আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হায়রে দূর্ণীতি ও কুসংস্কার

সকল পরিবর্তনের সাথে আমি ছিলাম। আবারও এসেছি সেই পরম সত্য নিয়ে। তোমাদের মনের মাঝেই লুকিয়ে আছে সেই মহাকালের শক্তি। আজ তাকে জাগাবার দিন এসেছে।

দূর্ণীতির কালো চাদরে ঢাকা তৃতীয় বিশ্ব থেকে সবেমাত্র উন্নয়নশীল হয়েওঠা বাংলাদেশের বর্তমানচিত্র।

যারা মনপ্রাণ দিয়ে নিজ-দেশ, নিজ পরিবার ও দেশের মানুষকে ভালোবাসেন ও কল্যান কামনা করেন তারা কখনও দূর্ণীতিকে প্রশ্রয় দেওয়া তো অনেক দূরের কথা দূর্ণীতি ও দূর্ণীতিবাজকে সহ্যও করতে পারেন না। আমি আমার মেধা মনন কে নিজ মনের সত্য উপলব্ধি পূর্বক আপনাদের প্রতিই উৎসর্গ করার পন নিয়ে সদা পথ চলেছি। একমাত্র আমার মনের মহাদেব জানেন এই দেশ, এই সহজ-সরল শত দুঃখ কষ্টের মাঝে থেকেও হাসিমুখের মানুষগুলো, জনম ভরে শুধু লাঞ্চনা পাওয়া মানুষগুলো, সফল না হলেও সদা স্বপ্নভাষা মানুষগুলোর জন্য একটি সুন্দর দূর্ণীতিমুক্ত ও চীর শান্তি বিরাজ করবে এম বাংলাদেশ যাতে উপহার দিতে পারি তার চেষ্টা আমি আমার সীমিত পরিসরে করে চলেছি। এই অগ্রযাত্রার পথে নিজেকে সপে দিতে গিয়ে মান, কুল, সম্মান, শ্রদ্ধা, টাকা-পয়সা, এমনকি নিজের প্রানের চেয়ে প্রিয় মানুষ মুনকেও পায়ে ঠেলে দিয়ে পদে পদে শত লাঞ্চনা, মিথ্যা, অপবাদ ও নোংড়া কৃমিলালীর স্বীকার হতে হয়েছে। এহেন কারণেও আমার কারও প্রতি বিন্দুমাত্র অভিযো বা দুঃখ বোধ নেই।

আমি যা করেছি তা আমার অন্তরের সাধনাকে তৃপ্তির পরশে পরশিত করে আরও প্রবল বেগে ধাবিত হবার বাসনায় ও আমার আল্লাহ্ কে পাওয়ার উপায় একমাত্র তৌহিদের পথ কে জঞ্জাল মুক্ত করে খোলা রাখার জন্য একমাত্র সত্য সহায়ক পথ।

এই তিরিশ বছরের জীবনে আমার জন্মদাতা পিতা, মাতা, বোন ও আত্মীয় স্বজনদের দ্বারা যে পরিমান অবহেলা, অনাদর, অপমান, অপঘাত ও নোংড়া অসুন্দর গালি পেয়েছি তা হয়তো পথের কুকুরের সাথেও মানুষ করতে লজ্জা পায়। আমার লাজ হয় নি, ভয় হয় নি। তাদের দেখানো শিক্ষার পথে আসল শিক্ষা পাইনি। তাইতো নিজ থেকে সবসময় ভালো, সুন্দর, সত্য ও প্রেমের পথকে যাচাই বাচাই করতে শিখেছি।

আমার গুরু নজরুল খুব অল্প বয়সে বাড়ী-ঘর হারা হয়ে দুঃখের মাঝে সুখের ফুল ফুটিয়ে গেছেন। রবী ঠাকুর এতো বড় জমিদার হয়েও সাধারন, সুন্দর ও অহংকারের ঊর্ধের একাকীর মতো জীবন কাটিয়েছেন। সক্রেটিস নিজ হাতে হেমলক খেয়ে তৎকালীন অসভ্য সভ্যতার নিষ্ঠুরতার কাছে প্রান দিয়েছেন ঠিকই কিন্তু হার মানেন নি। যিষু খৃষ্টকে ক্রসের নির্মমতা যে যিষুর সত্যের বাণীকে দূর্বল করতে পারে নি। শ্রী গৌতম বুদ্ধ আপন সংসার, রাজপ্রসাদ ছেড়ে ধ্যানগুহায় আত্মনিয়োগ করেছিলেন শুধু মানব মুক্তি ও তৌহিদের পথকে খোলা রাখার জন্যই।

