়ার্টির মডেল হিসেবে বিবেচনা করে। এছাড়াও মরিয়ার্টির গণিত প্রতিভার জন্য আরো দুইজন বিখ্যাত গণিতবীদকে মডেল হিসেবে বলে থাকেন অনেকেই- কার্ল ফ্রেডরিক গাউস আর রামানুজন। এই দুইজনই বাস্তব জীবনে গণিতের কিছু ইউনিক ফর্মুলা দিয়েছিলেন আর গল্পের মরিয়ার্টিও দাবি করে সে এরকম ইউনিক কাজ করে থাকে।

The Valley of Fear গল্পে শার্লক মরিয়ার্টিকে জোনাথন ওয়াইল্ডের সাথে তুলনা করে। এই জোনাথন ওয়াইল্ড ছিল ১৮শ শতাব্দীতে লন্ডন আন্ডারওয়ার্ল্ডের নিয়ন্ত্রক।

শার্লক গেল, মরিয়ার্টি গেল। তাহলে ওয়াটসন? এই ব্যাপারে লেখন নিজে কিছু বলেননি। কিন্তু ওয়াটসনের মতই একজন আছে, যার সেনা জীবনের অনেক কিছুই মিলে যায় গল্পের ওয়াটসনের ব্যাপারে।

১৮৮০ সালে ব্রিটিশ-আফগান যুদ্ধে আহত এক সার্জনের নাম আলেক্সজান্ডার ফ্রান্সিস প্রেস্টন। গল্পের ওয়াটসন ও এই যুদ্ধেই আহত হয়। ঠিক ওয়াটসনের মতই একটুর জন্য সে বেঁচে যায় গুলি থেকে। কিন্তু তার পরবর্তি জীবন সম্পর্কে খুব বেশি জানা যায় না।

অন্যান্য চরিত্রগুলো পুরোপুরি কাল্পনিক।

তবে ইন্সপেক্টর ল্যাসট্রেডের নামটা ডয়েল তার এক বন্ধুর নাম থেকে নিয়েছেন। তবে তার বন্ধু ইন্সপেক্টর ছিলেন না, তার মতই সার্জন ছিলেন। নাম ছাড়া আর কিছুই মিলে না তাদের মধ্যে।

সব শেষে আসি বিখ্যাত বেকার স্ট্রিটে। লন্ডনের ওয়েস্টমিনিস্টারের বেশ পুরাতন একটি রাস্তা এটি।

সেই ১৮শ শতাব্দীদতে উইলিয়াম বেকার নামে এক ব্যাক্তি এই রাস্তা তৈরি করেন। ১৮৮৭ সালে যখন প্রথম শার্লক হোমসের উপন্যাস বের হয় তখন ১০০ পর্যন্ত ছিল বেকার স্ট্রিট। লেখক এই কারণেই অন্য একটা নম্বর নিয়েছেন যাতে বাস্তবের কোন জায়গা না হয়। তবে সময়ের সাথে সাথে বেকার স্টিটের নম্বর বেড়েছে। এখন শার্লক হোমস জাদুঘর আছে ২৩৯ বেকার স্ট্রিটে।

তবে ১৯৯০ সালে মূল নম্বর পালটে অফিসিয়ালি এর নাম্বার দেয়া হয় ২২১বি। এই ঠিকানায় সেই শুরু থেকেই শার্লকের জন্য চিঠি আসত। কিন্তু বাস্তবে এই ঠিকানা না থাকায় কাছাকাছি এক ব্যাঙ্কে যেত। ১৯৩০ থেকে অ্যাবে ন্যাশনাল নামক সেই ব্যাঙ্ক এই চিঠির উত্তর দিত কিন্তু জাদুঘর হবার পর জাদুঘর কর্তৃপক্ষ চায় সেগুলো যেন তাদের কাছে আসে। এই নিয়ে তাদের মধ্যে বেশ লম্বা বিবাদ হয় তবে শেষ পর্যন্ত ২০০৫ সালে জাদুঘরকেই অধিকার দেয়া হয় এই চিঠিগুলো পাবার।



আর্থার কোনান ডয়েল যখন শার্লক লেখেন তখন শার্লক, ওয়াটসন্, মরিয়ার্টিকে তার নিজের মত মধ্যবয়সী বয়সী এক গোয়েন্দা হিসেবে কল্পনা করেই লেখেছিলেন। শার্লক নিয়ে অসংখ্য সিনেমা তৈরি হয়েছে আগে থেকেই। কিন্তু বিবিসি ওয়ানের আধুনিক শার্লক(বেনেডিক্ট মনে হয় তাদের সবাইকে ছাড়িয়ে গেছে। বয়সে তরুণ, আমাদের পরিচিত জগতেই তার বিচরণ, কল্পনার জন্য ভিক্টোরিয়ান ইংল্যান্ডে যেতে হয় না ফলে খুব সহজে খুব জনপ্রিয় হয়ে গেছে।

[ছবি আপলোড দিতে পারতেছি না , বেশ কিছু ছবি ছিল]







অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।