আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

স্থানীয় সরকার নির্বাচনও দলীয় প্রতীকে করাø

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো স্থানীয় সরকারের নির্বাচনগুলোও দলীয় প্রতীকে করার চিন্তাভাবনা করছে সরকার। তবে আসন্ন চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আগের মতোই অনুষ্ঠিত হবে। আগামী মার্চের মধ্যে এ নির্বাচনের পর অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন। এই সিটি নির্বাচনসহ পৌরসভা এবং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনগুলো দলীয়ভাবে করার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে আওয়ামী লীগ।

বুধবার রাতে গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখন দলটি এ সিদ্ধান্তের কথা নির্বাচন কমিশনকে শীঘ্রই আনুষ্ঠানিকভাবে জানানোর উদ্যোগ নেবে। পরে ইসি এ বিষয়ে সব দলের মতামত গ্রহণ করতে পারে। পাশাপাশি এ বিষয়ে জোটের শরিক ও সমমনা দলগুলোর সমর্থন আদায়েও চেষ্টা চালাবে আওয়ামী লীগ। স্থানীয় সরকারের অধীনে থাকা সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে। এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে এসব নির্বাচনে বিভিন্ন প্রতীকের স্থান দখল করবে বিভিন্ন দলের দলীয় প্রতীক। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে দলের সাধারণ সম্পাদক স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে নির্দেশনা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। সভায় উপস্থিত দলের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ ছাড়াও সিটি নির্বাচনকে সামনে রেখে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের তিনটি কমিটি গঠন করা হচ্ছে। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ কমিটি এবং এ দুই কমিটিকে সমন্বয় করতে আলাদা একটি কমিটিও গঠন করা হচ্ছে। ২০১২ সালের ২৭ ডিসেম্বর নিয়ম রক্ষার সম্মেলন করা হলেও ঘোষণা করা হয়নি নতুন কমিটি। এখন ঢাকার সব থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিয়নে নতুন কমিটি দিতে সম্মেলন শুরু করেছে নগর আওয়ামী লীগ।

বৈঠক সূত্র জানায়, সভায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, স্থানীয় নির্বাচন শেষ পর্যন্ত নির্দলীয় থাকে না। নির্বাচনের ফল কোনো না কোনোভাবে দলের ওপর বর্তায়। তাই স্থানীয় নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী দেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করা যায় কিনা এ বিষয়ে ভাবতে হবে। এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় কাজ করবে। স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয় প্রতীকে করার আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে নির্বাচন কমিশন সংলাপ, গোলটেবিল বৈঠকেরও আয়োজন করতে পারে বলে আভাস পাওয়া গেছে। দল ও সরকারের একটি মহল মনে করে, স্থানীয় নির্বাচনগুলোতেও যেহেতু জাতীয় রাজনীতির প্রভাব পড়ে সে জন্য দলীয়ভাবেই এ নির্বাচন হওয়া উচিত।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামী লীগের এক প্রেসিডিয়াম সদস্য ও মন্ত্রী জানান, স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলো নির্দলীয় হলেও দলীয় সমর্থন দিয়ে শেষ পর্যন্ত দলীয়ই হয়ে যায়। অপরদিকে প্রার্থী সিলেকশনে দলগুলোকেও হিমশিম খেতে হয়। বিদ্রোহী প্রার্থীর সংখ্যাও বেড়ে যায়। যে কারণে দলীয় প্রতীকেই এ নির্বাচন করার চিন্তা করছে আওয়ামী লীগ। দলের একটি সূত্র জানায়, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগকে আরও বেশি গতিশীল করতে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ দুই ভাগে বিভক্ত করে শীঘ্রই কমিটি ঘোষণা করা হবে। এ কমিটিকে তদারকি করার জন্য আলাদা আরেকটি সমন্বয় কমিটিও গঠন করা হবে। এর ফলে মহানগরে অনেক নেতাকে যেমন মূল্যায়ন করা হবে, তেমনি সংগঠন আরও বেশি শক্তিশালী হবে মনে করেন আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড। বুধবার রাতে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে সভানেত্রী শেখ হাসিনা দ্রুততম সময়ের মধ্যে মহানগরের ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও থানা কমিটি গঠন শেষ করার নির্দেশ দেন। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০০৩ সালের ১৮ জুন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সর্বশেষ মোহাম্মাদ হানিফকে সভাপতি ও মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়াকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি গঠিত হয়। এর পর ২০০৪ সালে মেয়র হানিফ মারা গেলে তার পদে ভারপ্রাপ্ত হয়ে আসেন এম এ আজিজ। দীর্ঘ নয় বছর পর ২০১২ সালের ২৭ ডিসেম্বর সম্মেলন হয়েছিল নগর আওয়ামী লীগের।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.