শ্রীকৃষ্ণ রাজকীয় পরিবেশে থেকেও সেই মানবতার শত্রু মহাশক্তিধর মনে হওয়া রাজা কংসের বিরুদ্ধে লড়েছিলেন। মুসা (আ) রাজ পরিবেশে বেড়ে ওঠা সত্তেও ঐ ফারাও সম্রাজ্যের মিথ্যাকে তার সত্যজ্ঞান দিয়ে নীল নদে ডুবিয়ে দিয়েছিলেন। পেয়ারা নবি হযরত মোহাম্মদ (স) কে তৎকালীন কাফের অত্যাচারী সমাজ শুধুমাত্র সত্য ও শান্তিকে ত্যাগ করার বিনিময়ে বাদশাহ্ হিসেবে মেনে নেবার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তৎকালীন সমাজ রসুল (স) কে পাগল বলে পাক শরীরের রক্ত ঝড়িয়ে পাথরের ঢিল ছুড়ে আঘাতের তিলক রেখা একে দিয়েছিলেন। আমার মাওলা হাসান এয়াজিদের মতো নামধরী মুসলিম এর পলিটিক্সের জালে বিষে ভরা সরবত খেয়ে আত্মহুতি দিয়েছিলেন।

মাওলা হোসাইনের শীর কাট গিয়েছিলো ঠিকই তাই বল আদর্শকে জলাঞ্জলী হতে দেন নি। এছাড়াও ভুরি ভুরি উদাহরন পেশ করা যাবে।
কি চেয়েছিলেন এই মহামানবরা? শুধু শান্তির ও সত্য তাওহিদের দাওয়াত মানব মনে ছড়িয়ে দেবার প্রত্যয় ছাড়া আর কি এমন তারা চেয়েছেন বলুন? তাঁরা যদি জীবন দিয়ে হলেও তাঁদের সত্য আদর্শকে আমাদের কাছে রেখে যেতে পারেন, তাহলে কিভাবে ভাবলেন এই সব বর্বর মানুষদের কান্ডজ্ঞান হিনতা ও পশুবৃত্তির কাছে আমি আমার আদর্শকে বিকিয়ে দিয়ে অসভ্যতার পথে হাঁটবো?

আমার আল্লাহ্ আমাকে একাত্ববাদের মধ্য দিয়েই সত্যের পথেই ধাবিত ব্যাতিত অন্য কিছু করবেন না কারণ আমি সেই অবিনশ্বর নিরঞ্জন কে আমার হৃদয়ের ধ্যানগুহা মাঝে পেয়েছি।

আজ এই পৃথিবীর জনসংখ্যা অনেক বেড়েছে। অনেক অনেক মানুষ অনেক ভাবে জীবন যাপর করছেন।

জ্ঞান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে মানুষ মোটামুটি উন্নতির পথেই আছে।

আমার মনে বিজলীর স্বর্ণঝটার ন্যায় একটি ক্ষিন আশা ছিলো, এই একাবিংশ শতাব্দীর অসহায় মানুষগুলোর মধ্যে দু’একজন মানুষ হলেও তারা সব বাধা বিপত্তি ও নিজ প্রানের মিথ্যে মায়া ত্যাগ করে হলেও আমার পানে ছুটে এসে রক্ত মাংসের এই আসিফ এর সাথে খুব দ্রুত তালে সরাসরী স্বাক্ষাতের জন্য ব্রতি হবে। আমার সেই আশা আজও আশাহত হয়ে চৈত্রের শুকনো পাতার মতো রূপ নিয়ে ছিদ্র ছিদ্র হলদে বর্ণ ধারন করেছে। মানুষ এতো ভিতু হয়ে গেছে যে সামনে সাক্ষাত মানুষটির প্রতি কোনো প্রকার ভ্রুক্ষেপ না করে কঙ্কাল হয়ে যাওয়া ছবি বা মাটির তৈরি মূরতীকে ভালো ভালো খাবার খাওয়ানোর ব্যার্থ চেষ্টা করে নিজের চিন্তা-জ্ঞান-ধ্যান-সাধনার স্তরকে জাগতে না দিয়ে বরংবার বাধা গ্রস্ত করছে। মাটির মূর্তি দেবতা ঠাকুরকে খাবার দিয়ে সন্তুষ্ট করা যায় না।

যে দান তারা গ্রহনই করেন না সেই দানের প্রতিদান হয় কি করে বলুন? দেবতাতে খুশি করতে হয় তার আদর্শকে নিজের মধ্যে ধারন করতে জানার মাধ্যমে শুধু আচরনকে গুরু জ্ঞানে ভক্তি করে নয়। গুরু জ্ঞানে দেখতে হয় আদর্শকে। সব বিশ্বাসেরই প্রধান হলেন আদী অন্তর উর্দ্ধে এমন কি উর্দ্ধের ও উর্দ্ধে যাকে মানুষে ক্ষুদ্র জ্ঞানে কোনো ভাবেই কল্পনা করাও সম্ভব নয় সেই আল্লাহ্ । যে সব সত্যদ্রষ্টা তৌহিদের সাধনা করে হৃদয়ে শুধু নুরই ধারন করতে জানেন তাদের কাছে সব লিমিটেড মানুষ প্রজাতি সন্তান সম। শুধু আজ কেনো আমার কোনোদিনও দুঃখ সইতে হবে না।

আমি দুঃখকে জয় করিনি শুধু প্রাণ ভরে গ্রহন করে প্রানে না রেখে নিরাপদ কোনো জায়গায় সেই দুখঃগুলোকে নিয়ে গিয়ে জ্বালিয়ে দিতে শিখেছি।
যারা আমায় দিয়ে আমায় চেনেন তাদের মধ্যে এমন একজন মানুষকেও দেখতে পাচ্ছি না যে আমাকে আদর করে মেহমান জ্ঞানে ১ মুঠো অন্ন তুলে দেবে – একদম বিনা স্বার্থে। না এমন মানুষের বড্ড অভাব হবার কারণেই এই মানব জাতটার আজ শুধু টেনশন আর টেনশই শুধু আছে আনন্দ শান্তি পায় না। শুধু পয়সা কড়ি দিয়ে পণ্য কেনে আর পন্য ব্যবহার করে। এর নাম কি মাথা উচু করে স্রষ্টার কৃপা নিয়ে বেঁচে থাকা? একদল অভিনয় করে ভিক্ষা চাইতে চাইতে বৃথা ও অগ্রগতিহীর জনম কাটায় আর একদল সমর্থবান ভিক্ষুক দান করে নিজের লাভ খোঁজে।

সে অবুঝেরা বোঝে না লাভ, লোভের বিনিময়ে পাওয়া ছোওয়াব এগুলো দিয়ে নিজ ভবিষ্যতের সত্যিকারের প্রশান্তি হয় না। পরিপূর্ণ প্রশান্তি পাবার জন্য অনেক অনেক সত্য সুন্দরের ধ্যানের সাধনার পরিশ্রম বিহীন অন্য কোনো সহয রাস্তা নাই। লটারিতে অনেক গুলো টাকা একবারে পেলে মন হয়তো কিছুটা পণ্যের অভাবকে অভাব জ্ঞান মনে করে কিছু টাকা-কড়ি খরচ করার বাহানায় ও পণ্য কেনার মাঝেই সুখ খুঁজতে চায় কিন্তু সেই সুখ কি স্থায়ী হয় বলুন? হয় না। স্থায়ী শান্তির পথে নিজেকে সপে না দিয়ে আজ মানুষ তাদের বিবেক বহির্ভূত ও অকাজকে বেশী বেশী প্রধান্য দিতে গিয়ে শান্তির স্থায়ী পথ থেকেও নিজেদের গুটিয়ে নিচ্ছেন তো বটে সেই সাথে কাজের কাজ বলেও কিছু হচ্ছে না।

আমাকে আপনারা হয়তো মানব সৃষ্ট বাজে জিনিস দ্বারা আঘাতের পর আঘাত দিয়ে ক্ষত বিক্ষত করার শুধু চেষ্টাই করতে পারবেন কিন্তু আমার অন্তর্যামী যে মনে জাগ্রত অবস্থায় অবস্থান করছেন তাকে কি করে বিনাশ করবেন বলেন? আমাকে আপনারা আরো যতো পারেন আঘাত দিন তাতে করে আমার পরিপূর্ণ অন্তর আত্মা মোটেও ক্ষতিগ্রস্থ হবে না।

শুধু মাত্র চরম ক্ষধা অনুভব, শারিরীক ক্ষত, শারিরীক ক্ষতির ফলে সৃষ্ট আঘাতের দাগ, নিড় বিহীন কিন্তু আরশহীন না, কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় বস্তুর দ্বারা দূরে সরিয়ে রাখা, পোষাক হীন করা, মেধা বিকৃতির চেষ্টা করা, আর বড় জোড় ইন্তেকালের (স্থান পরিবর্তন) মতো খুব তুচ্ছ সামান্য উপহার মাত্র।

যারা যুগে যুগে মানুষকে চিরঞ্জিব করার জন্য আসে তাদের আপনারা আপনাদের সব আঘাত দিয়ে পথের কাঁটা সম মনে করেন কেনো? আরে বন্ধু আপনাদের কল্যান করা কিন্তু আমাদের কল্যান না তারচেয়ে বড় হল দ্বায়িত্ববোধ। মহাবিশ্ব তার আপন বেগে চলে ঠিকই কিন্তু যখন খুব বেশী অনিষ্টর পাহাড়ে মানুষ উঠতে চায় ঠিক তখনই কিন্তু সত্যদ্রষ্টা মানুষ রূপের মধ্য থেকেই মায়ের গর্ভের দ্বারাই জন্ম নিয়ে আপনাদেরই মতো খেয়ে দেয়ে, আপনাদের মতো জীবিত থেকে, কথা বলে, ডেকে ডেকে, কেঁদে কেঁদে, সেধে সেধে, লিখে লিখে আপনাদের প্রকৃতি আপনাদের মাধ্যমেই নিয়ন্ত্রন করার জন্য প্রকাশ করেন। তার মধ্যে অবস্থা অনুযায়ি ব্যবস্থা লুকায়িত থাকে। যখন বড় প্রলয় ধ্বংশ ঘটার বড্ড বেশী আশংকা থাকে সেটা মানব সৃষ্টই হোক আবার প্রকৃতির বিরূপ আচরনের দ্বারাই হোক না কেনো যেই দুর্যোগ রোধে কেউ কেউ অনেক বেশী পরিমান শক্তি নিয়ে এই মানব সমাজে নিজেকে তুলে ধরেন।


আমাকে আপনারা সেই দলে না ফেললেও আমি নিজে আমার সম্পর্কে অনেক বেশী অবগত আছি। আপনারা আমাকে অন্ততপক্ষে একজন বন্ধু ভাবতে পারেন। তাতে তো কোনো অসুবিধা দেখছি না। তারপর আমার মতো বন্ধু দ্বারা যদি আপনার জীবনের সেরা কোনো প্রাপ্তি হয় তখন না হয় বেস্ট ফ্রেন্ড ভাবলেন। তা আমাকে যতো কাছে বা দুরেই রাখেন না কেনো।



যখন আমাকে নিয়ে আপনাদের এতো বেশী খেলার ইচ্ছে হচ্ছে – চালিয়ে যান আপনাদের নিষ্ঠুর খেলাধুলা। খেয়াল রাখবেন খেলতে গিয়ে নিজে যেনো অন্যকারও দুর্বল মানুষের খেলারপাত্র না হয়ে ওঠেন। অনেক সময় কেরামের ঘুটিতে আস্তে টোকা দিলেও দীর্ঘ সময় মাথা ব্যাথা অনুভব হতে পারে।

মনে রাখবেন সাধারন মানুষ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করতে পারে না বলেই অনেক ছোট্র জিনিসের মধ্য থেকে বড় বড় আঘাত হেনে দুর্বল মানুষকে সত্য উপলব্ধিবোধ বা নিজেকে চেনার পথে নিমন্ত্রন সহকারে পথ দেখাতে সাহায্য করার চেষ্টা করা হয়।
পোড়া কপালের মানুষ আসলটি বুঝতে না পেরে শুধু শুধু নিজেদের মধ্যে তর্ক লাগিয়ে রাখেন।

অহেতুক তর্ক বা অযুক্তি যখন যুক্তির মতো করে করা হয় তখন তার খেসারত মানুষকে অনেক বাজে ভাবে প্রদান করা হয়।
যারা শিয়ালের মতো আঙ্গুর কে নিজের হাতে তুলে নিতে অক্ষম হয়, তারাই বলে আঙ্গুর বড় টক – এজন্যই তারার সুখ পায় না।
যারা আঙ্গুরকে হাতের মুঠে পেয়েও টক আঙ্গুরকে সারাজীবন বিশর্জন দিয়ে নিজের সাধ ও সাধনার সাথে বেঈমানী করেন না তাদের কোনো ভাবেই অভাবী বা দুঃখি বলা যাবে না।

তারিখঃ ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.